২৯ পণ্যের 'যৌক্তিক মূল্য' নির্ধারণ
প্রকাশ | ১৬ মার্চ ২০২৪, ০০:০০
যাযাদি ডেস্ক
২৯টি দেশি কৃষিপণ্যের উৎপাদন খরচ ও যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণ করেছে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর। শুক্রবার বিকালে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মাসুদ করিমের সই করা এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত নির্ধারিত দামে কৃষিপণ্য ক্রয়-বিক্রয়ের অনুরোধ জানিয়েছে অধিদপ্তর।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, 'কৃষি বিপণন আইন ২০১৮' এর ৪ (ঝ) ধারার ক্ষমতাবলে এই মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। নতুন নির্ধারিত মূল্য তিনটি ভাগে করা হয়েছে। পণ্যের উৎপাদক পর্যায়; পাইকারি পর্যায় ও খুচরা পর্যায়।
২৯টি পণ্যের মধ্যে রয়েছে আমদানিকৃত ছোলা, উন্নত মসুর ডাল, মুগডাল, মাষকালাইয়ের ডাল, মসুর ডাল (মোটা) ও খেসারি ডাল। মাছের মধ্যে পাংগাস (চাষের), চাষের কাতল মাছ। এ ছাড়া গরুর মাংস, ছাগলের মাংস, ব্রয়লার মুরগি, সোনালি মুরগি, ডিম, দেশি পেঁয়াজ, দেশি রসুন, আমদানিকৃত আদা, শুকনো মরিচ, কাঁচা মরিচ, বাঁধাকপি, ফুলকপি, বেগুন, আলু, টমেটো, মিষ্টি কুমড়া, জাহেদী খেজুর, মোটা চিড়া, সাগর কলা ও বেসন।
এর মধ্যে আমদানিকৃত ছোলার পাইকারি মূল্য সাড়ে ৯৩ টাকা এবং খুচরা পর্যায়ে ৯৮ দশমিক ৩০ টাকা ও উৎপাদক পর্যায়ে ৯০ দশমিক ৩৭ টাকা; উন্নত মসুর ডাল খুচরা পর্যায়ে ১৩০ দশমিক ৫০ টাকা, পাইকারি পর্যায়ে ১২৫ দশমিক ৩৫ টাকা নির্ধারণ করেছে অধিদপ্তর।
মুগডাল পাইকারি পর্যায়ে ১৫৮ দশমিক ৫৭ টাকা, খুচরা পর্যায়ে ১৬৫ দশমিক ৪১ টাকা; মাষকালাইয়ের ডাল পাইকারি পর্যায়ে ১৪৫ দশমিক ৩০ টাকা, খুচরা পর্যায়ে ১৬৬ দশমিক ৫০ টাকা নির্ধারণ করেছে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর।
মসুর ডাল (মোটা) পাইকারি ১০০ দশমিক ২০ টাকা, খুচরা পর্যায়ে ১০৫ দশমিক ৫০ টাকা; খেসারি ডাল পাইকারি ৮৩ দশমিক ৮৩ টাকা ও খুচরা পর্যায়ে ৯২ দশমিক ৬১ টাকায় বিক্রির অনুরোধ জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
মাছের মধ্যে পাঙাস মাছের (চাষের) পাইকারি দর ১৫৩ দশমিক ৩৫ টাকা ও খুচরা পর্যায়ে ১৮০ দশমিক ৮৭ টাকা; চাষের কাতল মাছ পাইকারি ৩০৩ দশমিক ০৯ টাকা ও খুচরা ৩৫৩ দশমিক ৫৯ টাকা নির্ধারণ করেছে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর।
গরুর মাংসের পাইকারি দর ৬৩১ দশমিক ৬৯ টাকা ও খুচরা পর্যায়ে ৬৬৪ দশমিক ৩৯ টাকায় বিক্রি করার অনুরোধ জানিয়েছে অধিদপ্তর। ছাগলের মাংসের ক্ষেত্রে পাইকারি মূল্য ৯৯২ দশমকি ৫৮ টাকা ও খুচরা পর্যায়ে ১০০৩ দশমিক ৫৬ টাকায় বিক্রি করতে বলা হয়েছে অধিদপ্তরের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে।
ব্রয়লার মুরগি পাইকারি ১৬২ দশমিক ৬৯ টাকা ও খুচরা পর্যায়ে ১৭৫ টাকা ও সোনালি মুরগি পাইকারি ২৫৬ দশমকি ১০ টাকা ও খুচরা পর্যায়ে ২৬২ টাকা; ডিম প্রতি পিস বিক্রয় মূল্য ১০ দশমিক ৪৯ টাকা ও পাইকারি দর ৯ দশমিক ৬১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
কেজিপ্রতি দেশি পেঁয়াজের পাইকারি দাম ৫৩ দশমিক ২০ টাকা ও খুচরা নির্ধারণ করা হয়েছে ৬৫ টাকা; প্রতিকেজি দেশি রসুন পাইকারি ৯৪ দশমিক ৬১ টাকা ও খুচরা ১২০ দশমিক ৮১ টাকা; আমদানিকৃত আদা পাইকারি দর ১২০ দশমিক ২৫ টাকা ও খুচরা পর্যায়ে ১৮০ দশমিক ২০ টাকা নির্ধারণ করেছে অধিদপ্তর।
প্রতি কেজি শুকনো মরিচের পাইকারি পর্যায়ে ২৫৩ দশমিক ২৬ টাকা ও খুচরা পর্যায়ে ৩২৭ দশমিক ৩৪ টাকা; কেজি প্রতি কাঁচা মরিচ ৬০ দশমিক ২০ টাকায় খুচরা ও পাইকারি পর্যায়ে ৪৫ দশমিক ৪০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
প্রতি কেজি বাঁধাকপি পাইকারি ২৩ দশমিক ৪৫ টাকা ও খুচরা পর্যায়ে ২৮ দশমিক ৩০ পয়সা; প্রতিকেজি ফুলকপি পাইকারি ২৪ দশমিক ৫০ টাকা ও খুচরা ২৯ দশমিক ৬০ টাকা নির্ধারণ করেছে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর। পাশাপাশি খুচরা পর্যায়ে প্রতিকেজি বেগুন ৪৯ দশমিক ৭৫ টাকা ও সিম ৪৮ টাকা বেঁধে দেওয়া হয়েছে।
প্রতিকেজি আলুর খুচরা মূল্য ২৮ দশমিক ৫৫ টাকা; টমেটো ৪০ দশমিক ২০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ২৩ দশমিক ৩৮ টাকা নির্ধারণ করেছে অধিদপ্তর।
প্রতিকেজি জাহেদি খেজুর খুচরা পর্যায়ে ১৮৫ দশমিক ০৭ টাকা; মোটা চিড়া ৬০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। সাগর কলার হালি খুচরায় ২৯ দশমিক ৭৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া বেসনের খুচরা পর্যায়ে ১২১ দশমিক ৩০ টাকা বেঁধে দিয়েছে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর।