লেগুনাস্ট্যান্ড নিয়ে সংঘর্ষ
কুমিলস্নায় গুলিতে কলেজ ছাত্র নিহত
প্রকাশ | ১৬ মার্চ ২০২৪, ০০:০০
যাযাদি ডেস্ক
কুমিলস্নায় লেগুনাস্ট্যান্ড নিয়ে বিরোধের জেরে সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় বুকে গুলিবিদ্ধ হয়ে এক যুবকের প্রাণ গেছে। শুক্রবার বেলা আড়াইার দিকে কুমিলস্না শহরতলির (আদর্শ সদর উপজেলা) শাসনগাছা লেগুনাস্ট্যান্ডে এ ঘটনা ঘটে।
এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে মো. জামিল হানান অর্ণব (২৭) এক যুবকের মৃতু্য হয়েছে বলে কুমিলস্না কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি ফিরোজ হোসেন জানিয়েছেন।
নিহত অর্ণব শাসনগাছা মধ্যপাড়া এলাকার আজহার উদ্দিনের ছেলে এবং কুমিলস্না ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন। তার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিলস্না মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ নাজমুল হোসেন ও অনিক নামে দুজনকে ঢাকায় এবং নিশাদ নিশু নামে আরেকজনকে কুমিলস্না মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। বাকি দুজনের নাম-পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শাসনগাছা লেগুনা ও সিএনজি অটোরিকশা স্ট্যান্ডের দখল নিয়ে শাসনগাছা মধ্যমপাড়া দফাদার বাড়ি ও মোলস্না বাড়ির দুই পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন বিরোধ চলছিল। শুক্রবার জুমার নামাজের পর মধ্যপাড়ার আবুল কাশেমের দলের সঙ্গে মোলস্না বাড়ির রাব্বি ও আলাউদ্দিনের দলের সংঘর্ষ এবং গোলাগুলি হয়। এ সময় গুলিবিদ্ধ হন অন্তত চারজন। তাদের মধ্যে অর্ণবের বুকের বাম পাশে গুলি লাগে। পরে গুলিবিদ্ধ চারজনসহ আহতদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে কুমিলস্না মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক অর্ণবকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনায় পর মোলস্না বাড়ির রাব্বির বাবা খলিল মিয়াকে আটক করে পুলিশ।
নিহত অর্ণব ছাত্রদল করতেন বলে কুমিলস্না দক্ষিণ জেলা ছাত্রদলের সভাপতি ফরিদ উদ্দিন শিবলু জানিয়েছেন।
শিবলু বলেন, 'অর্ণব আমাদের একনিষ্ঠ কর্মী। এবারের কুমিলস্না দক্ষিণ জেলা ছাত্রদলের প্রস্তাবিত কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে তার নাম বিবেচনায় রাখা হয়েছিল। আমরা এ হত্যার বিচার চাই।'
সংঘর্ষে একজন নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপারও। তিনি বলেন, নতুন করে বিশৃঙ্খলা এড়াতে ঘটনাস্থলে বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
ওসি ফিরোজ হোসেন বলছেন, শাসনগাছা এলাকায় দুটি গ্রম্নপ সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ অর্ণব নামে এক যুবকের মৃতু্য হয়েছে। গুলিবিদ্ধ নাজমুল ও অনিককে ঢাকায় নেওয়া হয়েছে। তবে এটা কোনো রাজনৈতিক বিরোধের ঘটনা নয়। লেগুনা-সিএনজি স্ট্যান্ডের আধিপত্য নিয়েই দুই পক্ষের সংঘর্ষে এ হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।