বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪, ৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
খাদ্যপণ্যে ভেজাল

সমন্বয়হীন অভিযানে সুফল অধরা

সাখাওয়াত হোসেন
  ১৫ মার্চ ২০২৪, ০০:০০
সমন্বয়হীন অভিযানে সুফল অধরা

সরকারি খাদ্য মাননিয়ন্ত্রক সংস্থার কঠোর নজরদারি না থাকার সুযোগে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্নস্থানে মেয়াদোত্তীর্ণ খেজুর বিক্রির হিড়িক পড়েছে। সারাদিন অভুক্ত থেকে ইফতারিতে তা খেয়ে রোজাদাররা ডায়রিয়াসহ নানা ধরনের পেটের পীড়ায় আক্রান্ত হচ্ছে। এছাড়া দীর্ঘমেয়াদে সংরক্ষণের জন্য অতিমাত্রায় কেমিক্যাল মেশানো বিষাক্ত ফলমূল এবং নানা ধরনের ভেজাল খাদ্যপণ্যে জনস্বাস্থ্য এখন হুমকির মুখে।

অথচ ভেজালকারীদের বিরুদ্ধে সরকারের জিরো টলারেন্স নীতির কথা উলেস্নখ করে বিএসটিআই, ভোক্তা অধিদপ্তরসহ একাধিক সংস্থা মাঠে নামলেও বিচ্ছিন্ন এসব অভিযানের কোনো সুফল মিলছে না। সরকারি সংস্থাগুলো এ ব্যর্থতা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে স্বীকার করলেও লোকবল সংকটের দোহাই দিয়ে দায় এড়িয়ে চলছে। তবে বাজার পর্যবেক্ষকদের ভাষ্য, সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিয়ে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো সমন্বিতভাবে মাঠে নামলে এ লোকবল দিয়েই ভেজালবিরোধী অভিযান অনেকাংশেই সফল করা সম্ভব।

এদিকে বিগত যে কোনো সময়ের চেয়ে এবারের রমজানে ভেজালবিরোধী অভিযান যে অনেকটাই কম তা খোদ ব্যবসায়ীরাই স্বীকার করেছেন। মালিবাগ কাঁচা বাজারের ব্যবসায়ী মোহাম্মদ হালিম জানান, প্রতিবছর রমজানের শুরুতেই ভেজালবিরোধী অভিযানের তৎপরতা বেড়ে যাওয়ায় বিভিন্ন খাদ্যপণ্যে ভেজালকারী দোকানিরা তটস্থ থাকত। তবে এবারের চিত্র অনেকটাই ভিন্ন। রোজা শুরুর পর গত তিনদিনে ঢাকার কোনো বাজারে ভেজালবিরোধী অভিযান চালানো হয়েছে বলে তিনি শোনেননি। একই ধরনের বক্তব্য ওই বাজারের আরও একাধিক ব্যবসায়ীরও।

এ প্রসঙ্গে কারওয়ান বাজারের খেজুর ব্যবসায়ী ইবাদত হোসেন বলেন, ভেজালবিরোধী অভিযান চলমান থাকলে শত শত দোকানি মেয়াদোত্তীর্ণ পোকা ধরা খেজুর দোকানে থরে থরে সাজিয়ে বিক্রি করছে কীভাবে? তার ভাষ্য, অসাধু ব্যবসায়ীরা বস্তা বস্তা পোকা ধরা খেজুরের সঙ্গে স্বল্প পরিমাণ নতুন খেজুর মিশিয়ে দেদার বিক্রি করছে। কোথাও কোথাও খেজুর চকচকে করতে তেল মাখানো হচ্ছে। অথচ বিষয়টি ওপেন সিক্রেট হলেও এ নিয়ে কারো মাথা ব্যথা নেই।

তবে ভোক্তা অধিদপ্তরের দাবি, ঢালাও এ অভিযান সঠিক নয়। তারা গত ১২ মার্চ নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুরের কুতুবপুর এলাকায় এক হিমাগারে অভিযান চালিয়ে মেয়াদোত্তীর্ণ ১৪ টন খেজুর জব্দ করেছে। এই খেজুরগুলোর ২০২১ সাল পর্যন্ত মেয়াদ ছিল। মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার পর ভুয়া স্টিকার লাগিয়ে মেয়াদ বাড়িয়ে খেজুরগুলো বাজারে

\হবিক্রির পরিকল্পনা ছিল। বাজারে কম দামের খেজুর বিক্রি হলেও এগুলো মেয়াদোত্তীর্ণ বা খাওয়ার অযোগ্য নয়।

তবে কয়েকজন খেজুর আমদানিকারকের সঙ্গে কথা বলে ভিন্ন তথ্য পাওয়া গেছে। তাদের ভাষ্য, প্রতি বছর আমদানিকৃত খেজুরের একটি বড় অংশ অবিক্রীত থেকে যায়। এসব খেজুর তাদের সারা বছর বিক্রি করতে হয়। আর যেসব খোলা খেজুর আমদানি করা হয় তা প্রকৃতপক্ষে মানহীন। প্যাকেটজাত উন্নত মানের খেজুরের মেয়াদ থাকে মাত্র তিন মাস। কিন্তু সেই তিন মাসে অনেক ক্ষেত্রে গোডাউনেই শেষ হয়ে যায়। তাতে তারা বড় ধরনের লোকসানের আশঙ্কা থাকে। এ থেকে বাঁচতে ব্যবসায়ীরা নতুন মোড়কে মেয়াদোত্তীর্ণ ও সব খেজুর বাজারজাত করেন।

চলতি বছর রমজানে বিপুল পরিমাণ মেয়াদোত্তীর্ণ খেজুর বিক্রি হবে এমন আশঙ্কার কথা জানিয়ে ঢাকার একজন আমদানিকারক বলেন, দেশে খেজুরের বার্ষিক চাহিদা প্রায় ৬০ হাজার টন। এরমধ্যে শুধু রোজার মাসে চাহিদার পরিমাণ প্রায় ৫০ হাজার টন। এখন পর্যন্ত দেশে খেজুর আমদানিতে যে পরিমাণ এলসি খোলা হয়েছে, তা চাহিদার তুলনায় অনেক কম। গত এক মাসে মাত্র ৩৮ হাজার টন খেজুর দেশে এসেছে। সংকটের এ সুযোগে অসাধু কিছু ব্যবসায়ী নষ্ট ও মেয়াদোত্তীর্ণ খেজুরে তেল মাখিয়ে কিংবা পুরনো মোড়ক পাল্টিয়ে নতুন মোড়কে বাজারজাত করছে।

সরেজমিন রাজধানীর বায়তুল মোকাররম, পুরানা পল্টন, নয়া পল্টন, কাকরাইল, নিউ মার্কেট, চকবাজার, মৌলভী বাজার, মহাখালী ও মিরপুরসহ বিভিন্ন এলাকার বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বিনা বাঁধায় সেখানকার অনেক দোকানে মেয়াদোত্তীর্ণ খেজুর বিক্রি হচ্ছে। কোথাও সরকারি খাদ্য মাননিয়ন্ত্রক সংস্থার কোনো নজরদারি নেই। বাজারে বিদ্যমান খেজুরের 'সাধারণ মান' সম্পর্কে স্পষ্ট কোনো ধারণাই দিতে পারেনি রাষ্ট্রায়ত্ত পণ্য বিপণনকারী সংস্থা টিসিবি।

এদিকে শুধু খেজুরই নয়- ভেজাল ও নিম্নমানের সব ধরনের খাদ্যপণ্য সবখানেই দেদার বিক্রি হচ্ছে। ফলে ভেজাল রোধে কাজ করা সরকারি সংস্থাগুলোর এসব গালভরা বুলিতে সাধারণ ভোক্তারা সন্তুষ্ট হতে পারছেন না। তাদের ভাষ্য, অসাধু সিন্ডিকেট বছর পর বছর ধরে ভেজাল ও নিম্নমানের বিভিন্ন খাদ্যপণ্য আমদানি, উৎপাদন ও সরবরাহ করে যাচ্ছে। অথচ সারা বছর নিষ্ক্রিয় থেকে শুধু রমজান এলেই নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতকরণ সরকারি সংস্থাগুলো লোকদেখানো নানা তৎপরতা চালাচ্ছে। তাতে এসব অভিযানের সাফল্য বরাবরের মতো শূন্যের কোটাতেই আটকে থাকছে। খাদ্যে ভেজাল সহনীয় পর্যায়ে আনতে হলে বছরব্যাপী অভিযান চালানো জরুরি বলে মন্তব্য করেন তারা। পাশাপাশি খুচরা পর্যায়ে ভেজাল পণ্য বিক্রেতা, ফুটপাত কিংবা ছোট দোকানে অভিযান না চালিয়ে উৎপাদন পর্যায়ের কলকারখানা, আমদানিকারকদের গুদাম ও কোল্ড স্টোরেজে নিয়মিত খোঁজ-খবর রাখার তাগিদ দেন ভোক্তা অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠনগুলো।

বাজার সংশ্লিষ্টরা জানান, সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভেজাল রোধে কঠোর নির্দেশ দেওয়ার পর সংশ্লিষ্ট প্রশাসন আকস্মিক তৎপর হয়ে উঠলেও ক'দিন না যেতেই তা আবার থমকে গেছে। এছাড়া ওই সময় যেসব প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালানো হয়েছে, তার সিংহভাগই ছোটখাটো পর্যায়ের। দেশের কোথাও কোনো বড় আমদানিকারকের গুদামে বা আড়তে অভিযান চালানো হয়নি।

ভোক্তাদের অভিযোগ, ভেজাল রোধে কাজ করা সরকারি সংস্থাগুলোর টার্গেট বরবারই ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী এবং তাদের কাছ থেকে নগদ জরিমানা আদায়। যার একটি বড় অংশই তারা কৌশলে নিজেদের পকেটস্থ করেন। আর এ কারণে নিরাপদ খাদ্য আইনে মামলা রুজুর তেমন কোনো রেকর্ড নেই।

এদিকে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল অব বাংলাদেশ (টিআইবি) তাদের একটি গবেষণা প্রতিবেদনে বলছে, বাংলাদেশের সরকারি সংস্থাগুলোর সমন্বয়হীনতার এবং গাফিলতির কারণেই নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করা সম্ভব হচ্ছে না। এজন্য তারা আইনের প্রয়োগের অভাব, কর্মকর্তাদের দুর্নীতি আর আইন প্রয়োগে সরকারের অনীহাকেও দায়ী করেছেন। এছাড়া ভেজাল খাবার শনাক্তকরণে ল্যাবরেটরির সীমাবদ্ধতা আর সচেতনতার অভাবকেও ওই প্রতিবেদনে দায়ী করা হয়েছে।

টিআইবির এক গবেষক এ প্রসঙ্গে বলেন, বিদ্যমান আইনে অনেক সীমাবদ্ধতা রয়েছে। এই আইনগুলো আরও সংস্কারেরও দরকার আছে। এই আইনগুলো কার্যকরভাবে প্রয়োগও করা হচ্ছে না। খাদ্য তদারকিতে সরকারি অনেকগুলো প্রতিষ্ঠান কাজ করলেও তাদেরও অনেক প্রাতিষ্ঠানিক সীমাবদ্ধতা আছে। আবার এসব প্রতিষ্ঠানের নিজেদের মধ্যে কোনো সমন্বয় নেই। আবার এসব প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের মধ্যে দায়িত্ব পালনে যেমন অবহেলা রয়েছে, তেমনি তারা নিজেরা দুর্নীতির সঙ্গেও জড়িত।

তিনি আরও বলেন, নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করলে পরীক্ষাগারের গুরুত্ব অনেক বেশি। কিন্তু দেশে ভালো পরীক্ষাগার নেই। যে কয়েকটি আছে, সেগুলোরও সক্ষমতার অনেক অভাব রয়েছে। এছাড়া যারা খাদ্যে ভেজাল মেশানোর মতো কাজ করেন, তাদের বিরুদ্ধে তেমন একটা ব্যবস্থা নেয়া হয় না। আবার যাদের আটক করা হয়, তাদের তেমন একটা শাস্তি হয় না। বিচারেও অনেক বেশি সময় লাগে। নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতকরণে সরকারের বেশ কয়েকটি দপ্তর কাজ করে। তবে বিএসটিআইসহ কোনো দপ্তরই ঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করে না।

এদিকে ভোক্তারা মনে করেন, সরকার চাইলে অবশ্যই সব ভেজাল বন্ধ করতে পারে। কিন্তু সরকার সেভাবে কখনোই চেষ্টা করে না। কারণ ভেজাল খাবারের সঙ্গে যারা জড়িত, তারাই আবার কোনো না কোনোভাবে সরকারের সঙ্গে জড়িত রয়েছে। তাই সরকারও তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আগ্রহী হয় না। সরকার যতদিন এই বিষয়ে সক্রিয় না হবে, ততদিন খাদ্যে ভেজাল দেওয়া ঠেকানো যাবে না বলে মন্তব্য করেন তারা।

বাজার পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ভেজাল রোধে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ভ্রাম্যমাণ আদালত এবং বিএসটিআই-এর বেশ কয়েকটি টিম কাজ করলেও তাদের অধিকাংশ অভিযান ফুটপাতের খাবারের দোকান, নিম্ন ও মাঝারি মানের হোটেল রেস্টুরেন্ট, মুদি দোকান, মধ্যম পর্যায়ের আমদানিকারক ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে সীমাবদ্ধ। অথচ কাপড়ের রংসহ নানা বিষাক্ত রাসায়নিক দ্রব্য, ইউরিয়া সার, নষ্ট হয়ে যাওয়া ময়দা, পাম অয়েল, অ্যারারোট, সাবান তৈরির রাসায়নিক উপাদান তালস্নু ও ঝুঁকিপূর্ণ মাত্রার খাবার সোডা মিশিয়ে বড় বড় শিল্প কারখানায় প্রতিদিন শত শত টন বিস্কুট-কেক, সেমাই, লাচ্ছা, লুডুলস তৈরি হচ্ছে।

অসাধু সিন্ডিকেট অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ভেজাল উপাদানে ঘি, মাখন, হলুদ-মরিচসহ বিভিন্ন মসলার গুঁড়া তৈরি করে বাজার দখল করে নিচ্ছে। মরিচের গুঁড়া তৈরির উপাদান হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে পচা মরিচ (পটকা), ধানের তুষ, ইটের গুঁড়া ও লাল রঙ। তেমনিভাবে হলুদ ও মসলার গুঁড়া তৈরিতে উপাদান হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে নষ্ট হয়ে যাওয়া হলুদ ও মসলা, পচা চালের গুঁড়া ও রঙ। কলকারখানায় উৎপাদিত বিএসটিআইএর মাননিয়ন্ত্রণ লোগোসহ এসব পণ্য খ্যাতনামা চেইন শপ থেকে শুরু করে সর্বত্র প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে অতি সম্প্রতি তেজগাঁওয়ে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস এন্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) প্রধান কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন ভেজালকারীদের বিরুদ্ধে সরকারের জিরো টলারেন্স নীতির কথা উলেস্নখ করে বলেন, ভেজালকারী ছোট হোক বা বড় হোক কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। রমজানে পণ্যের মান ও মূল্য নিয়ন্ত্রণে 'পণ্যের মান প্রণয়ন ও নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা'র (বিএসটিআই) ভেজালবিরোধী বিশেষ অভিযানেরও ঘোষণা দেন মন্ত্রী।

শিল্পমন্ত্রী বলেন, রমজানে পণ্যের মাননিয়ন্ত্রণ এবং পণ্যের ওজন ও পরিমাপে কারচুপি রোধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রম আরও জোরদার করা হচ্ছে। ঢাকা মহানগরীতে প্রতিদিন ৩টি বিশেষ মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে। এ ছাড়া জেলা-উপজেলা পর্যায়ে প্রশাসনের সহযোগিতায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করবে বিএসটিআই। একই সাথে,র্ যাব ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের যৌথ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে। আকস্মিকভাবে পরিচালিত অভিযানে রোজাদাররা সচরাচর যে খাবার ও পানীয় গ্রহণ করে থাকেন, সেগুলোর ওপর বিশেষ নজর দেওয়া হবে।

অথচ মন্ত্রীর এ কঠোর হুঁশিয়ারির পর সপ্তাহ পেরোলেও ঢাকা বা দেশের কোথাও এ ধরনের অভিযানে ভেজালকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের উলেস্নখযোগ্য কোনো খবর পাওয়া যায়নি।

যদি বিএসটিআইয়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, সারাদেশ থেকে মোট ৬১৬টি খাদ্যপণ্যের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এগুলোর মধ্যে এ পর্যন্ত পরীক্ষা করা হয়েছে ৫৬২টি। যার মধ্যে মানসম্মত নমুনা ৫১১টি, নিম্নমানের নমুনা ৫১টি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে