শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১

৬০০ টাকায় গরুর মাংস খুশি সাধারণ ক্রেতারা

যাযাদি রিপোর্ট
  ১৩ মার্চ ২০২৪, ০০:০০
রোজায় কয়েকটি নিত্যপণ্য তুলনামূলক কম দামে বিক্রি করছে সরকার। ছবিটি মঙ্গলবার রাজধানীর আজিমপুর ছাপড়া মসজিদ এলাকা থেকে তোলা -ফোকাস বাংলা

প্রথম রমজানে মিরপুর শাহ আলী মার্কেটে বাজার করতে এসেছেন সিদ্দিকুর রহমান। প্রয়োজনীয় মুদি পণ্যের কেনাকাটা শেষে ৬শ' টাকা দরে ২ কেজি গরুর মাংস কিনতে পেরে স্বস্তির ছাপ ছিল তার চোখে-মুখে। অর্থাৎ বর্তমান বাজার দরের থেকে ২শ' টাকা কমে মাংস কিনতে পেরেছেন তিনি। ফলে অবশিষ্ট টাকা দিয়ে ইফতারের জন্য কিছু কিনতে পারবেন বলেও জানান এই ক্রেতা।

শুধু মিরপুর নয়, প্রথম রমজানে সরকারি উদ্যোগে রাজধানীর ২৫টি স্থানে সুলভমূল্যে গরুর মাংস, ডিম ও দুধ কিনতে পেরে স্বস্তি জানিয়েছে সাধারণ ক্রেতারা। এ ছাড়া ৫টি স্থায়ী দোকান বসানো হয়েছে যেখানে আবার ?শুধু গরুর মাংস বিক্রি করা হচ্ছে ৬৫০ টাকা কেজি দরে। আর সরকারের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন ভোক্তারা।

মঙ্গলবার প্রথম রমজানে রাজধানীর এসব বিক্রয় কেন্দ্রে ক্রেতা ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। বিশেষ করে অস্থায়ী বিক্রয় কেন্দ্রগুলো। এদিন মিরপুর ৬০ ফিট এলাকায় ভ্রাম্যমাণ বিক্রয় কেন্দ্রে নারী-পুরুষের দীর্ঘলাইন দেখা গেছে। গরুর মাংসের পাশাপাশি দুধ ও ডিম কিনতে ভিড় করেছে সবাই। সকালে কিছু ভিড় কম থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ক্রেতা চাপ বাড়তে থাকে।

একই অবস্থা রাজধানীর রামপুরা অস্থায়ী বিক্রয় কেন্দ্রে। সময় যত গড়াচ্ছিল, লাইনে মানুষের সংখ্যাও আরও বাড়তে লাগল। ফলে ১১টার দিকেই মুরগির মাংস শেষ হয়ে যায়। বিক্রেতারা জানান 'মাত্র ৪০ কেজি

মুরগির মাংস দেওয়া হয়েছিল, যা দ্রম্নত শেষ হয়ে গেছে। তবে গরুর মাংস, দুধ ডিম রয়েছে।'

মঙ্গলবার রামপুরার পাশাপাশি কাকরাইল, সচিবালয়, খামারবাড়ীসহ সুলভ মূল্যের পণ্য বিক্রির কয়েকটি স্পট ঘুরে দেখা যায়, সুলভ মূল্যে পণ্য কেনাকাটায় মানুষের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ তৈরি হয়েছে এবং একই সঙ্গে খানিকটা স্বস্তি এনে দিয়েছে। কারণ বাজারে যেখানে ৮শ' টাকায় গরুর মাংস কিনতে হচ্ছে, সেখানে ভ্রাম্যমাণ ভ্যানে ৬শ' টাকায় একই মানের গরুর মাংস কিনতে পারছেন।

একইভাবে বাজারে যেখানে ২৩০ টাকা কেজি দরে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে, সেখানে ক্রেতারা পুরো ড্রেসিং করা মুরগি কিনেছেন ২৫০ টাকা কেজি দরে। সুলভ মূল্যের ভ্রাম্যমাণ দোকানে ১৩৫ টাকার (এক ডজন) ডিম বিক্রি হয়েছে ১১০ টাকায়। ৯০০ টাকা মূল্যে খাসির মাংস ও মিল্ক ভিটার দুধ ৯০ টাকা লিটার হিসেবে বিক্রি হয়েছে। ঢাকার এমন ২৫টি স্থানে ও ৫টি স্থায়ী দোকানে এই বিক্রয় কার্যক্রম চলছে। এর বাইরে মৎস্য অধিদপ্তর আলাদা ঢাকার আটটি স্থানে ২৪০ টাকা দরে রুই, ১৩০ টাকা দরে পাঙাশ ও তেলাপিয়া এবং ৩৩০ টাকা দরে পাবদা মাছ বিক্রি করা হয়েছে।

এর আগে গত ১০ মার্চ এই বিক্রি কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়। প্রথম রোজা থেকে শুরু হয়ে ২৮ রমজান পর্যন্ত ঢাকার ২৫টি স্থানে এসব পণ্য বিক্রি করা হবে। ভ্রাম্যমাণ বিক্রয় কেন্দ্রগুলোতে গরুর ৬০০ টাকা, খাসি ৯০০ টাকা, চামড়া ছাড়া ব্রয়লার ২৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হবে। এ ছাড়া ও প্রতি লিটার ৮০ টাকা ও ডিমের পিস ৯ টাকায় বিক্রি করা হবে। দুই সিটির পাঁচ জায়গায় বাসানো হয়েছে অস্থায়ী দোকান। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ৩৮ কর্মকর্তা ও ১০টি টিম পুরো কার্যক্রম দেখভাল করবেন বলেও জানা গেছে।

প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান বলেন, শেখ হাসিনার বাংলাদেশে কেউ ভাত ও মাছের কষ্ট পাবেন না। যে দাম নির্ধারণ করা হয়েছে, সেটার প্রভাব বাজারে পড়বে বলে মনে করেন তিনি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে