কাল দেশব্যাপী গণসংযোগ
ঢিলেঢালা কর্মসূচি নিয়ে রাজপথে থাকবে বিএনপি
প্রকাশ | ০৮ মার্চ ২০২৪, ০০:০০
যাযাদি রিপোর্ট
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন ঘিরে আন্দোলন ব্যর্থ হওয়ার পর হতাশ নেতাকর্মীদের চাঙা রাখতে ধারাবাহিকভাবে মাঠে থাকতে চায় বিএনপি। আপাতত জনস্বার্থ সম্পৃক্ত ঢিলেঢালা কর্মসূচি নিয়ে রাজপথে থাকবে দলটি। এর অংশ হিসেবে আগামীকাল শনিবার বিদু্যৎ, গ্যাস, জ্বালানি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে ঢাকা মহানগরসহ সারা দেশে লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগের কর্মসূচি পালন করবে দলটি।
বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করে জানা যায়, সরকার পতন কার্যকরী আন্দোলনে ফিরতে বিএনপির বেশ সময় লাগবে। এখনই বা আগামী তিন মাসে এ নিয়ে দল ভাবছেই না। এ বিষয়টি সম্প্রতি কারামুক্ত নেতাদের কথায় বেশ পরিষ্কার হয়। তারা বিভিন্ন ফোরামে তাদের জেলজীবনের নানা বিষয় বর্ণনা করছেন। তাতে এবারের কষ্টের বিষয়টি সামনে আসছে। কারাগার থেকে বের হয়ে বেশির ভাগ নেতাকর্মীই নিজেদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেছেন এবং করছেন। অনেকের শরীরে বাসা বেঁধেছে জটিল রোগ। নেতাকর্মীরা ছাড়াও দ্রম্নত সময়ের মধ্যে সিনিয়র নেতাদের অনেকেই স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য বিদেশে যাবেন। সংগত কারণে সহসাই বড় ধরনের আন্দোলনের কোনো কর্মসূচি আসছে না, তা বলা যায়। তবে জনস্বার্থসংশ্লিষ্ট ইসু্যতে কর্মসূচি নিয়ে মাঠে থাকবে বিএনপি।
বিএনপি সূত্রে জানায় যায়, পবিত্র রমজান ও ঈদ ঘিরে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির সীমাহীন মূল্যবৃদ্ধিসহ জনসম্পৃক্ত ইসু্যতে
ঢিলেঢালা কর্মসূচি দিয়ে মাঠে থাকবে বিএনপি। এছাড়া রমজানে এতিম ও আলেম-ওলামা, কূটনীতিক ও রাজনীতিকদের সম্মানে ইফতার মাহফিলের আয়োজন করবে। পাশাপাশি সারা দেশের সব সাংগঠনিক জেলাসহ সব ইউনিটেও ইফতার মাহফিল করবে। ঈদের পরে দল পুনর্গঠনের পাশাপাশি রাজপথে রাজনৈতিক কর্মসূচি নিয়ে মাঠে ফিরবে দলটি।
জনসম্পৃক্ত আগামীকালের কর্মসূচির প্রস্তুতি প্রসঙ্গে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ বলেন, একেবারেই শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি হবে সারা দেশে। বিদু্যৎ, গ্যাস, জ্বালানি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির প্র্র্রতিবাদে বিএনপি নেতারা লিফলেট বিতরণ করে গণসংযোগ করবেন। বড় ধরনের কোনো শোডউন হবে না।
\হখোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রমজান মাস সামনে রেখে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে যুগপৎ কর্মসূচির তাগিদ দিচ্ছে বিএনপির মিত্র কয়েকটি দল। এরই মধ্যে কয়েকটি দল এসব ইসু্যতে নিজেদের মতো কর্মসূচি নিয়ে মাঠেও নেমেছে। নিত্যপণ্যের দাম সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে আনার দাবিতে গণঅধিকার পরিষদ, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, ১২ দলীয় জোট গণবিক্ষোভ, মানববন্ধনের মতো কর্মসূচি পালন করেছে।
বিএনপির সিনিয়র এক নেতা জানান, পরিস্থিতির কারণেই বিএনপি ধীরে চলছে। আগামী কয়েক মাস বড় কর্মসূচিতে যাওয়ার পরিকল্পনা নেই। জুনের পর থেকে বড় আন্দোলনের কর্মসূচির পরিকল্পনা করা হচ্ছে। তবে এই সময়ের মধ্যে জনস্বার্থে বিভিন্ন ইসু্যতে ধারাবাহিক কর্মসূচি থাকবে। বিশেষ করে নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বগতি ও নাগরিক দুর্ভোগ-হয়রানির প্রতিবাদসহ জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে রাজপথে সোচ্চার থাকবে বিএনপি। সেই সঙ্গে সাংগঠনিক দুর্বলতা কাটাতে মূল দলসহ অঙ্গসংগঠনগুলোও গোছানোর কাজ চলবে।