শিক্ষা, বাণিজ্য ও উৎপাদনসহ প্রায় সব ক্ষেত্রে অদম্য নারী। অর্থনীতিতেও বাড়ছে তাদের সক্রিয় অংশগ্রহণ। প্রাতিষ্ঠানিক খাতের মধ্যে রপ্তানিমুখী ও পোশাক শিল্পে নারীর কাজ করার ব্যাপক সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। এখানে নারীর কর্মসংস্থান উচ্চ লাফে বেড়েছে। অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশে মজুরি বৈষম্যও কমেছে। তবে সবকিছুর পরও উচ্চশিক্ষা, প্রযুক্তি-গবেষণা ও গুরুত্বপূর্ণ পদে চাকরিসহ গুণগত অগ্রগতিতে নারীরা এখনো যথেষ্ট পিছিয়ে রয়েছে।
চলমান এ বাস্তবতায় আজ ৮ মার্চ প্রতি বছরের মতো এবারও সারা বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশেও পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক নারী দিবস। এ বছর নারী দিবসের মূল প্রতিপাদ্য- 'নারীর সমঅধিকার সমসুযোগ, এগিয়ে নিতে হোক বিনিয়োগ।' নারী-পুরুষের সমতার লক্ষ্যেই ও নারীর প্রতি সম্মান প্রদর্শনেই প্রতি বছর এই দিবস পালিত হয়ে আসছে।
সমাজ বিজ্ঞানীরা মনে করেন, নানা প্রতিবন্ধকতায় বাংলাদেশে কর্মক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ এখনো ব্যাপক আকারে হচ্ছে না। অধিকাংশ নারী অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে কাজ করেন। কারণ, চাকরি ক্ষেত্রে প্রযুক্তির কারণে নারীকে বাড়তি প্রতিযোগিতার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। নারীরা যথেষ্ট প্রশিক্ষণের সুযোগ পান না। ফলে তারা পিছিয়ে পড়েন। বিশেষ করে উচ্চপদে নারীর অবস্থান এখনো শক্তিশালী নয়। মুষ্টিমেয় যারা গুরুত্বপূর্ণ পদে কর্মরত তারাও ক্ষমতা ব্যবহারের ক্ষেত্রে নানাভাবে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ও বেসরকারি সংস্থা সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক ফর ইকোনমিক মডেলিংয়ের (সানেম) গবেষণা পরিচালক ড. সায়মা হক বিদিশা বলেন, শ্রমবাজারে নারীর অংশগ্রহণ বেড়েছে এটা ঠিক। কিন্তু সরকারের নীতিনির্ধারণী পর্যায়, পরিচালক, বড় ধরনের উচ্চপদে নারীর অবস্থান এখনো অনেক কম। কর্মক্ষেত্রে নারীর এ অগ্রগতিকে টেকসই করতে হবে। কর্মপরিবেশ আরও নিরাপদ করতে হবে। এ জন্য বাল্যবিয়ে বন্ধ, উচ্চশিক্ষায় নারীর অংশগ্রহণ বাড়ানো জরুরি।
তবে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষায় নারীর অংশগ্রহণ পুরুষের চেয়ে বেশি হলেও উচ্চশিক্ষায় এ হার এখনো হতাশাজনক। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের মধ্যে নারী শিক্ষার্থী মাত্র ৩৬ শতাংশ। এছাড়াও বর্তমানে সরকারি চাকরিতে নারীদের অংশগ্রহণ মাত্র ২৮ শতাংশ। অন্যদিকে, বিজ্ঞান ও গবেষণায় নারীর
অংশগ্রহণ ২৮ শতাংশ হলেও গবেষণায় নেতৃত্ব দিচ্ছেন মাত্র ১৭ শতাংশ নারী।
শিক্ষা ও নারী উন্নয়ন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সামাজিক কাঠামোয় নারীরা এখনো শৃঙ্খলিত। পারিবারিক এবং আর্থিক কাঠামোয় নারীকে নির্ভর করতে হয় পুরুষের ওপর। সামনে এগিয়ে যেতে নানা কটু-কথার পাশাপাশি নারীদের শিকার হতে হয় সহিংসতার মতো ঘটনারও। এছাড়াও বিচারহীনতার সংস্কৃতি ও দৃষ্টান্তমূলক ন্যায়বিচারের উদাহরণ সৃষ্ট করতে না পারায় এখনো নারীদের সমাজ কাঠামোয় বাস করতে হয় অনেকটা সীমাবদ্ধ গন্ডিতেই।
পাশাপাশি সমাজে মানবাধিকার লঙ্ঘনের মতো ঘটনাও কাঠগড়ায় দাঁড় করায় নারীর মানুষ হিসেবে বাঁচার প্রশ্নকে। এসব সমস্যার সমাধান হিসেবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আত্মকেন্দ্রিক-সামাজিক-প্রতিযোগিতা ও কাঠামো থেকে বেরিয়ে নিশ্চিত করতে হবে ব্যক্তির স্বাধীনতা এবং নারীকে বাঁচতে দিতে হবে মানুষ হিসেবে; সমান অধিকার ও স্বাধীনতার প্রশ্নেও দিতে হবে সমান সুযোগ। তবেই, সমাজ-রাষ্ট্র বিনির্মাণে আসবে কাঙ্ক্ষিত সাফল্য।
বাংলাদেশ শিক্ষা, তথ্য ও পরিসংখ্যান বু্যরোর (ব্যানবেইস) সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, দেশের প্রাথমিক শিক্ষায় শতকরা ৪৯ দশমিক ৫০ শতাংশ ছাত্রী। মাধ্যমিকে এ হার ৫৪ দশমিক ৬৭ শতাংশ এবং উচ্চ মাধ্যমিকে ৫১ দশমিক ৮৯ শতাংশ হলেও সবচেয়ে কম উচ্চশিক্ষায়; যা শতকরা হিসেবে ৩৬ দশমিক ৩০ শতাংশ। বর্তমানে দেশে মোট ২ কোটি ২ লাখ ৩৪ হাজার ৬৪৬ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে নারী শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১ কোটি ৩ লাখ ৯ হাজার ৭৮৩ জন, শতকরায় যা ৫০ দশমিক ৯৫ শতাংশ। অন্যদিকে, উচ্চশিক্ষায়তনে মোট নারী শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৪ লাখ ৪৭ হাজার ৭৪৪ জন।
সামগ্রিক বিচারে শিক্ষায় নারীর সরব অংশগ্রহণ থাকলেও তার বিপরীত চিত্র কর্মক্ষেত্রে। সরকারি চাকরির বিভিন্ন তথ্য বিশ্লেষণ বলছে, সরকারি চাকরিতে শিক্ষক ও চিকিৎসকদের মধ্যে নারীর হার তুলনামূলক বেশি। এ হার বেশির ক্ষেত্রে কাজ করছে কোটা, পছন্দ এবং আর্থ-সামাজিক দায়বদ্ধতা। বর্তমানে দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে নিয়োগের ক্ষেত্রে ৮৪ শতাংশ কোটা সুবিধায় নিয়োগ পান নারী প্রার্থীরা। ফলে বর্তমানে প্রাথমিকের শিক্ষকতায় ৬১ দশমিক ৩৫ শতাংশই নারী। বিপরীতে মাধ্যমিকে নারী শিক্ষকের হার ২৮ দশমিক ৮২ শতাংশ; ২০১২ সালে যে হার ছিল ২৪ দশমিক ৩৭ শতাংশ। আর উচ্চ মাধ্যমিকে এ হার আরও কম, মাত্র ২৩ দশমিক ৯৭ শতাংশ এবং উচ্চশিক্ষায় নারী শিক্ষকের হার ২৯ দশমিক ৩৩ শতাংশ। আর সামগ্রিক চাকরিতে নারীর অংশগ্রহণ প্রায় ২৮ শতাংশের মতো।
এদিকে দেশে বিসিএসসহ নানা প্রতিযোগিতায় নারীর অংশগ্রহণ বাড়লেও তা ব্যাপক না হওয়ায় সমাজে নারীর শক্ত কোনো অবস্থানের জানান দিতে পারছে না; যার ফলে নারীদের জন্য খুব বেশি ইতিবাচক পরিবর্তন আসছে না আর্থ-সামাজিক কাঠামোয়।
সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) তথ্য অনুযায়ী, ৩৮তম বিসিএস পরীক্ষার মাধ্যমে ক্যাডার কর্মকর্তা হিসেবে চাকরির জন্য সুপারিশকৃত ২ হাজার ২০৪ জনের মধ্যে ১ হাজার ৬১১ জন (৭৩.০৯%) পুরুষ এবং নারী ৫৯৩ জন (২৬.৯১%)। এর আগে ৩৭তম বিসিএসে সুপারিশকৃত ১ হাজার ৩১৩ জনের মধ্যে ৯৯০ জন (৭৫.৪০%) পুরুষ এবং নারী ৩২৩ জন (২৪.৬০%)। তবে বিশেষ বিসিএসের মাধ্যমে নারীর চাকরি পাওয়ার সংখ্যাটি পুরুষদের প্রায় সমান। ৪২তম বিশেষ বিসিএসে সুপারিশকৃত ৪ হাজার জনের মধ্যে ২ হাজার ৩৯ জন (৫০.৯৮%) পুরুষ এবং নারী ১ হাজার ৯৬১ জন (৪৯.০২%)।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সরকারি চাকরিজীবীদের তথ্য সংক্রান্ত 'স্ট্যাটিসটিকস অব সিভিল অফিসার্স অ্যান্ড স্টাফস' শীর্ষক প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, দেশে সরকারি নারী কর্মকর্তা-কর্মচারীর হার সীমাবদ্ধ রয়েছে ২৭ থেকে ২৮ শতাংশের মধ্যেই। প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, বিসিএসের মাধ্যমেও চাকরিতে নারীর হার খুব একটা বাড়ছে না এবং শীর্ষস্থানীয় ও নীতিনির্ধারণী পদে নারীর অংশগ্রহণ এখনো অনেক কম। সরকারের ৭৭ জন সচিবের মধ্যে নারী মাত্র ১০ জন। আর বর্তমানে দেশের ১৫ লাখেরও অধিক সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর মধ্যে নারী ৪ লাখ ১৪ হাজারের মতো।
এছাড়াও বর্তমানে বাংলাদেশে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহণও সীমিত। জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থা-ইউনেস্কোর তথ্য বলছে, বিশ্বব্যাপী স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের মোট শিক্ষার্থীর ৫৩ শতাংশ নারী (স্নাতকে এ হার ৪৪ ও স্নাতকোত্তরে ৫৫) এবং পিএইচডি পর্যায়ে ৪৩ শতাংশ। বৈশ্বিক হিসেবে উচ্চশিক্ষায় নারী পুরুষের প্রায় সমকক্ষ হয়েছেন। কিন্তু বিজ্ঞান ও গবেষণায় নারীর অংশগ্রহণ মাত্র ২৮ শতাংশ।
সম্প্রতি গবেষণা নিয়ে কাজ করা সম্মানজনক 'নেচার সাময়িকী'র এক গবেষণায় বলছে, ৮৩ হাজার গবেষণাপত্রের মাত্র ১৭ শতাংশের প্রধান গবেষক ছিলেন নারী। অন্যদিকে বাংলাদেশ শিক্ষা, তথ্য ও পরিসংখ্যান বু্যরোর (ব্যানবেইস) ২০২২ সালের সর্বশেষ তথ্য অনুসারে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) নারী শিক্ষার্থীর হার মাত্র ২১ দশমিক ২৫ শতাংশ। এছাড়াও একই অবস্থা দেশের প্রকৌশল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও।
ইউজিসির বার্ষিক প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে ব্যানবেইস বলছে, দেশে ১৬০টি সরকারি-বেসরকারি এবং আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়ে নারী শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর সংখ্যা যথাক্রমে ২৯% ও ৩৬%।
এদিকে যে কোনো পরিবর্তনের প্রভাব সবসময়ই নারীর ওপর পড়ে; কোভিড-১৯ ও বৈশ্বিক নানা প্রভাব দেশে পড়েছে এবং যার ফলে দেশের শিক্ষা ও কর্মক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ কমেছে জানিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উইম্যান অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. তানিয়া হক জানান, পরিবর্তনের যে প্রভাব তা নেতিবাচকভাবেই পড়ে নারীদের ওপর। যখন কোনো কাটছাঁট বা সংকোচনের প্রশ্ন আসে তখনই বাদ দেওয়া হয় নারীদের।
তিনি বলেন, 'আমরা সংখ্যাভিত্তিক উন্নয়ন কাঠামোয় আটকে গেছি; যেখানে উন্নতির মাপকাঠি বিচার করা হয় আর্থিক মানদন্ডে, যার ফলে নারীর অগ্রযাত্রা একটি কাঠামোর মধ্যে আবদ্ধ হয়ে আছে; আমাদের এ অবস্থা থেকে বের হতে হবে।'
এদিকে সামাজিক ও পরিবারিক নানা প্রতিবন্ধকতামূলক পরিস্থিতিতে নারী মানসিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ার কারণে উচ্চ প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে প্রস্তুত হতে পারে না বলে মনে করেন সমাজবিজ্ঞানীরা। তারা এ ক্ষেত্রে বিসিএস পরীক্ষায় নারীর অংশগ্রহণের কমতির দিকটি তুলে ধরেন।
এ বিষয়ে পিএসসির চেয়ারম্যান মো. সোহরাব হোসাইন চৌধুরী বলেন, নানা প্রতিবন্ধকতার কারণে হয়তো বিসিএস পরীক্ষায় নারীরা পিছিয়ে রয়েছেন। বিশেষ করে বিয়ের পর চাকরির ক্ষেত্রে সমাজে নারীদের উৎসাহী করা হয় না। এ জন্য পারিবারিকভাবে নারীদের বিসিএস পরীক্ষা দেওয়ার জন্য উৎসাহী করতে হবে। জনসংখ্যার অর্ধেক নারী। চাকরি ক্ষেত্রে নারীদের সমান অংশগ্রহণ অপরিহার্য বলে মনে করেন তিনি।
প্রসঙ্গত, ১৮৫৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রে নারী শ্রমিকদের হাত ধরেই সূচনা ঘটে নারী দিবসের। নারীর ক্ষমতায়ন ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠায় কয়েকজন সাহসী নারী এক্ষেত্রে মুখ্য ভূমিকা পালন করেন। প্রায় ১৫ হাজার নারী সেদিন নিউইয়র্ক সিটির রাস্তায় নেমেছিলেন। নারীর অধিকার রক্ষার আন্দোলন করেছিলেন তারা।
এরই ধারাবাহিকতায় বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর পালন করা হয় আন্তর্জাতিক নারী দিবস। ১৯০৯ সালের ২৮ ফেব্রম্নয়ারি নিউইয়র্ক সিটিতে প্রথম নারী দিবস পালন করা হয়। এটি জাতীয় নারী দিবস হিসেবে পরিচিত ছিল। অ্যাক্টিভিস্ট থেরেসা মালকিয়েলের পরামর্শে আমেরিকার সোশ্যালিস্ট পার্টি এই তারিখে দিনটি উদযাপন করে।
১৯১০ সালের আগস্টে ডেনমার্কের কোপেনহেগেনে অনুষ্ঠিত হয় দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক নারী সম্মেলন। ১৭টি দেশ থেকে ১০০ জন নারী প্রতিনিধি এতে যোগ দিয়েছিলেন। এ সম্মেলনে জার্মান রাজনীতিবিদ ও সমাজতান্ত্রিক নেত্রী ক্লারা জেটকিন প্রতি বছর ৮ মার্চকে আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে পালন করার প্রস্তাব দেন। সিদ্ধান্ত হয়- ১৯১১ সাল থেকে নারীদের সমঅধিকার দিবস হিসেবে দিনটি পালিত হবে।
১৯১৪ সালে জার্মানিতে প্রথমবার ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালিত হয়। জাতিসংঘ ১৯৭৫ সালে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উদযাপন শুরু করে। ১৯৭৭ সালে এটি আনুষ্ঠানিকভাবে সম্মত হয় যে প্রতি বছর ৮ মার্চ দিনটি ব্যাপকভাবে পালন করা হবে।
১৯৯৬ সাল থেকে জাতিসংঘ প্রতি বছর নারী দিবসের মূল প্রতিপাদ্য ঘোষণা করে আসছে। নারীর সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক সাফল্যগাথা ও লিঙ্গ সমতার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো প্রাধান্য দিয়ে করা হয় এসব প্রতিপাদ্য।