রেস্টুরেন্টে অভিযান প্রায় ৯ লাখ টাকা জরিমানা একটি ভবন ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা

প্রকাশ | ০৭ মার্চ ২০২৪, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
ঢাকার অভিজাত এলাকা গুলশান ছাড়াও বনানী এবং খিলগাঁওয়ে আবাসিক ভবনে থাকা রেস্টুরেন্টের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। প্রায় ৯ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে ছয়টি রেস্টুরেন্টকে। এছাড়া বনানীর একটি ভবনকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করে নোটিশ ঝুঁলিয়ে দেওয়া হয়েছে। অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও ঘোষণা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। বুধবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযানে নামে। গুলশান-২ নম্বর সার্কেলের পাশের দুইটি ভবনে অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের কর্মকর্তারাও সঙ্গে ছিলেন। ডিএনসিসির অঞ্চল-৩-এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জুলকার নায়ন গুলশান-২ গোলচত্বরসংলগ্ন ৪৬ নম্বর সড়কের ৩৩ নম্বর পস্নটের ৫তলা ভবনের দোতলার এক পাশ নিয়ে গড়ে তোলা কাচ্চি ভাই রেস্তোরাঁয় অভিযান চালান। অভিযানকালে রেস্তোরাঁ কর্তৃপক্ষ ট্রেড লাইসেন্স ছাড়া অন্য কোনো কাগজপত্রই দেখাতে পারেনি। এজন্য রেস্তোরাঁটিকে নিরাপদ খাদ্য আইনে ১ লাখ টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। জরিমানা অনাদায়ে রেস্তোরাঁ মালিকের ৩ মাসের কারাদন্ডের কথাও তাৎক্ষণিকভাবে \হজানিয়ে দেওয়া হয়। এছাড়া ভবনটিতে থাকা ধানসিঁড়ি রেস্টুরেন্টকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। সেই সঙ্গে আগামী ৭ কার্যদিবসের মধ্যে প্রয়োজনীয় সব কাগজপত্র সংগ্রহ করতে নির্দেশ দেন বিচারক। অন্যথায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান তিনি। সরেজমিন দেখা গেছে, বহুতল ভবনটির নিচ তলায় গিরোস গ্রিক ফুড অ্যান্ড ধানসিঁড়ি রেস্তোরাঁ, দ্বিতীয় তলায় পেশোয়ার ডাইন ও রাজ কাচ্চি, চতুর্থ তলায় ক্যাফে সেলিব্রিটি রেস্তোরাঁ এবং পঞ্চম তলার আরেক পাশে কিং ফিশার রেস্তোরাঁ অ্যান্ড বার রয়েছে। এছাড়া গুলশান-২ সার্কেলের মোড়েই অবস্থিত সেবা হাউস নামের একটি বহুতল ভবনে অভিযান চালান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জুলকার নায়ন। ভবন রক্ষণাবেক্ষণে নানা অনিয়ম পরিলক্ষিত হওয়ায় ভবন মালিককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাংবাদিকদের জানান, অগ্নিনিরাপত্তা ছাড়পত্রের জন্য আবেদন করেছে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো। যদিও অভিযান পরিচালনার সময় পর্যন্ত প্রতিষ্ঠান দুইটি ছাড়পত্র দেখাতে পারেনি। এ জন্য রেস্টুরেন্ট দুইটিকে ব্যবসা করার জন্য প্রয়োজনীয় অন্যান্য সংস্থার কাগজপত্র সংগ্রহ করতে ৭ কার্যদিবস সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জোগাড় করতে না পারলে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো সিলগালা করে বন্ধ করা হবে। অন্যদিকে বুধবার দুপুর ১২টার দিকে ঢাকার খিলগঁাঁওয়ে অভিযান শুরু করে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কামরুল ইসলাম। অভিযানে খিলগাঁওয়ের ২৫/বি নম্বর ১৪ তলা বাড়িটির নিচের চারটি তলায় রেস্টুরেন্ট দেখতে পান ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক। ভবনটিতে ডমিনোস পিৎজা, কেএফসি, সিক্রেট রেসিপি, ক্রিমসন কাপ ও আল-কাদেরিয়া পার্টি সেন্টার রয়েছে। অভিযানকালে ক্রিমসন কাপ ও আল-কাদেরিয়া পার্টি সেন্টার বন্ধ ছিল। খোলা থাকা ডমিনোস পিৎজা, কেএফসি ও সিক্রেট রেসিপি নামের রেস্টুরেন্টকে আবাসিক ভবনে বাণিজ্যিক কর্মকান্ড পরিচালনা, নিরাপদ খাদ্য আইনে ২ লাখ করে মোট ৬ লাখ টাকা এবং চায়না ল্যান্ড রেস্টুরেন্টকে ১ লাখ টাকা, মোট ৭ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।