আজকের যায়যায়দিন

তিন ম্যাচ সিরিজে টিকে থাকার লক্ষ্যে আজ বুধবার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় টি২০তে শ্রীলংকার বিপক্ষে জয়ের জন্য মাঠে নামছে বাংলাদেশ। ম্যাচটি শুরু হবে সন্ধ্যা ৬টায়। খেলাটি সরাসরি সম্প্রচার করবে গাজী টিভি, টি-স্পোর্টস।

অভিষিক্ত জাকের আলি অনিক এবং অভিজ্ঞ মাহমুদউলস্নাহ রিয়াদের বীরত্বপূর্ণ ইনিংস সত্ত্বেও প্রথম টি২০তে মাত্র ৩ রানে হেরে যায় বাংলাদেশ। বড় রান তাড়া করতে নামা বাংলাদেশের জয়ের আশা শেষ ওভার পর্যন্ত বাঁচিয়ে রেখেছিলেন ৩৪ বল খেলে ৬৮ রানের ইনিংস খেলা জাকের। বিশেষভাবে সাহসী ব্যাটিংয়ের জন্য প্রশংসা কুড়িয়েছেন জাকের। নিজের ইনিংসে ৬টি ছক্কা হ

হাঁকান জাকের। যা শুধু একজন অভিষেক ব্যাটার হিসেবেই নয়, টি২০ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশি কোনো ব্যাটারের পক্ষেও সর্বোচ্চ।

প্রথমে ব্যাট করে ৩ উইকেটে ২০৬ রানের বড় সংগ্রহ পায় শ্রীলংকা। তবে সন্ধ্যার শিশিরের কারণে বড় টার্গেট স্পর্শ করার সুযোগ ছিল। কিন্তু টপ-অর্ডারের ব্যর্থতায় ইনিংসের শুরুতে ৩০ রানে বাংলাদেশের ৩ উইকেট পতন হারের প্রধান কারণ হিসেবে শেষ পর্যন্ত প্রমাণিত হয়। মাহমুদউলস্নাহ ও জাকের প্রতিরোধ গড়ে না তুললে অনেক আগেই শেষ হয়ে যেত ম্যাচটি।

চাপের মধ্যে প্রতিপক্ষকে প্রথম পাল্টা আক্রমণ করেন দুই বছর পর আন্তর্জাতিক অঙ্গনে টি২০ ম্যাচ খেলতে নামা মাহমুদউলস্নাহ। জাকেরের ব্যাটিং ঝড়ের আগে ৩১ বলে ৫৪ রানের ইনিংস খেলেন মাহমুদউলস্নাহ। শেষ ওভারে বাংলাদেশের জয়ের জন্য ১২ রানের দরকার ছিল। ওই ওভারে জাকিরসহ দুই উইকেট নিয়ে টাইগারদের জয় বঞ্চিত করেন দাসুন শানাকা।

হারের পরও এমন পারফরমেন্স সিরিজে সমতা আনতে বাংলাদেশকে অনুপ্রাণিত করবে বলে জানিয়েছেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। অধিনায়ক বলেন, 'আমরা বোলিংয়ে ভালো শুরু করেছি। কিন্তু পরে আমাদের পরিকল্পনা কাজে লাগাতে পারিনি। মাহমুদউলস্নাহ-জাকেরের ইনিংস দু'টি দুর্দান্ত ছিল। আশা করি তারা পরের ম্যাচেও এ ধারা অব্যাহত রাখবে।'

প্রথম ম্যাচের হার থেকেও ইতিবাচক দিকগুলো নেওয়ার সুযোগ থাকছে দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ঘরের মাঠের সমর্থকদের মাতিয়ে রাখা সিলেটের ছেলে জাকেরের। তিনি বলেন, 'হার সবসময়ই হৃদয়বিদারক। বিপিএল ফাইনালে হারের পর রাতে আমি ঘুমাতে পারিনি। জিততে পারলে খুব ভালো লাগত। পরের ম্যাচের জন্য ইতোমধ্যে পরিকল্পনা করেছি। এই ম্যাচ থেকে আমরা অনেক ইতিবাচক বিষয় নিতে পারব।'

টপ অর্ডারের ফর্ম উদ্বেগজনক হলেও গুরুত্বপূর্ণ দ্বিতীয় ম্যাচের একাদশে পরিবর্তন আনতে চাইবে না বাংলাদেশ।

ওপেনার কুশল মেন্ডিস এবং মিডল অর্ডার ব্যাটার সাদিরা সামারা বিক্রমার দুটি দুর্দান্ত ইনিংসের পর ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক চারিথ আসালঙ্কার ক্যামিও ইনিংসে বড় সংগ্রহ পায় শ্রীলংকা। এজন্য লোয়ার মিডল অর্ডার ব্যাটারদের ক্রিজে আসার প্রয়োজনও পড়েনি। শিশির থাকার পরও দারুণ বোলিং করেছে শ্রীলংকা। প্রথম ম্যাচের পারফরমেন্সের পর একাদশে পরিবর্তন আনতে চাইবে না শ্রীলংকাও। কিন্তু প্রথম ম্যাচে ডেথ ওভারে বোলিং করার সময় পেসার মাথিশা পাথিরানা ইনজুরি নিয়ে উদ্বেগ আছে লংকান শিবিরে।

শ্রীলংকার বিপক্ষে এখন পর্যন্ত ১৪ বারের মোকাবিলায় ১০টিতে হেরেছে বাংলাদেশ, জিতেছে ৪টিতে।