সিরাজগঞ্জ শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালে শিক্ষকের গুলিতে আরাফাত আমিন তমাল নামের এক শিক্ষার্থী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর মধ্যে কথা কাটাকাটি জের ধরে সোমবার বিকেল ৩টায় ফরেনসিক মেডিসিন আইটেম ক্লাস চলাকালীন এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে পুলিশ। অভিযুক্ত শিক্ষক ডা. রায়হান শরিফকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
মেডিকেলের ছাত্রছাত্রী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ডা. রায়হান শরিফ বিভিন্ন সময়ে ছাত্রীদের কুপ্রস্তাব ও ভয়ভীতি দেখিয়ে আসছিলেন। এ বিষয়ে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ দিলেও কলেজ কর্তৃপক্ষ কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। এমনিক ডা. রায়হান শরিফ কমিউনিটি মেডিসিনের শিক্ষক হওয়া সত্ত্বেও তার নিজস্ব ক্ষমতা দেখিয়ে ফরেনসিক বিভাগে তিনি ক্লাস নিয়ে থাকেন। ক্লাস চলাকালীন ছাড়াও প্রায় সময়ই তিনি পিস্তল নিয়ে চলাফেরা করতেন। সোমবার বিকেলে দেশীয় পিস্তল ও ১০ থেকে ১২টা দেশীয় ধারালো চাকু নিয়ে ওই শিক্ষক ক্লাসরুমে ঢুকেন। এ সময় অষ্টম ব্যাচের ৩য় বর্ষের ছাত্র আরাফাত আমিন তমালকে গুলি করেন। তার আত্মচিৎকার শুনে সবাই এগিয়ে এসে তমালকে উদ্ধার করে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভর্তি করে। আর ডা. রায়হান শরিফকে ছাত্রছাত্রীরা তালাবদ্ধ করে রাখেন। এ সময় ওই শিক্ষকের বিচার চেয়ে মেডিকেলের ছাত্রছাত্রীরা আন্দোলন করতে থাকেন।
জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশের ওসি
জুলহাজ উদ্দিন জানান, ওই শিক্ষক প্রতিদিন ক্লাসে পিস্তল নিয়ে আসতেন। সোমবার বিকেলে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে ওই শিক্ষক রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে গুলি চালান। এ সময় আহত হন শিক্ষার্থী আরাফাত আমিন তমাল। পরে ওই শিক্ষককে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।