বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪, ৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

পিলখানার ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেন না ঘটে : প্রধানমন্ত্রী

যাযাদি রিপোর্ট
  ০৫ মার্চ ২০২৪, ০০:০০
পিলখানার ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেন না ঘটে : প্রধানমন্ত্রী

পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহে সংঘটিত হত্যাকান্ডের মতো ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেন আর কখনো না ঘটে, সেই প্রত্যাশা রেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, 'স্বজন হারানোর বেদনা যে কত কঠিন, সেটা বোধহয় আমার থেকে বেশি আর কেউ উপলব্ধি করতে পারে না। তবে যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে, তাদের বিচারের আওতায় আনা হয়েছে। এ ধরনের ঘটনা যেন আর কখনো না ঘটে।'

সোমবার পিলখানার বীর উত্তম আনোয়ার হোসেন প্যারেড গ্রাউন্ডে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) দিবসের কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী কুচকাওয়াজ পরিদর্শন এবং অভিবাদন গ্রহণ করেন। পরে বীরত্বপূর্ণ ও কৃতিত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতিতে ৭২ বিজিবি সদস্যের মধ্যে পদক পরিয়ে দেন শেখ হাসিনা।

বিজিবি সদস্যদের উদ্দেশে ভাষণে ভয়াবহ সেই বিদ্রোহের স্মৃতি স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'বিজিবির তৎকালীন মহাপরিচালকসহ যেসব সদস্য নিহত হয়েছে, আমি তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করি এবং তাদের পরিবারের প্রতি আমার সহমর্মিতা জানাই।'

তিনি বলেন, 'স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ, এই বাংলাদেশের সীমান্ত রক্ষার দায়িত্ব কিন্তু বিজিবির ওপর। সীমান্ত রক্ষার পাশাপাশি চোরাচালান, মাদক চালানসহ নারী ও শিশু পাচারের মতো বিভিন্ন বিষয় বিজিবি অত্যন্ত দায়িত্বের সাথে প্রতিরোধ করে থাকে এবং এই চোরাচালানের মালামাল আটক করে থাকে। আমাদের দেশমাতৃকা রক্ষায় সদা অতন্দ্র প্রহরী বিজিবি। তারা দেশের অর্থনীতির জন্য কাজ করে থাকে। প্রায় ১০ লাখের ওপর রোহিঙ্গা শরণার্থী আজকে আশ্রয় নিয়েছে। সেখানে আমাদের বিজিবিসহ সশস্ত্র বাহিনী, পুলিশ,র্ যাব কাজ করছে। সেই এলাকাটা নজরদারির মধ্যে রাখছে।'

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, 'সীমান্তের অতন্দ্র প্রহরী এবং দেশের অভ্যন্তরে যখনই কোনো সমস্যা হয়, সেই অগ্নিসন্ত্রাস থেকে শুরু করে নানা ধরনের ঘটনা ঘটেছে, তখনও বিজিবি মানুষের পাশে আছে। জানমাল রক্ষায় সবসময় ভূমিকা রাখে এবং জাতির একটা আস্থা বিশ্বাস আপনারা অর্জন করেছেন। আমরা ইতোমধ্যে এই বিজিবিকে আরও শক্তিশালী করার জন্য বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ আইন ২০১০ পাস করেছি। সাথে সাথে একটি দক্ষ

আধুনিক একটি দ্বিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে বিজিবি গড়ে উঠেছে। জল, স্থল এবং আকাশ পথেও দায়িত্ব পালন করতে সক্ষম হয়েছে।'

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশকে বিশ্বমানের আধুনিক সীমান্তরক্ষী বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার জন্য বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ 'ভিশন ২০৪১' প্রণয়ন করার কথা হাসিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, 'বাংলাদেশকে আমরা ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে গড়তে চাই, আমাদের বিজিবিও হবে তেমনি একটি স্মার্ট বাহিনী।'

বিজিবি সদস্যদের শৃঙ্খলা মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'মনে রাখবেন, শৃঙ্খলা এবং চেইন অব কমান্ড একটি শৃঙ্খলাবাহিনীর সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ চালিকা শক্তি। কখনও শৃঙ্খলার ব্যাঘাত ঘটাবেন না, শৃঙ্খলা মেনে চলবেন, চেইন অব কমান্ড মেনে চলবেন।'

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে