বেইলি রোডে আগুন

কমিটি গঠন করে তদন্তের নির্দেশনা চেয়ে রিট

প্রকাশ | ০৪ মার্চ ২০২৪, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
রাজধানীর বেইলি রোডে অগ্নিকান্ডের ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠনের নির্দেশনা চেয়ে রিট হয়েছে। বেইলি রোডসহ ঢাকা সিটি করপোরেশনের আবাসিক এলাকায় বাণিজ্যিক কার্যক্রম বন্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে ও বেইলি রোডে আগুনের ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যদের পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ দিতে নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ রোববার সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি দায়ের করেন। পরে তিনি বলেন, বিচারপতি নাইমা হায়দারের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চে আজ রিটটি শুনানির জন্য উপস্থাপন করা হবে। বেইলি রোডে অগ্নিকান্ডে ৪৬ জনের মৃতু্যর ঘটনা তদন্ত করতে বিচার বিভাগীয় কমিশন গঠন এবং ক্ষতিগ্রস্তদের প্রত্যেককে পাঁচ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণের দাবিতে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. সোলায়মান রোববার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, রাজউকের চেয়ারম্যান ও ঢাকার জেলা প্রশাসক বরাবর ডাকযোগে ওই নোটিশ পাঠান। নোটিশে বলা হয়, সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৩২ অনুযায়ী, প্রত্যেকের জীবন ধারণের অধিকার রয়েছে ও ব্যক্তিস্বাধীনতা রয়েছে। অনুচ্ছেদ ৩৬ অনুযায়ী, প্রত্যেক নাগরিকের নিরবচ্ছিন্নভাবে চলাফেরার অধিকার রয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ একটি ভবন পরিত্যক্ত ঘোষণা না করায় এবং যথাযথ ব্যবস্থা না নেওয়ায় কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতার কারণেই এই অগ্নিকান্ডের ঘটনার ঘটছে এবং ৪৬ জন মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে এবং অনেকেই আহত হয়েছেন। কর্তৃপক্ষ কোনোক্রমেই তাদের দায় এড়াতে পারে না। নোটিশ গ্রহণের পাঁচ দিনের মধ্যে কী ধরনের কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা লিখিতভাবে জানাতে বলা হয়েছে। আইনজীবী সোলায়মান তুষার বলেন, নোটিশ পাওয়ার পর যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে হাইকোর্ট বিভাগে বিচার বিভাগীয় কমিশন গঠন ও ক্ষতিপূরণ দাবিতে জনস্বার্থে রিট করা হবে। বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টায় রাজধানীর বেইলি রোডে গ্রিন কোজি কটেজ নামে ভবনে আগুন লাগে। এ পর্যন্ত আগুনে ৪৬ জনের মৃতু্যর খবর পাওয়া গেছে। আগুনের ঝুঁকি ও অনুমোদন না থাকার পরও ভবনটিতে আটটি রেস্তোরাঁ চলছিল বছরের পর বছর ধরে। সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে সেখানে খেতে ভিড় করেছিলেন নগরের বাসিন্দারা। কেউ গিয়েছিলেন শিশুসন্তানদের নিয়ে, কেউ গিয়েছিলেন স্বজনদের নিয়ে, কেউ গিয়েছিলেন বন্ধুদের সঙ্গে। কারও কারও জীবন চলত ওই ভবনে থাকা প্রতিষ্ঠানে কাজ করে।