কুষ্টিয়া থেকে বড় হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে ঢাকায় এসেছিলেন অভিশ্রম্নতি ওরফে বৃষ্টি খাতুন। পড়াশোনার পাশাপাশি করতেন সাংবাদিকতা। কিন্তু সেই স্বপ্ন পূরণ করতে দিল না ভয়াবহ অগ্নিকান্ড। গত বৃহস্পতিবার রাতে বেইলি রোডের অগ্নিকান্ডে নিহত সাংবাদিক অভিশ্রম্নতির গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়ার খোকসায় এখন চলছে শোকের মাতম।
কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার বনগ্রামের বৃষ্টি খাতুন, ২০১৮ সালে কুষ্টিয়া সরকারি মহিলা কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ভর্তি হন ঢাকার ইডেন কলেজে। পড়াশোনার পাশাপাশি করতেন সাংবাদিকতা। দেখতেন বিসিএস ক্যাডার হওয়ার স্বপ্ন। কিন্তু তার সেই স্বপ্ন পূরণ করতে দিল না ভয়াবহ অগ্নিকান্ড। গত বৃহস্পতিবার রাতে বেইলি রোডের অগ্নিকান্ডে প্রাণ হারানো ৪৬ জনের একজন
সাংবাদিক অভিশ্রম্নতি ওরফে বৃষ্টি। তবে তার পরিচয় জটিলতায় নিথর মরদেহটি পড়ে আছে এখনো হাসপাতালের হিমঘরে। এলাকাবাসী বলছেন, অগ্নিকান্ডে মারা যাওয়া অভিশ্রম্নতিকে এলাকায় বৃষ্টি নামেই চেনেন তারা। বৃষ্টি থেকে কীভাবে অভিশ্রম্নতি হলেন, তাও তাদের অজানা। আর মরদেহ এক নজর দেখার অপেক্ষায় স্তব্ধ পরিবার। নিহত অভিশ্রম্নতির মরদেহ দ্রম্নত পেতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়েছেন মা বিউটি খাতুন। খোকসা উপজেলার বনগ্রামের শাবলুল আলম সবুজের তিন মেয়ের মধ্যে সবার বড় অভিশ্রম্নতি ওরফে বৃষ্টি খাতুন। তার মেজো বোন ঝর্ণা রাজবাড়ি কলেজে পড়েন। আর ছোট বোন বর্ষাকে নিয়ে মা বিউটি খাতুন থাকেন গ্রামের বাড়ি।