চলতি সপ্তাহেই জ্বালানি তেলের নিয়মিত দাম নির্ধারণ শুরু হবে। এখন প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে জ্বালানি বিভাগ। এতে দাম কমার ইঙ্গিত দিয়ে বিদু্যৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেল কিছুটা সাশ্রয়ী দামে পাওয়া যাচ্ছে। এ মাসে দাম ঘোষণায় কিছুটা সাশ্রয় হবে। প্রতি মাসেই দাম সমন্বয় করা হবে। রোববার বিকালে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন বিদু্যৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী।
জ্বালানি তেলের দাম নির্ধারণ নিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, কয়েক দিনের মধ্যে জ্বালানি তেলের দাম সমন্বয় হতে পারে। প্রস্তাব অনুমোদনের আগে নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। তবে সাশ্রয়ী মূল্যে জ্বালানি তেল সরবরাহের আশা করা হচ্ছে।
এর আগে জ্বালানি তেলের স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণের সূত্র নির্ধারণ করে নির্দেশিকা প্রকাশ করা হয়েছে গত ২৯ ফেব্রম্নয়ারি।
দাম কেমন কমতে পারে- এমন প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সূত্র অনুসারে যা আসবে, সেটাই নতুন দাম হবে। এতে কমতে পারে বলে আশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, আগে সংস্থাগুলোকে বলা হতো, বিশ্ববাজারে দাম কমলে কেন কমানো হয় না। এখন বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে গেছে, নিয়মিত
সমন্বয় হবে। দাম যদি বিশ্ববাজারে আবার বাড়ে, তখন ওইভাবে সমন্বয় হবে। আগামী মাসে যদি আরও কমে, দেশেও কমানো হবে। প্রতিবেশী দেশ ভারতে প্রতিদিন জ্বালানি তেলের দাম সমন্বয় করা হয়। অনেক দেশেই বিভিন্ন শহরে আলাদা আলাদা দাম থাকে।
তবে পাশের দেশের জ্বালানি তেলের দামও বিবেচনায় নিতে হবে উলেস্নখ করে প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, কলকাতায় এখন প্রতি লিটার ডিজেলের দাম ১৩৩ টাকা। আর বাংলাদেশে ১০৯ টাকা। দাম কম হলে তেল পাচারের শঙ্কা থাকে, এটা অবশ্যই চিন্তা করতে হবে। দাম আরও সাশ্রয়ী হলে শঙ্কা আরও বেড়ে যাবে। বিষয়টি অবশ্যই নজরে রাখতে হবে।
জ্বালানি তেলের দাম কমলে পরিবহণ ভাড়া কমবে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী বলেন, জ্বালানি তেলের সঙ্গে যেসব খাত জড়িত আছে, তাদেরও সমন্বয় করতে হবে। যেসব সংস্থা তাদের তদারকির দায়িত্বে আছে, তাদেরও বিষয়টি নিয়মের মধ্যে নেওয়া উচিত। জ্বালানি তেলের দাম ৫ শতাংশ বাড়ানো হলে পরিবহণ ভাড়া ১৫ থেকে ২০ শতাংশ বাড়ানো হয়। এটা ঠিক নয় বলে মনে করেন প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, প্রতি মাসে যদি সাশ্রয়ী দামে জ্বালানি তেলের দাম নির্ধারণ করা হয়, তাহলে পরিবহণসহ সংশ্লিষ্ট সব খাতেও এটা সমন্বয় করা উচিত।