শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১

অধিকাংশ মৃতু্যর কারণ বিষাক্ত কালো ধোঁয়া

চিকিৎসকদের অভিমত
যাযাদি রিপোর্ট
  ০২ মার্চ ২০২৪, ০০:০০
আপডেট  : ০২ মার্চ ২০২৪, ০০:৪৫
অধিকাংশ মৃতু্যর কারণ বিষাক্ত কালো ধোঁয়া

রাজধানীর বেইলি রোডে ভবনে আগুনে মৃত ব্যক্তিদের বেশির ভাগের শরীরে পোড়া দাগ নেই। কারও কারও পোড়া দাগ থাকলেও তা মৃতু্যঝুঁকির মতো মারাত্মক নয়। তাহলে এত মৃতু্যর কারণ কী? চিকিৎসকরা বলছেন, মৃতু্যর কারণ 'কার্বন মনোক্সাইড পয়জনিং', যাকে সহজ ভাষায় বিষাক্ত কালো ধোঁয়া বলা যায়।

\হশেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও পস্নাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ও ইউনিটপ্রধান (অরেঞ্জ) প্রবীর চন্দ্র দাস শুক্রবার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে বলেন, যে কয়জন মারা গেছেন, তাদের সবার মৃতু্যর কারণ পরীক্ষা করা সম্ভব হয়নি। তবে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ১০ জনকে আহত ভেবে আনা হয়েছিল। তাদের মৃতু্যর কারণ পরীক্ষা করে দেখা গেছে তা কার্বন মনোক্সাইড পয়জনিং। তিনি আরও বলেন, আহত ব্যক্তিরা আধা ঘণ্টা থেকে ৪৫ মিনিট বদ্ধ ঘরে কালো ধোঁয়ার মধ্যে আটকে ছিলেন।

বৃহস্পতিবার রাত দেড়টার দিকে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. মাইন উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, আহত ব্যক্তিদের মধ্যে আগুনে পোড়ার ক্ষতচিহ্ন কম। তারা মূলত কালো ধোঁয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন।

শুক্রবার সকালে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও পস্নাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে গিয়ে সাংবাদিকদের স্বাস্থ্যমন্ত্রীও কার্বন মনোক্সাইড পয়জনিংয়ের কথা বলেন। তিনি বলেন, 'এটা বদ্ধ ঘর থেকে বের হতে পারে না, তখন ওই ধোঁয়া শ্বাসনালিতে চলে যায়। (বেইলি রোডের আগুনের ঘটনায় ভুক্তভোগী) প্রত্যেকেরই তা হয়েছে। যাদের বেশি হয়েছে, তারা মারা গেছেন। যারা বেঁচে আছেন, তারা কেউ শঙ্কামুক্ত নন।'

\হবেইলি রোডে আগুনের

ঘটনায় জীবিত উদ্ধার হওয়া ও ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, ছয়তলা ভবনটির নিচতলায় আগুন লাগার পর তা দ্রম্নত ছড়িয়ে পড়ে। ওপরের তলা থেকে ৫০ জনের মতো মানুষ ছাদে আশ্রয় নেন। অনেকে ভবনের বিভিন্ন তলায় ছিলেন। সেখানে প্রচন্ড কালো ধোঁয়ার কারণে তাদের শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছিল।

ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, বেইলি রোডের যে ভবনে আগুন লেগেছে, সেটির নিচতলায় দুটি ইলেকট্রনিক সরঞ্জাম বিক্রির দোকান ও একটি জুসবার (ফলের রস বিক্রির দোকান) ছিল। দ্বিতীয় তলায় কাচ্চি ভাই নামের একটি রেস্তোরাঁ, তৃতীয় তলায় ইলিয়ন নামের একটি পোশাকের ব্র্যান্ডের দোকান, চতুর্থ তলায় খানাস ও ফুকো নামের দুটি রেস্তোরাঁ, পঞ্চম তলায় পিৎজা ইন নামের একটি রেস্তোরাঁ, ষষ্ঠ তলায় জেস্টি ও স্ট্রিট ওভেন নামের দুটি রেস্তোরাঁ এবং ছাদের একাংশে অ্যামবেশিয়া নামের একটি রেস্তোরাঁ ছিল।

বেইলি রোডের ভবনটিতে কোনো অগ্নিনিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল না বলে শুক্রবার দুপুরে জানান ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক মাইন উদ্দিন। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ জানিয়ে ভবন কর্তৃপক্ষকে তিনবার চিঠি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে