মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

লাঠিপেটায় পন্ড গণতন্ত্র মঞ্চের বিক্ষোভ কর্মসূচি

সরিয়ে দেওয়া হয়েছে দাবি পুলিশের
যাযাদি রিপোর্ট
  ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
বিভিন্ন দাবিতে বুধবার গণতন্ত্র মঞ্চের কর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে সচিবালয় ঘেরাও কর্মসূচি পালনের এক পর্যায়ে পুলিশ তাদের লাঠিপেটা করে -নাজমুল ইসলাম

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, ব্যাংক 'লোপাট' ও অর্থ পাচারের প্রতিবাদে সচিবালয় অভিমুখে গণতন্ত্র মঞ্চের বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশ লাঠিপেটা করেছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। গুলিস্তান জিরো পয়েন্টের কাছে এ ঘটনায় অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন বলে মঞ্চের অন্যতম নেতা বাংলাদেশের বিপস্নবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক দাবি করেছেন।

গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা জানান, পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী বুধবার দুপুরে মঞ্চের নেতাকর্মীরা জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে মিছিল নিয়ে পল্টন ঘুরে সচিবালয়ের দিকে অগ্রসর হন। বিক্ষোভ মিছিলটি জিরো পয়েন্ট পার হয়ে সচিবালয় অভিমুখী সড়কে গিয়ে পুলিশের ব্যারিকেডের সামনে পড়ে। এক পর্যায়ে কর্মীরা ব্যারিকেড ভেঙে এগোতে চাইলে পুলিশ তাদের ওপর লাঠিপেটা শুরু করে।

সাইফুল হকের ভাষ্য, 'এ সময় গণতন্ত্র মঞ্চের সমন্বয়ক ও গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকিসহ অন্তত ৫০ জন আহত হন।'

ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা জোনের এডিসি শাহ আলম বলেন, 'উনাদের কর্মসূচি ছিল। এখানে এসে তারা অবস্থান নিয়েছিলেন। কিন্তু ব্যারিকেড ভেঙে কেপিআইভুক্ত

এলাকায় ঢোকার চেষ্টা করলে আমরা তাদের সরিয়ে দিয়েছি।'

এ সময় কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে বলেও জানান শাহ আলম। তবে ঠিক কতজন আটক হয়েছেন বা তাদের নাম-পরিচয় কী সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট করে কিছু জানাতে পারেননি তিনি।

এর আগে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে জোনায়েদ সাকি বলেন, 'সরকার দেশের ভবিষ্যৎ বিদেশে নষ্ট করছে। জনগণকে ঠিক করতে হবে এ সরকার থাকবে কী থাকবে না। আন্দোলনের মধ্য দিয়ে সরকারকে বিদায় করে ভোটের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।'

সমাবেশে সাইফুল হক বলেন, 'বিদু্যৎ-জ্বালানি খাতে অনিয়মের দায় জনগণ কেন নেবে? জনগণ ভোট বর্জন করায় গ্যাস-বিদু্যতের দাম বাড়াচ্ছে। সরকারের দাম যত কমছে জিনিসপত্রের দাম তত বাড়ছে। সিন্ডিকেট সরকার একাকার। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, আমলারা কথা শোনে না। 'যা খুশি তাই করো' এমন লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে। পাচারের টাকা বিদেশে জুয়ার টেবিলে উড়ছে। সরকারকে বিদায় দেওয়া ছাড়া সিন্ডিকেট ভাঙা সম্ভব না। আন্দোলন কর্মসূচি চলবে।'

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, 'দেশের ব্যাংকে টাকা নেই, ডলারও নেই। অর্থনীতি ধ্বংসের মুখে। সিন্ডিকেট বন্ধ করতে পারেনি। চাল-পেঁয়াজের দাম কত? লোন পেতে হাত-পা ধরতে শুরু করেছে। রিজার্ভে টাকা নেই। অপতথ্য সরকার থেকে বেশি দেওয়া হয়। ব্যাংকগুলো ডুবতে শুরু করেছে। রোজায় দাম কমাতে পারবে না সরকার। ৭ জানুয়ারি ভোটের নামে খেলা হলো। ভারতীয় পণ্য বর্জন করলে পুলিশ কিছুই করতে পারবে না। আমরা অন্যায়ের প্রতিবাদ করে যাব। গণতন্ত্র মঞ্চ লড়াই করে যাবে।'

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে