মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
সংসদে খাদ্যমন্ত্রী

দেশে ১৬ লাখ ৭৯ হাজার মে.টন খাদ্য মজুত রয়েছে

যাযাদি ডেস্ক
  ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
দেশে ১৬ লাখ ৭৯ হাজার মে.টন খাদ্য মজুত রয়েছে

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার জানিয়েছেন, বর্তমানে দেশে সরকারি খাদ্য গুদামে সর্বমোট ১৬ লাখ ৭৯ হাজার মেট্রিক টন খাদ্যশস্য মজুত রয়েছে। খাদ্যশস্যের এ মজুত সন্তোষজনক।

মঙ্গলবার জাতীয় সংসদের অধিবেশনে আওয়ামী লীগের সদস্য আনোয়ারুল কাজী আনারের এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে খাদ্যমন্ত্রী এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, চলতি বছর ২০ ফেব্রম্নয়ারি পর্যন্ত হিসেবে সরকারি খাদ্য গুদামে সর্বমোট ১৬ লাখ ৭৯ হাজার মেট্রিক টন খাদ্যশস্য মজুত রয়েছে। মজুতকৃত খাদ্যশস্যের মধ্যে রয়েছে ১৪ লাখ ৩৮ হাজার মেট্রিক টন চাল ও ২ লাখ ৪১ হাজার মেট্রিক টন গম। খাদ্য মজুত বর্তমানে সন্তোষজনক।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে খাদ্য মজুত বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকার অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক সূত্রে চাল-গম অভ্যন্তরীণ সংগ্রহ এবং আমদানির কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে- চলতি আমন সংগ্রহ মৌসুমের আওতায় ২ লাখ মেট্রিক টন ধান, ৪ লাখ মেট্রিক টন সেদ্ধ চাল ও ১ লাখ মেট্রিক টন আতপ চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে সংগ্রহ অভিযান শুরু হয়,

যা আগামীকাল বুধবার পর্যন্ত চলবে। পরে এই লক্ষ্যমাত্রা পরিবর্তন করে ৪ লাখ মেট্রিক টন সেদ্ধ চালের পরিবর্তে ৫ লাখ ৬৭ হাজার ৪৪৬ মেট্রিক টন সেদ্ধ চাল এবং ৫০ হাজার মেট্রিক টন আতপ চাল অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে কেনার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে ৬ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন গম ও ১ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন চাল আমদানির জন্য অর্থ বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এই বাজেট বরাদ্দের বিপরীতে উন্মুক্ত দরপত্র ও জিটুজির আওতায় ইতোমধ্যে ৫ লাখ মেট্রিক টন গম আমদানির চুক্তি সম্পাদিত হয়েছে। এর বিপরীতে গত ১৭ ফেব্রম্নয়ারি পর্যন্ত ৩ লাখ ৫৭ হাজার ৬২৭ মেট্রিক টন গম আমদানি সম্পন্ন হয়েছে। চুক্তির অবশিষ্ট গমের খালাস কার্যক্রম চলমান রয়েছে। বর্তমান অর্থবছরে বিদেশ থেকে অদ্যাবধি কোনো চাল আমদানির কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়নি বলেও জানান তিনি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে