মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

দেশ ও জাতির সমৃদ্ধি কামনায় পবিত্র শবেবরাত পালিত

যাযাদি রিপোর্ট
  ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
দেশ ও জাতির সমৃদ্ধি কামনায় পবিত্র শবেবরাত পালিত

মহান আলস্নাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা, দেশ-জাতি ও মুসলিম উম্মাহর শান্তি-সমৃদ্ধি কামনায় ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে সৌভাগ্যের রজনি পবিত্র শবেবরাত পালিত হয়েছে। মহান আলস্নাহ তায়ালার রহমত লাভের আশায় ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা রোববার রাতভর ইবাদত বন্দেগিতে মগ্ন ছিলেন।

সারা বিশ্বের মুসলিমদের কাছে সওয়াব হাসিল আর গুনাহ থেকে পানাহ চাওয়ার রাত হিসেবে শবেবরাতের রয়েছে অতুলনীয় মর্যাদা। তাই নফল ইবাদত, কোরআন তিলাওয়াত, ইবাদত বন্দেগি, জিকির-আসকার আর বিশেষ মোনাজাতের মধ্য দিয়ে ফজিলতের এই রাত পালন করেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা।

মহিমান্বিত এই রাতে মহান আলস্নাহতায়ালা তার তিনশ' দরজা খুলে বান্দার সবচেয়ে কাছাকাছি প্রথম আসমানে নেমে আসেন। এই রাতেই মানুষের ভালো মন্দের আমলনামা তুলে ধরা হয় মহান আলস্নাহ পাকের দরবারে।

শবেবরাতের এই মহিমান্বিত রাতে প্রিয়জনদের কবর জিয়ারত করে তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন স্বজনরা। তাই এ রাতে কবরস্থানগুলোতেও ছিল মুসলিস্নদের উপচেপড়া ভিড়।

রাতভর ইবাদত বন্দেগি আর দীর্ঘ সিজদার পর মুমিন মুসলিমরা দু'হাত তুলে ধরেন মহান আলস্নাহ পাকের দরবারে। পাপ মুক্তি আর পরম করুণাময়ের অপার সন্তুষ্টি অর্জনে কান্নায় ভেঙে পড়েন অনেকে।

মহান আলস্নাহ রাব্বুল আল আমিনের অপার অনুগ্রহ কামনা করেন সবাই। আলস্নাহর অসীম দরবারে দু'হাত তুলে মুমিন মুসলমানরা প্রার্থনা জানান পাপ মুক্তির আশায়। এ উপলক্ষে ধর্মপ্রাণ নারী-পুরুষরা নফল রোজাও পালন করেন।

এ দিন মুসলমান সবার ঘরে রুটি, বিভিন্ন রুচির হালুয়া ও মিষ্টান্নসহ ভালো ভালো খাবার-দাবার রান্না করা হয়। বিকেলে প্রতিবেশীদের মধ্যে এসব খাবার বিতরণ ও পরিবেশন করা হয়। গরিব-দুঃখীদের মধ্যেও খাবার বিতরণ ও অর্থ দান করেন অনেকে।

মহিমান্বিত এ রজনি ভাবগম্ভীর পরিবেশের মধ্য দিয়ে পালনের লক্ষ্যে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে রাতে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ওয়াজ মাহফিল, কোরআন তিলাওয়াত, মিলাদ মাহফিল, হামদ্‌, না'ত, নফল ও তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় এবং আখেরি মোনাজাত।

বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতারসহ বিভিন্ন বেসরকারি টিভি চ্যানেল ও রেডিও এ উপলক্ষে ধর্মীয় নানা অনুষ্ঠান সম্প্রচার করে। দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে জাতীয় দৈনিকগুলোতে বিশেষ নিবন্ধ প্রকাশিত হয়।

পবিত্র শবেবরাত সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের লক্ষ্যে বরাবরের মতো এবারও ঢাকা নগরীতে আতশবাজি, পটকা ফাটানো এবং যে কোন ধরনের বিস্ফোরক দ্রব্য বহন নিষিদ্ধ করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। তবে প্রতিবছরই এ নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে অনেকে আতশবাজি ও পটকা ফুটালেও এবার ছিল তার ব্যতিক্রম।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে