দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের 'নতুন অধ্যায়' শুরু করতে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র একমত হয়েছে মন্তব্য করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, 'সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে, তারাও চায় বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের নতুন অধ্যায় এবং আমরাও চাই একটি নতুন সম্পর্ক, একটি সম্পর্কের নতুন অধ্যায় তাদের সঙ্গে শুরু করতে। যেহেতু দু'দেশেরই সদিচ্ছা আছে- সুতরাং এই সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ, গভীরতর ও উন্নয়নের মাধ্যমে আমাদের উভয় দেশ উপকৃত হবে।'
সফররত যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে রোববার বৈঠকের পর এক ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন। ওইদিন বিকালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বিশেষ সহকারী ও দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক জ্যেষ্ঠ পরিচালক এইলিন লাউবাখেরের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠক হয়।
ওই বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দলে আরও ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা-ইউএসএআইডির সহকারী প্রশাসক মাইকেল শিফার এবং যুক্তরাষ্ট্রের উপ-সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী আফরিন আখতার।
আওয়ামী লীগের টানা চতুর্থ মেয়াদে সরকার গঠনের পর এটি যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চপর্যায়ের প্রথম সফর। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী আলোচনার পর পৃথকভাবে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ এবং এইলিন লাউবাখের।
এর আগে সকালে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করে ইউএসএআইডির সহকারী প্রশাসক মাইকেল শিফারের নেতৃত্বাধীন একটি প্রতিনিধি দল।
আলোচনায়র্ যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা, মিয়ানমারে যুদ্ধ, রোহিঙ্গা সংকট, গাজা ও ইউক্রেনের যুদ্ধ পরিস্থিতি এবং বঙ্গবন্ধুর খুনি রাশেদ চৌধুরীকে ফেরানোসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হওয়ার কথা তুলে ধরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, 'আমরা কীভাবে আমাদের সম্পর্কটাকে আরও গভীরতর করতে পারি এবং সম্পর্কের নতুন যুগ কীভাবে শক্তিশালী করতে পারি, সে নিয়ে আলোচনা করেছি। তারাও আমাদের সঙ্গে গভীর সম্পর্ক, আমাদের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন করতে চায় এবং সেই সম্পর্ক উন্নয়ন করার লক্ষ্যেই কিছুদিন আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছিলেন এবং সেই চিঠিতে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কের নতুন অধ্যায় করার ব্যাপারে তাদের আগ্রহ ব্যক্ত করেছিলেন।'
ফিলিস্তিনের গাজায় যুদ্ধবিরতি এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ভোগান্তি নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা তুলে ধরে হাছান বলেন, 'গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর করার ব্যাপারে আমি তাদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ যে আজকে আমাদের সবাইকে ভোগাচ্ছে এবং কোভিড মহামারির পর এই যুদ্ধ হঠাৎ করে বেধে যাওয়া, সেটি আমাদের জন্য, সবার জন্য একটি হতাশার বিষয় ছিল; এই বিষয়গুলো আলোচনা করেছি।'
ঢাকায় শ্রম অধিকারকর্মী এবং মানবাধিকার সংগঠনগুলোর সঙ্গে এবারও পৃথকভাবে আলোচনায় বসে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দল। ওই দুই বৈঠকের প্রসঙ্গ টেনে সাংবাদিকরা জানতে চান, গণতন্ত্র ও মানবাধিকার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে কোনো আলোচনা হয়েছে কিনা।
জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, 'সেগুলো নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। নির্বাচন নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি, মানবাধিকার ইসু্যতেও কোনো আলোচনা হয়নি।'
সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, শ্রম অধিকার নিয়েও বিস্তারিত কোনো আলোচনা হয়নি। বিনিয়োগ নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, 'সেটি কীভাবে বাড়ানো যায়, আমাদের উন্নয়ন অভিযাত্রায় কীভাবে তারা আরও বেশি সহায়তা করতে পারে, সে নিয়ে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করেছি।'
রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা তুলে ধরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'তাদেরকে ধন্যবাদ জানিয়েছি যে, রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের ব্যাপারে তারা ক্রমাগতভাবে মিয়ানমারের ওপর চাপ প্রয়োগ করছে এবং রোহিঙ্গাদেরকে এখানে যে আশ্রয় দিয়েছি, সেক্ষেত্রে তারা নানাভাবে সহায়তা করছে। সে বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি।'
প্রত্যাবাসনের বিষয়ে সহযোগিতার বিষয়ে এক প্রশ্নে হাছান মাহমুদ বলেন, 'রোহিঙ্গারা সসম্মানে, সব ধরনের অধিকারসহ মিয়ানমারে ফেরত যাওয়াই যে একমাত্র সমাধান, এটির ব্যাপারে তারা একমত। এ নিয়ে আমরাও একমত।'
নিরাপত্তা ইসু্যতে সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, 'নিরাপত্তা ইসু্যতে আমাদের বহুমুখী সহায়তা আছে। আমরা বহুক্ষেত্রে একসঙ্গে কাজ করি। আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলেও আমাদের অভিন্ন অবস্থান রয়েছে, সেটা নিয়েও আলোচনা করেছি।'
'অভিন্ন অগ্রাধিকার নিয়ে আলোচনা হয়েছে'
এদিকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদের সঙ্গে হওয়া আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের 'অভিন্ন অগ্রাধিকার' স্থান পায় বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বিশেষ সহকারী ও দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের জ্যেষ্ঠ পরিচালক এইলিন লাউবাখের।
রোববার বিকালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ওই বৈঠকের পর তিনি বলেন, 'অভিন্ন অগ্রাধিকার ও ভবিষ্যতে একযোগে কাজ করার পথ নিয়ে আলোচনা করতে পারা আমাদের জন্য আনন্দের, যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ সম্পর্ককে গুরুত্ব দেওয়ার প্রেক্ষাপটে যেটার প্রতীক্ষা আমরা করছি।'
লাউবাখারের নেতৃত্বে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দল পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক করে। প্রতিনিধি দলে আরও ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা-ইউএসএআইডির সহকারী প্রশাসক মাইকেল শিফার এবং যুক্তরাষ্ট্রের উপ-সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী আফরিন আখতার।
এদিকে আর মাইক্রোবস্নগিং সাইট এক্স-এ এক পোস্টে আলোচনার বিভিন্ন দিক তুলে ধরে ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস বলেছে, 'সমৃদ্ধ, নিরাপদ ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশকে সমর্থন করে যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেছি, কীভাবে আমাদের দু'দেশ পারস্পরিক স্বার্থ নিয়ে কাজ করতে পারে। যার মধ্যে রয়েছে অর্থনৈতিক উন্নয়ন, নিরাপত্তা, শরণার্থী, জলবায়ু, শ্রম ও বাণিজ্য। ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার।'
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের আগে সকালে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দল।
'নতুন অধ্যায় শুরু করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র'
বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে সম্পর্কের নতুন অধ্যায় শুরু করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। একই সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য, বিনিয়োগ বৃদ্ধি, নিরাপত্তা সহযোগিতা, শ্রম পরিবেশ উন্নয়ন ও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে চায় দেশটি।
রোববার রাতে রাজধানীর গুলশানে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের বাসভবনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বিশেষ সহকারী ও দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক জ্যেষ্ঠ পরিচালক এইলিন লাউবাখেরের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে নৈশভোজ শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। প্রতিনিধি দলে আরও ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থার (ইউএসএআইডি) সহকারী প্রশাসক মাইকেল শিফার এবং যুক্তরাষ্ট্রের উপসহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী আফরিন আখতার।
সালমান এফ রহমান বলেন, কিছুদিন আগে জো বাইডেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চিঠি দিয়েছেন। সেখানে তিনি বলেছেন, 'দুই দেশের সম্পর্ক আরও গভীর করতে চাই এবং নতুন অধ্যায় শুরু করতে চাই' বাংলাদেশ সফররত প্রতিনিধি দলও একই কথা বলেছেন বলে জানান তিনি।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে বৈঠকে কোনো আলোচনা হয়েছে কিনা- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'নির্বাচন এখন পেছনের ঘটনা। সেটা নিয়ে তারা কোনো কথা বলেনি, আমরাও বলিনি। বরং সামনের দিনগুলোতে কিভাবে দুই দেশের সম্পর্ককে আরও গভীর করা যায়; সেসব বিষয় নিয়েই আলোচনা হয়েছে।
বৈঠকে রোহিঙ্গা ইসু্য নিয়ে আলোচনার কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা বলেন, 'আমেরিকাও চায়, রোহিঙ্গারা নিজ দেশে ফিরে যাক। সেই সঙ্গে তাদেরকে সাময়িক আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশ যে উদারতা দেখিয়েছে; এর ভূয়সী প্রশংসা করেছেন মার্কিন প্রতিনিধিরা। তারা রোহিঙ্গাদের আরও সহযোগিতা করতে চায়।
বৈঠকে মার্কিন প্রতিনিধি দল মিয়ানমার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে উলেস্নখ করে সালমান এফ রহমান বলেন, মিয়ানমারের বর্তমান পরিস্থিতির ওপর তারা নজর রাখছে। সেই সঙ্গে আমাদেরকেও নজর রাখতে বলেছে।
তিনি আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র আমাদের তাদের ডেভেলপমেন্ট ফাইন্যান্স প্রোগ্রামে (ডিএসপি) যুক্ত করতে চায়। এর জন্য তারা কয়েকটি শর্তের কথা বলেছে। শর্তগুলো জানাতে বলেছি। শিগগির তারা জানাবে বলেছে। এছাড়া তাদের সঙ্গে চলমান প্রকল্প অব্যাহত থাকবে।
নাগরিক সমাজের সঙ্গে মতবিনিময়
এদিকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর বাংলাদেশে রাজনৈতিক ও নাগরিক অধিকার চর্চার সুযোগ কেমন, তা জানতে চেয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। নাগরিক সমাজ কাজের ক্ষেত্রের বিষয়েও জানতে চেয়েছে দেশটি। এ সময় নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মামলার প্রসঙ্গও এসেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্সের (ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত) বাসায় রোববার সকালে বাংলাদেশের নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় ইউএসএআইডির সহকারী প্রশাসক মাইকেল শিফার এবং যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক উপসহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী আফরিন আক্তার এ বিষয়গুলো জানতে চান।
যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত হেলেন লাফাবের বাসায় দুই ঘণ্টার ওই মতবিনিময়ে যোগ দেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক আমেনা মহসিন, অধিকার সম্পাদক আদিলুর রহমান খান, নারীপক্ষের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য শিরিন হক ও সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজের (সিজিএস) নির্বাহী পরিচালক জিলস্নুর রহমান।
মতবিনিময়ে অংশগ্রহণকারী কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দল নানা বিষয়ে নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের কাছে প্রশ্ন রেখেছে। ওই বিষয়গুলোতে নাগরিক সমাজের মতামত কী, সেটা জানতে চেয়েছে। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে নাগরিক সমাজ কীভাবে দেখছে, সেটাও জানতে চায়। এ ছাড়া বিরোধী দল নির্বাচনের পর কোন অবস্থায় রয়েছে কিংবা বিরোধী দলের সক্ষমতার বিষয়টি আলোচনা এসেছে।
একটি সূত্র জানায়, নাগরিক সমাজের কর্মকান্ড বিষয়ে আলোচনার এক পর্যায়ে শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. ইউনূসের প্রসঙ্গ এসেছে। বিশেষ করে তার বিরুদ্ধে শ্রম আইনে মামলাসহ তাকে ঘিরে যেসব তৎপরতা, তা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিরা জানতে চান।
নাগরিক সমাজের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সফররত প্রতিনিধি দলের মতবিনিময়ের পর ঢাকায় দেশটির দূতাবাস তাদের এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে লিখেছে, 'গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করা এবং ইতিবাচক পরিবর্তনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে নাগরিক সমাজ। আজ বাংলাদেশের নাগরিক সমাজের সাহসী ও প্রত্যয়ী ব্যক্তিত্বদের সঙ্গে বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে পেরে আমরা সন্তুষ্ট। আমরা গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের বিষয়ে তাদের সঙ্গে আলোচনায় যুক্ত থাকব। সরকারকেও তাদের সঙ্গে যুক্ত থাকার আহ্বান জানাব।'