গাজীপুর মহানগরের তারগাছ এলাকায় সিটি করপোরেশনের গাড়ির ধাক্কায় শ্রমিক নিহতের জেরে অবরুদ্ধ মহাসড়কে চার ঘণ্টা পর যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।
পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মহাসড়ক থেকে অবরোধকারীদের সরিয়ে নিলে দুপুর পৌনে ১২টায় যান চলাচল স্বাভাবিক হয় বলে জানান, গাজীপুর মহানগর পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার মো. ইব্রাহিম খান।
শনিবার সকাল পৌনে ৮টায় তারগাছ এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক পার হওয়ার সময় গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ময়লার গাড়ির ধাক্কায় তৈরি পোশাক কর্মী মুনিরা বেগম (২৮) ঘটনাস্থলেই নিহত হন।
মুনিরা স্থানীয় বার্নহার্ট পোশাক কারখানার শ্রমিক ছিলেন।
তিনি শরীয়তপুরের সখিপুর থানার চরবাঘা এলাকার রুহুল আমিনের স্ত্রী। মুনিরা তারগাছ রড ফ্যাক্টরি সংলগ্ন আবুল হাশেমের বাড়ির ভাড়াটিয়া ছিলেন।
ওই নারী নিহতের জেরে আশপাশের কারখানার শ্রমিকরা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। এ সময় বিক্ষুব্ধরা কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর ও সিটি করপোরেশনে ময়লার গাড়িতে আগুন দেয়।
গাজীপুর মহানগর পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার মো. ইব্রাহিম খান বলেন, পুলিশ অবরোধকারীদের সরাতে গেলে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে জল কামান, ৫টি রাবার বুলেট ছুড়ে তাদের মহাসড়ক থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। পরে দাবি-দাওয়া নিয়ে আলোচনা হলে আন্দোলনকারীরা মহাসড়ক থেকে সরেন।
এলাকাবাসী জানায়, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে দীর্ঘদিন ধরে বিআরটি প্রকল্পের কাজ চলমান থাকায় মাঝখানে থাকা সড়ক বিভাজক উঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। ফলে সড়কে প্রায়ই প্রাণহানির ঘটনা ঘটছে। গাজীপুরের গাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহআলম জানান, দুর্ঘটনায় নিহতের লাশ উদ্ধার করে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। আহত একজনকে স্থানীয় ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
তিনি আরও জানান, এ ঘটনার পর শ্রমিকদের জানানো কয়েকটি দাবির মধ্যে উলেস্নখযোগ্য ছিল, বিআরটি প্রকল্পের চালু করা মাঝখানের লেইন বন্ধ করে দেওয়া। মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে প্রকল্প কর্তৃপক্ষকে শ্রমিকদের দাবিটি জানানো হলে তাৎক্ষণিকভাবে তা বাস্তবায়ন করা হয়।