'বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রেখে সামুদ্রিক সম্পদ আহরণ করুন'
বিএনপি ও জামায়াতের সঙ্গে বামরাও লাফায় :প্রধানমন্ত্রী
প্রকাশ | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
যাযাদি রিপোর্ট
বিরোধী জোটের সরকার হটানোর আন্দোলন প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, 'জামায়াত-বিএনপি বুঝলাম কিন্তু আমাদের কিছু বামপন্থি দল আছে তারাও দেখি লাফায়।'
মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস-২০২৪ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার বিকালে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের অফিসে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ হাসিনা বলেন, এখন আবার শুনি তাদের মুখে বড় বড় কথা- আন্দোলন করে সরকার হটিয়ে দেবে। আর তার মধ্যে জামায়াত-বিএনপি বুঝলাম কিন্তু আমাদের কিছু বামপন্থি দল আছে এখন তারাও লাফায়। তারাও আন্দোলন করবে, বিপস্নব করবে।'
তিনি বলেন, 'এখন তারা আন্দোলন করে আমাদের ক্ষমতা থেকে সরাবে। নির্বাচনের আগে বলেছিল নির্বাচন করতে দেবে না, আমরা ইলেকশন করে এসেছি।'
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের ৭৫ সালের পর যে কয়টা নির্বাচন হয়েছে তার মধ্যে যদি কোনো সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়ে থাকে তবে সেটা ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারির নির্বাচন।
তিনি বলেন, হাজার চেষ্টা করেও মিথ্যা অপবাদ ছড়িয়েও দেশে বিদেশি নানা তদবির করেও তারা জনগণকে ঠেকাতে পারেনি। জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিয়েছে। সবচেয়ে বড় কথা নতুন ভোটার এবং নারী ভোটাররা আরো বেশি ভোট দিয়েছে এবার। টানা চতুর্থবার সরকার গঠন করা শেখ হাসিনা বলেন, 'আমি যাতে ক্ষমতায় না আসতে পারি তার জন্য অনেক রকম চক্রান্ত হয়েছে। তারপরও আসতে আসতে এ পঞ্চম দফায়ও এসে গেছি।'
বাংলাদেশের পাঁচবারের প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নতি হয়েছে। গ্রাম পর্যায় পর্যন্ত মানুষের উন্নতি হয়েছে।
তিনি বলেন, একটা আদর্শ নিয়ে না চললে কোনো দেশের উন্নতি করা যায় না। আর এই আদর্শ আমাদের শিখিয়েছে একুশ, ২১ ফেব্রম্নয়ারি ত্যাগের মধ্য দিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধে মহান আত্মত্যাগ এদেশের মানুষ করেছে। বাংলাদেশ আজকে আদর্শ নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে বলেই দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন হয়েছে।'
শেখ হাসিনা বলেন, 'আমরা এ দেশের মানুষকে আরো উন্নত জীবন দিতে চাই। দেশের মানুষের ভাগ্য আরও পরিবর্তন করে আরো উন্নত জীবন যাতে পায় সেই পরিকল্পনা নিয়েই কিন্তু আওয়ামী লীগ কাজ করে যায়। আর আওয়ামী লীগ মানুষের জন্য কাজ করে বলেই মানুষের আস্থা, ভালোবাসা এবং বিশ্বাস অর্জন করেছ। আর যার ফলে বারবার জনগণ আমাদের ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছে।'
প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'আজকের দিনে সকল শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সবাইকে বলব মাথা উঁচু করে বিশ্ব দরবারে চলতে হবে। সেই পরিকল্পনা আমরা তৈরি করেছি। আমরা যা কিছু করি পরিকল্পনা করে সুষ্ঠুভাবে করি।'
তিনি বলেন, 'এখানে কোন এডহক ভিত্তিতে কাজ আমরা করি না। আমাদের আশু করণীয়, মধ্যবর্তী ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নির্ধারণ করেই আমরা করি। ২০৪১ এর বাংলাদেশ হবে আমাদের স্মার্ট বাংলাদেশ। ডেল্টা পস্ন্যান ২১০০ আমরা করে দিয়েছি।'
আওয়ামী লীগ জনগণকে দেওয়া সব ওয়াদা পূরণ করেছে মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, '২০০৮-এর নির্বাচনে ইশতিহারে আমরা যা যা ওয়াদা জাতিকে করেছিলাম, এরপর ২০১৪ ও ২০১৮, প্রতিটি নির্বাচনে ইশতেহারে আমরা যা যা ওয়াদা করেছি প্রতিটি ওয়াদাই আমরা পূরণ করেছি। পূরণ করেছি বলেই আমরা মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করেছি।'
তিনি বলেন, 'আমরা ২০১০ থেকে ২০২১ প্রেক্ষিত পরিকল্পনা করেছিলাম এবং ২০২১ থেকে ২০৪১ প্রেক্ষিত পরিকল্পনা আমরা করে দিয়েছি। কীভাবে বাংলাদেশ আগামী দিনে সামনে এগিয়ে যাবে। আমাদের তরুণ সমাজকে নিজেদের সেইভাবে প্রস্তুত করতে হবে।'
শেখ হাসিনা বলেন, 'এখানে ভোগে নয়, ত্যাগেই হচ্ছে সবচেয়ে বেশি আনন্দ এবং অর্জন। এ কথাটা মনে রাখতে হবে। আর সেটা শিখিয়েছে আমাদের লাখো শহীদ। সেটা শিখিয়েছে আমাদের ভাষা আন্দোলনের শহীদ। সেটা শিখিয়ে দিয়ে গেছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। কাজেই তার আদর্শ নিয়েই বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। বাংলাদেশকে আর কেউ পেছনে টানতে পারবে না। এ সিদ্ধান্তটা নিয়েই আমাদের সামনে এগিয়ে যেতে হবে।'
একুশের চেতনার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'একুশ আমাদের শিখিয়েছে মাথা নত না করার, একুশ আমাদের শিখিয়েছে মাথা উঁচু করে চলার এবং আদর্শ নিয়ে চলার।'
তিনি বলেন, 'ভাষা আন্দোলন থেকে যে চেতনার উন্মেষ ঘটেছে, তার মাধ্যমেই কিন্তু আজকে আমরা পেয়েছি আমাদের স্বাধীনতা। এ স্বাধীনতাকে আমাদের অর্থবহ করতে হবে। এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।'
শেখ হাসিনা আরও বলেন, 'ইতিহাস বিকৃতি করে আমাদের স্বাধীনতার ইতিহাস যারা মুছে ফেলতে চেয়েছিল ধীরে ধীরে তারাই আঁস্তাকুড়ে যাবে। আর বাঙালি মাথা উঁচু করে স্বাধীন সত্য নিয়ে বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে চলবে। এটাই হলো বাস্তবতা।'
আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন দলটির সভাপতিমন্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, আব্দুর রাজ্জাক, উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য আতাউর রহমান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক মো. নুরুল হুদা ও ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বেনজীর আহমেদ।
এদিকে প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখে বাংলাদেশের বিশাল সামুদ্রিক এলাকা থেকে সামুদ্রিক সম্পদ আহরণ করার ওপর গুরুত্ব দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, 'আমরা যে সামুদ্রিক এলাকাগুলো অর্জন করেছি, সেখান থেকে আমাদের সামুদ্রিক সম্পদ আহরণ করতে হবে। আমি বিশ্বাস করি, বস্নু ইকোনমির ঘোষণা বাস্তবায়িত হবে। বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে আমাদের বিশাল সামুদ্রিক সম্পদ ব্যবহার করতে হবে। আমাদের সামুদ্রিক সম্পদ আহরণের ক্ষেত্রে আমরা সতর্ক থাকব এবং আমাদের পররাষ্ট্রনীতি "সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়" অনুসরণ করে সমুদ্রপথে ব্যবসা ও বাণিজ্য চালিয়ে যাব।'
বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) 'দ্য টেরিটরিয়াল ওয়াটারস অ্যান্ড মেরিটাইম জোনস অ্যাক্ট, ১৯৭৪' আইন প্রণয়নের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
২০১২ ও ২০১৪ সালে মিয়ানমার ও ভারতের সঙ্গে সমুদ্রসীমা নিষ্পত্তি করার কথা উলেস্নখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'টেরিটরিয়াল ওয়াটারস অ্যান্ড মেরিটাইম জোনস অ্যাক্ট, ১৯৭৪ আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ পথনির্দেশক হিসেবে কাজ করে আসছে এবং ভবিষ্যতেও এই ক্রমধারা বজায় থাকবে বলে আমি মনে করি।'
তিনি বলেন, 'সমুদ্রে যে সম্ভাবনাময় সুবিশাল অর্থনৈতিক এলাকা সরকার পেয়েছে তা দেশের অর্থনীতিতে অনেক অবদান রাখবে। কাজেই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দূরদর্শিতা এবং বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের একনিষ্ঠ প্রচেষ্টার ফলস্বরূপ জাতীয় উন্নয়নের সূচকে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। আমি বিশ্বাস করি, আজকের এই দিনে যে সেমিনার অনুষ্ঠিত হচ্ছে, এই সেমিনার সামুদ্রিক সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহার এবং সমুদ্রকে নিরাপদ ও কার্যকরভাবে পরিচালনা করতে "টেরিটরিয়াল ওয়াটারস অ্যান্ড মেরিটাইম জোনস অ্যাক্ট, ১৯৭৪"-এর মূলনীতি দেশের সমুদ্রকেন্দ্রিক সকল সংস্থার মধ্যে সহযোগিতা ও সচেতনতা বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।'
শেখ হাসিনা বলেন, 'বঙ্গোপসাগর হচ্ছে ভারত মহাসাগরের একটা অংশ। প্রাচীনকাল থেকে এ অঞ্চল দিয়ে আন্তর্জাতিক ব্যবসা-বাণিজ্য চলমান। ভারত মহাসাগরের সঙ্গে সম্পৃক্ত সকল দেশ- বাংলাদেশ ও আমাদের প্রতিবেশী দেশ- একটা কথা আমাদের সব সময় মনে রাখতে হবে, এই অঞ্চল কিন্তু খুব নিরাপদ। এখানে কারও সঙ্গে কোনো দ্বন্দ্ব নেই এবং সেই প্রাচীনকাল থেকে ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য অঞ্চলটা খুব গুরুত্বপূর্ণ সামুদ্রিক পথ। এই সামুদ্রিক পথ আমাদের সকল দেশ সমানভাবে ব্যবহার করছে এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্য চলছে। কোনো রকম দ্বন্দ্ব এই অঞ্চলে তৈরি হয়নি।'
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, 'আমরা সব সময় এটাই চাইব যে আমাদের এই অঞ্চলকে ঘিরে যে ব্যবসা-বাণিজ্য চলে, সেটা যেন কখনো সংঘাতপূর্ণ না হয় বা এখানে কোনো দ্বন্দ্বের সৃষ্টি না হয়। এটা যেভাবে শান্তিপূর্ণ বাণিজ্যিক পথ হিসেবে চলমান রয়েছে, সেভাবেই যেন সামনের দিনগুলোতেও চলমান থাকে।'
প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'আমাদের অঞ্চল যেটুকু আমরা অর্জন করেছি, সেখানে সমুদ্রসম্পদ আহরণ করা এবং আমাদের অর্থনীতিতে অর্থাৎ যে বস্নু ইকোনমি আমরা ঘোষণা দিয়েছি, সেখানে তা অত্যন্ত কার্যকর হবে বলে আমি বিশ্বাস করি। ইতিমধ্যে আমরা একটি ইনস্টিটিউশনও তৈরি করেছি গবেষণার জন্য। এ ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা আমরা নিয়েছি। কাজেই "সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়" এই নীতিই আমরা মেনে চলব। এই পররাষ্ট্রনীতি ধারণ করেই সকলের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রেখেই আমাদের সমুদ্রসম্পদ আহরণ ও আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্য যেন সব সময় চলমান থাকে, সে ব্যাপারে আমরা যথেষ্ট সজাগ থাকব।'
প্রধানমন্ত্রী পরে বিআইসিসিতে মেরিটাইম স্টেকহোল্ডারদের বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন করেন। নৌপরিবহণ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিট) রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) মো. খুরশেদ আলম মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন এবং নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল এম নাজমুল হাসান স্বাগত বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠানে 'দ্য টেরিটরিয়াল ওয়াটারস অ্যান্ড মেরিটাইম জোনস অ্যাক্ট, ১৯৭৪' প্রণয়নের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে একটি অডিও-ভিজুয়াল প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শুধু আমাদের একটি রাষ্ট্রই দিয়ে যাননি, তিনি স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেন। আর সেই সঙ্গে নিরবচ্ছিন্ন বাণিজ্যিক যোগাযোগ ও সমুদ্র অর্থনীতির গুরুত্ব নিশ্চিত করার জন্য ১৯৭৪ সালে টেরিটরিয়াল ওয়াটারস অ্যান্ড মেরিটাইম জোনস অ্যাক্ট, ১৯৭৪ প্রণয়ন করে দিয়ে যান। তখনো জাতিসংঘ কিন্তু এ ধরনের কোনো আইন বা নীতিমালা গ্রহণ করেনি। এর আট বছর পর অর্থাৎ ১৯৮২ সালে জাতিসংঘ আনক্লজ থ্রি প্রণয়ন করে। কিন্তু আনক্লজ থ্রি প্রণয়নের পর বাংলাদেশে '৭৫ সাল-পরবর্তী সরকারগুলো, যারা সংবিধান লঙ্ঘন করে ক্ষমতায় এসেছিল তারা আর কোনো উদ্যোগই নেয়নি। জাতির পিতা যেখানে রেখে গিয়েছিলেন সেখানেই পড়েছিল। বাংলাদেশের যে বিশাল সমুদ্রসীমা ছিল সেখানে আমাদের কোনো অধিকারই ছিল না।'
প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'শুধু সমুদ্রে সীমানা নয়, আমাদের যে স্থলসীমানা রয়েছে সেটা নির্দিষ্ট করার চুক্তিটাও জাতির পিতা করে দিয়ে যান। তিনি ভারতের সঙ্গে চুক্তি করেন এবং সেই সঙ্গে আমাদের সংবিধান সংশোধন করেও সেই চুক্তি বাস্তবায়ন করে দিয়ে যান। কিন্তু পরবর্তীতে সেটা আর কার্যকর করা হয়নি।' তিনি আরও বলেন, ১৯৯৬ সালে ২১ বছর পর ক্ষমতায় এসে আওয়ামী লীগ সরকার এগুলো নিয়ে আবার কাজ শুরু করে কিন্তু সময় কম থাকায় সম্পূর্ণ করে দিয়ে যেতে পারেনি।
শেখ হাসিনা এই কাজগুলো করেছিলেন খুব গোপনীয়তার সঙ্গে এবং জাতিসংঘের আনক্লজে সই করে আসেন বলে উলেস্নখ করেন তিনি, যাতে এ দেশের সমুদ্রসীমার যে অধিকার আছে সেটা যেন নিশ্চিত হয়।
২০৪১ সাল নাগাদ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিনির্ভর 'স্মার্ট বাংলাদেশ' গড়ে তোলার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন শেখ হাসিনা।