রাজশাহীর তানোরে একুশের প্রথম প্রহরে শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে দুর্বৃত্তের হামলায় জিয়াউর রহমান (৪২) নামের যুবলীগ নেতা নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১টার দিকে তানোর উপজেলার তালন্দ ইউনিয়নের বিলশহর গ্রামে নিজ বাড়ির অদূরে তার লাশ পড়ে ছিল। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আওয়ামী লীগ নেতার স্ত্রীসহ তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।
নিহত জিয়াউর বিলশহর গ্রামের মোহর মন্ডলের ছেলে। জিয়াউর রহমান তালন্দ ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক।
তানোর থানার এসআই আনোয়ার হোসেন জানান, স্থানীয় সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরী একুশের প্রথম প্রহরে তানোর উপজেলা পরিষদ চত্বরে শহীদ মিনারে ফুল দিতে যান। শহীদ মিনারে সাংসদের ফুল দেওয়ার অনুষ্ঠানে জিয়াউর রহমান অংশ নেন। রাত ১টার দিকে তিনি মোটর সাইকেলে বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় তার গতিরোধ করে দুর্বৃত্তরা তাকে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করে ফেলে রেখে যায়। সকালে স্থানীয়রা লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। লাশের পাশে তার মোটর সাইকেল পড়ে ছিল।
জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটককৃতরা হলেন- তালন্দ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক
হাসান আলীর স্ত্রী আয়েশা আক্তার সুমি (৩৫), একই এলাকার লুৎফর রহমানের ছেলে ফরহাদ হোসেন (৩০) ও আলাউদ্দিনের ছেলে সোহাগ (২৬)। তবে হাসান আলী পলাতক রয়েছে। গত সংসদ নির্বাচন থেকে হাসান আলীর সঙ্গে জিয়াউর রহমানের বিরোধ চলে আসছিল।
নিহত জিয়াউরের বড় ভাই রবিউল ইসলাম জানান, গত নির্বাচনে আমার ভাই স্বতন্ত্র প্রার্থী কাঁচি প্রতীকের পক্ষে কাজ করে। আর হাসান আলী নৌকার পক্ষে ছিল। ভোটের মধ্যে থেকেই তাদের দ্বন্দ্ব শুরু হয়। ভোটের পরের দিনই জিয়াউরকে হত্যার জন্য তাদের বাড়িতে হামলা চালানো হয়েছিল। তারা আমাদের খড়ের পালায় আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়। এ ছাড়াও তারা অব্যাহত হত্যার হুমকি দিয়ে আসছিল। বিষয়টি মৌখিকভাবে পুলিশকে জানানো হয়েছিল বলেও জানান তিনি।
রাজশাহী জেলা পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিকুল আলম জানান, পূর্ব শত্রম্নতার জেরে এই হত্যাকান্ডটি ঘটেছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনজনকে আটক করা হয়েছে। কারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত চিহ্নিত করতে তদন্ত চলছে। দ্রম্নত আসামিদের গ্রেপ্তার করা হবে।