সম্প্রতি তিউনিসিয়ার কাছে ভূমধ্যসাগরে নৌকা ডুবে নিহত আট বাংলাদেশির পরিচয় জানা গেছে। তাদের মধ্যে মাদারীপুর জেলার ৫ জন এবং গোপালগঞ্জের ৩ জন। ওই নৌকা থেকে আরও ২৭ জন বাংলাদেশিকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়, তাদের মধ্যে একজনের অবস্থা মুমূর্ষু।
এর আগে শনিবার (১৭ ফেব্রম্নয়ারি) লিবিয়ার বাংলাদেশ দূতাবাস এক ফেসবুক পোস্টে জানায়, লিবিয়া উপকূল থেকে ৫২ জনের একদল অভিবাসী সাগর পথে ইউরোপ যাওয়ার চেষ্টা করছিল। ১৫ ফেব্রম্নয়ারি তিউনিসীয় উপকূলে তাদের বহনকারী নৌকাটিতে অগ্নিকান্ড ঘটে। পরবর্তীতে তিউনিসিয়ার নৌবাহিনী নৌকাটি থেকে ৯ অভিবাসীর মৃতদেহ এবং ৪৩ জনকে জীবিত উদ্ধার করে। জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করে। উদ্ধারকৃত অভিবাসীদের মধ্যে ২৬
বাংলাদেশি নাগরিক রয়েছেন এবং তাদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। নৌকার আরোহীদের মধ্যে মিশর, পাকিস্তান ও সিরিয়ার নাগরিকও ছিল।
নৌ-দুর্ঘটনায় নিহত বাংলাদেশিরা হলেন- ১) সজল, ঠিকানা- শেনদিয়া, খালিয়া, রাজৈর, মাদারীপুর। ২) নয়ন বিশ্বাস, বাবা- পরিতোষ বিশ্বাস, ঠিকানা- কদমবাড়ি উত্তরপাড়া, কদমবাড়ি, রাজৈর, মাদারীপুর। ৩) মামুন সেখ, ঠিকানা- সরমঙ্গল, খালিয়া, রাজৈর, মাদারীপুর। ৪) কাজি সজীব, পিতা- কাজী মিজানুর, মা- রেণু বেগম, ঠিকানা- তেলিকান্দি, বাজিতপুর নতুন বাজার, রাজৈর, মাদারীপুর। ৫) কায়সার, ঠিকানা- কেশরদিয়া, কবিরাজপুর, রাজৈর, মাদারীপুর। ৬) রিফাত, বাবা- দাদন, ঠিকানা- বড়দিয়া, রাগদী, মুকসুদপুর, গোপালগঞ্জ। ৭) রাসেল, ঠিকানা- ফতেহপট্টি, দিগনগর, মুকসুদপুর, গোপালগঞ্জ। ৮) ইমরুল কায়েস আপন, বাবা- মো. পান্নু শেখ, মা- কামরুন্নাহার কেয়া, ঠিকানা- গয়লাকান্দি, গঙ্গারামপুর গোহালা, মুকসুদপুর, গোপালগঞ্জ।
লিবিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাসের এক ফেসবুক পোস্টে জানানো হয়, উদ্ধারকৃত বাংলাদেশিদের সার্বিক কল্যাণ ও মৃতু্যবরণকারীদের তথ্য নিশ্চিত করতে দূতাবাসের প্রথম সচিব (শ্রম) মো. রাসেল মিয়ার নেতৃত্বে একটি টিম ১৯ ফেব্রম্নয়ারি তিউনিসিয়ার জারজিস শহরে পৌঁছান। তারা ইতোমধ্যে নৌ-দুর্ঘটনায় জীবিত উদ্ধার হওয়া বাংলাদেশিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে হতাহত বাংলাদেশিদের প্রাথমিক পরিচয় নিশ্চিত করতে সক্ষম হয়েছেন।
মুমূর্ষু অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন মাদারীপুর জেলার রাজৈর থানার আমগ্রাম ইউনিয়নের মনোরঞ্জন সরকারের ছেলে মনতোষ সরকার।
দূতাবাসের পক্ষ থেকে নিহত বাংলাদেশিদের বিস্তারিত তথ্য নিশ্চিত করে স্থানীয় আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাদের মৃতদেহ দেশে পাঠানোর প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। এই লক্ষ্যে দূতাবাস তিউনিসিয়া ও বাংলাদেশ সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করছে।