কয়েক বছর ধরে বায়ুদূষণ নিয়ে হিমশিম খাচ্ছে ঢাকা। বছরের বেশির ভাগ সময়ই বিশ্বের শীর্ষে থাকছে ঢাকার বায়ুদূষণ। এতে বাড়ছে হৃদরোগ, ফুসফুস ক্যানসার, শ্বাসকষ্টের মতো নানা রোগ। এমন পরিস্থিতিতে ঢাকার বায়ুদূষণের মাত্রা ঝুঁকিপূর্ণ পর্যায়ে পৌঁছালে জনগণকে স্বাস্থ্য সুরক্ষামূলক পরামর্শ প্রদান করছে পরিবেশ অধিদপ্তর। বায়ুদূষণের মাত্রা বিবেচনায় পরিবেশ অধিপ্তরের ওয়েবসাইটে নিয়মিত এ সংক্রান্ত তথ্য প্রচার করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার 'বায়ুদূষণ সম্পর্কিত স্বাস্থ্য সুরক্ষামূলক পরামর্শ' শিরোনামে প্রচারিত পরিবেশ অধিদপ্তরের এক বার্তায় বলা হয়েছে, ঢাকার বায়ুদূষণ বায়ুমান সূচকে ৩০০ এর অধিক হলে ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনায় ঘরের বাইরে অবস্থানকারী জনসাধারণকে মাস্ক পরিধান করার জন্য পরামর্শ প্রদান করা হয়। পাশাপাশি অসুস্থ ব্যক্তি, শিশু ও বয়োবৃদ্ধ ব্যক্তিদের অপ্রয়োজনে ঘরের বাইরে না যাওয়ার পরামর্শ প্রদান করা বা দূষণের মাত্রা বিবেচনায় অন্যবিধ পরামর্শ প্রদান করা হয়। বায়ুদূষণ বায়ুমান সূচকে ৩০০ এর কম হলে সতর্কতা প্রত্যাহার করা হবে।
উলেস্নখ্য, দেশের বায়ুমানের অবস্থা পরিবীক্ষণের লক্ষ্যে ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য বিভাগীয় ও শিল্পঘন শহরগুলোতে ১৬টি কন্টিনিউয়াস এয়ার কোয়ালিটি মনিটরিং সিস্টেম হতে পরিবীক্ষণ ডাটা রিয়াল টাইম অটোমেশন পদ্ধতিতে পরিবেশ অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে নিয়মিত প্রচার করা হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠানের পর্যবেক্ষণ এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সে (একিউআই) এর তথ্যে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঢাকার বায়ু দূষণের স্কোর ছিল ১৬৩, দিলিস্নতে স্কোর ছিলো ১৬৬, ইতালিতে স্কোর ছিল ১৭৭, চায়নার স্কোর ছিল ২১৭ এবং বায়ু দূষণে শীর্ষে অবস্থান করে পাকিস্তান। যার স্কোর ছিল ২৪০। এ অবস্থায় শহরের সবাই মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন।
এর মধ্যে রাজধানীর পুরান ঢাকার আশপাশের এলাকায় দূষণ সবচেয়ে বেশি। এরপর আবাসিক এলাকা ধানমন্ডি, গুলশান, বাড্ডা ও বনানীতে দূষণের মাত্রা বেড়েছে আশঙ্কাজনকভাবে। সবচেয়ে বেশি দূষিত এলাকা হচ্ছে এখন বারিধারা-আমেরিকান অ্যাম্বাসির কাছাকাছি এলাকা। এ
ছাড়াও মিরপুর, আগারগাঁও, গাবতলী, উত্তরা, এয়ারপোর্ট, মহাখালী, বিজয়নগর, মতিঝিল ও গুলিস্তানে দূষণ দিনের পর দিন বাড়ছে। ঢাকার বাইরে দূষিত শহরগুলোর মধ্যে রয়েছে- খুলনা, রাজশাহী, যশোর, নারায়ণগঞ্জ, পাবনা ও গাজীপুর।