বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১

সংসদে নারী আসন ৫০ জনের মনোনয়নপত্রই বাছাইয়ে বৈধ

যাযাদি রিপোর্ট
  ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
সংসদে নারী আসন ৫০ জনের মনোনয়নপত্রই বাছাইয়ে বৈধ

দ্বাদশ সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনের জন্য জমা হওয়া মনোনয়নপত্র যাচাই বাছাই শেষে সবগুলোই বৈধ ঘোষণা করেছেন রিটার্নিং অফিসার। এ নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার ইসির যুগ্ম সচিব মনিরুজ্জামান তালুকদার সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে মনোনয়নপত্র বাছাই শেষে এই সিদ্ধান্ত জানান।

তিনি বলেন, জাতীয় পার্টি থেকে দু'টি এবং আওয়ামী লীগ এবং তাদের জোট থেকে ৪৮টিসহ মোট ৫০টি মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।

'ইসির যুগ্ম সচিব বলেন, মোট ৫০টি মনোনয়নপত্র পেয়েছি। সবগুলো বাছাই করেছি। ৫০টি মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করছি। সবগুলো মনোনয়নপত্র বৈধ পেয়েছি। কোনো মনোনয়নপত্রের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ আসেনি। সুতরাং

সব প্রার্থীকে বৈধ প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করছি।'

তফসিল অনুযায়ী, ইসির সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করার সুযোগ আছে ২২ ফেব্রম্নয়ারি পর্যন্ত। আপিল নিষ্পত্তির দিন হলো ২৪ ফেব্রম্নয়ারি। আর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২৫ ফেব্রম্নয়ারি।

৫০টি সংরক্ষিত নারী আসনে আগামী ১৪ মার্চ ভোটের দিন রেখে তফসিল দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ১৮ ফেব্রম্নয়ারি সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ছিল মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময়।

১৪ মার্চ ভোটের দিন রাখা হলেও মনোনয়নের বাইরে কারো প্রার্থী হওয়ার সুযোগ না থাকায় ভোটের আর প্রয়োজন পড়বে না। ২৫ ফেব্রম্নয়ারি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের সময়সীমা পার হওয়ার দিনই ৫০ প্রার্থীকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা হবে।

ইসির যুগ্ম সচিব মনিরুজ্জামান বলেন, 'প্রার্থিতা প্রত্যাহার কেউ না করলে, প্রত্যাহারের সময়ের পর বৈধ প্রার্থী যারা থাকবেন, এক্ষেত্রে ২৭ ফেব্রম্নয়ারি প্রতীক বরাদ্দের আর প্রয়োজন হবে না। যেহেতু প্রতিদ্বন্দ্বী নেই, সেজন্য বৈধ প্রার্থীদের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করার জন্য কার্যক্রম গ্রহণ করব।'

সংসদে নৌকা প্রতীকে জয় পাওয়া ২২৫ এমপির হিসেবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ আনুপাতিক হারে পেয়েছে ৩৮টি সংরক্ষিত আসন। আর ৬২ স্বতন্ত্র এমপির সঙ্গে মতৈক্য হওয়ায় তাদের ভাগের ১০ আসনেও আওয়ামী লীগই প্রার্থী দিয়েছে।

সে হিসাবে আওয়ামী লীগ এবার পাচ্ছে ৪৮টি সংরক্ষিত আসন। বাকি দু'টি সংরক্ষিত আসন পাচ্ছে প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টি। তারা হলেন, সালমা ইসলাম ও নুরুল নাহার।

এদিকে আওয়ামী লীগের ৪৮ জন হলেন- রেজিয়া ইসলাম, দ্রৌপদী বেবি আগরওয়াল, আশিকা সুলতানা, রোকেয়া সুলতানা, কোহেলী কুদ্দুস, জারা জাবীন মাহবুব, রুনু রেজা, ফরিদা আক্তার বানু, মোসা. ফারজানা সুমি, খালেদা বাহার, নাজনীন নাহার রশীদ, ফরিদা ইয়াসমিন, উম্মি ফারজানা ছাত্তার, নাদিয়া বিনতে আমিন, মাহফুজা সুলতানা, পারভীন জামান, আরমা দত্ত, লায়লা পারভীন, মন্নুজান সুফিয়ান, বেদৌরা আহমেদ সালাম, শবনম জাহান, পারুল আক্তার, সাবেরা বেগম, শাম্মী আহমেদ, নাহিদ ইজাহার খান, ঝর্ণা হাসান, ফজিলাতুন নেসা, সাহিদা তারেখ, অনিমা মুক্তি গোমেজ, শেখ আনার কলি, মাসুদা সিদ্দিক রোজী, তারানা হালিম, বেগম শামসুন নাহার, মেহের আফরোজ, অপরাজিতা হক,

হাছিনা বারী চৌধুরী, নাজমা আকতার, রুমা চক্রবর্তী, ফরিদুন্নাহার লাইলী, আশ্রাফুন নেছা, কানন আরা বেগম, শামীমা হারুন, ফরিদা খানম, দিলোয়ারা ইউসুফ, ওয়াসিকা আয়শা খান, জ্বরতী তঞ্চঙ্গ্যা, সানজিদা খানম ও মোছা. নাসিমা জামান।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে