রোববার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১

শ্রমিকের ছদ্মবেশে বাড়ি রেকির পর ডাকাতি করেন তারা

মাসুম পারভেজ, কেরানীগঞ্জ (ঢাকা)
  ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
শ্রমিকের ছদ্মবেশে বাড়ি রেকির পর ডাকাতি করেন তারা

ঢাকার কেরানীগঞ্জে বিশেষ অভিযান চালিয়ে চাঞ্চল্যকর ডাকাতি মামলার রহস্য উদ্ঘাটন এবং লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধারসহ ৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- ডাকাত সর্দার মনির ওরফে কাটার মনির (২৮), মাসুদ (২৭), সামসুদ্দিন ওরফে নানা (৫৬), আলিফ (২৫), জহিরুল (২৬), রোকন (২২) ও সাব্বির (২০) গ্রেপ্তার করা হয়। পরে গ্রেপ্তার আসামিদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে নারায়ণগঞ্জ ও মুন্সীগঞ্জে অভিযান চালিয়ে জাহিদ (২৭) ও মো. শরীফ (২৫) নামে আরও দু'জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশের দাবি, তারা শ্রমিকের ছদ্মবেশে বাড়ি রেকির পর ডাকাতি করতেন।

শনিবার দুপুরে ঢাকা জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে জেলা পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান পিপিএম (বার) বলেন, '২১ জানুয়ারি গভীররাতে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের মজিদ বেয়ারা এলাকায় বোরহান উদ্দিন ভূঁইয়া ডুপেস্নক্স বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। বাড়ির জানালার গ্রিল কেটে অজ্ঞাতনামা ৫/৬ জন ডাকাত বোরহান উদ্দিন ও তার স্ত্রী আমিনা আক্তারের দ্বিতীয়তলার রুমের দরজার তালা ও সিটকানি ভেঙে বোরহান উদ্দিন এবং তার স্ত্রীকে মারধর করেন। এরপর দেশীয় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে মেরে ফেলার হুমকি দেন ও গামছা-ওড়না দিয়ে তাদের হাত-পা বেঁধে ফেলেন। এরপর ডাকাতরা রুমের ওয়ারড্রপে থাকা ৮৫ হাজার টাকা, বোরহান উদ্দিনের ২ ছেলের গলায় ধারাল ছেনদা ধরে কাঠের ওয়ারড্রপে থাকা একজোড়া স্বর্ণের

কানের দুল, একজোড়া স্বর্ণের হাতের রুলি ও চারটি স্মার্ট মোবাইল ফোন লুট করে নিয়ে যান।'

তিনি জানান, এ ঘটনায় বোরহান উদ্দিন ভূঁইয়া (৪৩) বাদী হয়ে গত ৩১ জানুয়ারি অজ্ঞাতনামা ডাকাতদের বিরুদ্ধে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় (মামলা নং-৬১, ধারা- ৩৯৫/৩৯৭) পেনাল কোড দায়ের করেন।

মো. আসাদুজ্জামান জানান, এই ডাকাতির ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করতে পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় কাজ শুরু করেন। প্রথমে ঢাকার কেরানীগঞ্জ ও ঢাকার আশপাশের উপজেলার মনির ওরুফে কাটার মনির, মাসুদ, সামসুদ্দিন ওরুফে নানা, আলিফ, জহিরুল, রোকন ও সাব্বির গ্রেপ্তার করা হয়।

তাদের দেওয়া স্বীকারোক্তি ও তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে নারায়ণগঞ্জ ও মুন্সীগঞ্জে থেকে জাহিদ (২৭) ও মো. শরীফ (২৫) নামে দু'জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

তিনি দাবি করেন, সংঘবদ্ধ এই ডাকাত চক্র ঢাকা জেলার আশপাশের এলাকায় শ্রমিক ছদ্মবেশে ঘুরে ডাকাতির জন্য বাড়ি বা অ্যাপার্টমেন্ট ঠিক করেন। ডাকাতির পর পুলিশের চোখ ফাঁকি দিতে চক্রের সদস্যরা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে অবস্থান নেন এবং বিভিন্ন পেশায় কাজ শুরু করেন। এ সময় তাদের দেওয়া তথ্যে বোরহানের বাড়ি থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র ও ১৯ হাজার আটশ' টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে কেরানীগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহাবুদ্দিন কবীর, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা অফিসার (ওসি) মাহাবুব আলম, পরিদর্শক (নি.) শরজিৎ কুমার ঘোষ ও এসআই (নি.) হিরন কুমার বিশ্বাস, এসআই (নি.) সাইদুজ্জামান, এসআই (নি.) নির্মল কুমার আগারওয়ালা প্রমুখ ছিলেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে