এমপি মহিউদ্দিন বাচ্চুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

প্রকাশ | ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে মসজিদ-মন্দিরে অনুদানের চেক বিতরণের অভিযোগে চট্টগ্রাম-১০ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) মহিউদ্দিন বাচ্চুর বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশন (ইসি) দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সালাউদ্দিনের আদালত এই আদেশ দেন। এর আগে গত ১৬ জানুয়ারি নগরের ডবলমুরিং থানা নির্বাচন কর্মকর্তা মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেছিল। আদালতের বেঞ্চ সহকারী তরিকুল ইসলাম বলেন, নির্বাচনের আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ নির্বাচন কমিশনে দায়ের করা মামলায় আসামি মহিউদ্দীন বাচ্চুর বিরুদ্ধে সমন দিয়েছিল আদালত। বৃহস্পতিবার ধার্য তারিখ ছিল, কিন্তু আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। মামলার এজাহার উলেস্নখ করা হয়, গত বছরের ২২ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম-১০ আসনের সব মসজিদের ইমাম ও মুয়াজ্জিনদের এক হাজার টাকা করে এবং মাদানী মসজিদে এক লাখ টাকা অনুদানের চেক দেন মহিউদ্দিন বাচ্চু। যা জুমার নামাজের খুতবার আগে মুসলিস্নদের অবহিত করেন। একইভাবে ২৪ ডিসেম্বর লালখান বাজারে তার প্রধান নির্বাচনী কার্যালয় থেকে মসজিদগুলোর ইমাম, মুয়াজ্জিনদের ৬০ হাজার টাকা করে অনুদানের চেক দেন বলে অভিযোগ ওঠে। পরে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি ২১টি মসজিদ, মন্দির ও প্যাগোডায় অনুদানের চেক বিতরণ সত্যতা পায়। এ নিয়ে ৪ জানুয়ারি নির্বাচন কমিশন মামলা করার নির্দেশ দেয়। এদিকে আচরণ বিধিমালার ৩ ধারা অনুসারে, কোনো প্রার্থী বা তার পক্ষ থেকে অন্য কোনো ব্যক্তি নির্বাচন-পূর্ব সময়ে কোনো ব্যক্তি, গোষ্ঠী বা কোনো প্রতিষ্ঠানে প্রকাশ্যে বা গোপনে চাঁদা বা অনুদান দিতে বা দেওয়ার অঙ্গীকার করতে পারবেন না। মহিউদ্দিন বাচ্চু এলাকার মসজিদে অনুদানের চেক বিতরণ করেছেন বলে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির কাছে অভিযোগ করেছিলেন ওই আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ মনজুর আলম। প্রসঙ্গত, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-১০ আসনে মহিউদ্দিন বাচ্চু ৫৯ হাজার ২৪ ভোট পেয়ে জয়ী হন। তার নিটকতম প্রতিদ্বন্দ্বী ফুলকপি প্রতীকের প্রার্থী মনজুর আলম পেয়েছিলেন ৩৯ হাজার ৫৩৫ ভোট।