বাংলাদেশে ঢুকে পড়া মিয়ানমারের সেনা, সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্য, শুল্ক কর্মকর্তাসহ ৩৩০ জনকে আজ সকাল ৮টায় ফেরত পাঠানো হবে। বুধবার দুপুরে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদর দপ্তরের জনসংযোগ বিভাগ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়। বার্তাটি পাঠিয়েছেন বিজিবি সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম।
এতে বলা হয়, বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যসহ ৩৩০ জনকে বিজিবির সার্বিক তত্ত্বাবধানে কক্সবাজারের ইনানীর নৌবাহিনী জেটিঘাট থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টায় দেশটির কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
এদিকে, ২ ফেব্রম্নয়ারি রাত থেকে নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের ওপারে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির সঙ্গে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির সংঘর্ষ চলছে। ইতোমধ্যে বিজিপিকে হটিয়ে তম্রম্ন রাইট ক্যাম্প ও ঢেঁকিবনিয়া সীমান্তচৌকি আরাকান আর্মি দখলে নিয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। ৪ ফেব্রম্নয়ারি রাত ৩টা থেকে দুইপক্ষের মধ্যে থেমে থেমে গোলাগুলি ও মর্টার শেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে।
পরদিন ৫ ফেব্রম্নয়ারি নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়নের জলপাইতলী গ্রামের একটি রান্নাঘরের ওপর মিয়ানমার থেকে ছোড়া মর্টার শেলের আঘাতে দুইজন নিহত হন। নিহত দুইজনের মধ্যে একজন বাংলাদেশি নারী, অন্যজন রোহিঙ্গা পুরুষ।
সংঘাতকালে মিয়ানমার সেনা, সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্য, শুল্ক কর্মকর্তাসহ ৩৩০ জন বাংলাদেশে
ঢুকে পড়েন। তারা বর্তমানে বিজিবির হেফাজতে আছেন।
এদিকে, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে নাইক্ষ্যংছড়ি, কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফ সীমান্তের ওপার দিয়ে থেকে থেমে গোলাগুলি শব্দ আসছে। গোলাগুলি পুরোপুরি বন্ধ না হওয়ায় সীমান্ত এলাকার লোকজনের আতঙ্ক এখনো কাটেনি। তবে আগের চেয়ে গোলাগুলির শব্দ কম আসায় লোকজন স্বাভাবিক কর্মব্যস্ততায় ফেরার চেষ্টা করছে। সীমান্ত এলাকার বিভিন্ন জমিতে লোকজনকে কাজ করতে দেখা গেছে।