আজ থেকে সারাদেশে একযোগে শুরু হচ্ছে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা। লিখিত পরীক্ষা শেষ হবে আগামী ১২ মার্চ। এ বছর এসএসসি, দাখিল, এসএসসি (ভোকেশনাল) ও দাখিল (ভোকেশনাল) পরীক্ষায় ২৯ হাজার ৭৩৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৩৭০০টি কেন্দ্রে ২০ লাখ ২৪ হাজার ১৯২ জন পরীক্ষার্থীর অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে।
পরীক্ষার সময়সূচি অনুযায়ী প্রথম দিন আজ ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীন এসএসসির বাংলা (আবশ্যিক) প্রথমপত্র পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত। এদিন মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীন সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত দাখিলের কোরআন মাজিদ ও তাজভিদ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এ ছাড়া কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীন এসএসসি (ভোকেশনাল) ও দাখিলের (ভোকেশনাল)
বাংলা-২ (১৯২১) ও বাংলা-২ (১৭২১) অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত।
সূচি অনুযায়ী এসএসসি পরীক্ষা শেষ হবে ১২ মার্চ। আর ব্যবহারিক পরীক্ষা ১৩ মার্চ শুরু হয়ে শেষ হবে ২০ মার্চ। কারিগরির লিখিত পরীক্ষা শেষ হবে ১২ মার্চ। ব্যবহারিক পরীক্ষা ১৩ মার্চ শুরু হয়ে শেষ হবে ২১ মার্চ। দাখিল পরীক্ষা শেষ হবে ১৪ মার্চ। আর ব্যবহারিক পরীক্ষা ১৬ মার্চ শুরু হয়ে শেষ হবে ৩০ মার্চ।
এর আগে ২৮ জানুয়ারি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা কমিটিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, ১৩ ফেব্রম্নয়ারি থেকে ১২ মার্চ পর্যন্ত সব কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে।
ওইদিন শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, এ বছর এসএসসি, দাখিল, এসএসসি (ভোকেশনাল) ও দাখিল (ভোকেশনাল) পরীক্ষায় ২৯ হাজার ৭৩৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৩৭০০টি কেন্দ্রে ২০ লাখ ২৪ হাজার ১৯২ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেবে।
মন্ত্রণালয় আরও জানায়, কেন্দ্র সচিব ছাড়া পরীক্ষাকেন্দ্রে অন্য কেউ মোবাইল ফোন বা অননুমোদিত ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করতে পারবেন না। কেন্দ্র সচিব ছবি তোলা ও ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধাবিহীন একটি সাধারণ (ফিচার) ফোন ব্যবহার করতে পারবেন। অননুমোদিত ফোন বা ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ ছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রশ্নপত্র ফাঁস সংক্রান্ত গুজব কিংবা এ কাজে তৎপর চক্রগুলোর কার্যক্রমের বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলো নজরদারি জোরদার করবে। প্রশ্নপত্র ফাঁস কিংবা পরীক্ষার্থীদের কাছে উত্তর সরবরাহে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও জেলা প্রশাসন কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেবে।