নিজে সারাজীবন সৎ থেকেছেন- এমন দাবি করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, এ দেশের পরবর্তী প্রজন্মের প্রতিটি ডাক্তারও সততা নিয়ে, স্বচ্ছতা নিয়ে মানুষের সেবা করে জীবন পার করে দেবে আমি সেটাই চাই।
শুক্রবার সকালে এমবিবিএস/বিডিএস ভর্তি পরীক্ষার রাজধানীর তেজগাঁও কলেজ কেন্দ্র ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবন কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে এ কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
এ সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব আজিজুর রহমান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবিএম খুরশীদ আলম, বিএমএ সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের মহাপরিচালক অধ্যাপক টিটু মিয়া, আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক রোকেয়া সুলতানা, ঢাকা মেডিকেলের অধ্যক্ষসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এবারের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস/বিডিএস ভর্তি পরীক্ষায় সর্বোচ্চ সতর্কতা নেওয়া হয়েছে। সব কেন্দ্রেই বিশেষ সতকর্তা নেওয়া ছিল। প্রতিটি প্রশ্নপত্র বহনকারী ট্রাঙ্কে একটি ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস লাগানো ছিল, যার মাধ্যমে অধিদপ্তর হতে পরীক্ষাকেন্দ্রে আনা নেওয়া কার্যক্রম মনিটরিং করা হয়েছে।
সামন্ত লাল সেন বলেন, পরীক্ষাকেন্দ্রে কেন্দ্র ম্যাজিস্ট্রেটসহ কারো কাছেই কোনোরকম মোবাইল যন্ত্র অনুমতি ছিল না। কোন মেডিকেল কোচিং গত এক মাস খোলা ছিল না। পরীক্ষার আগের দিন ফেসবুকে কোনোরকম প্রশ্নফাঁসের গুজব ছড়ানোর সুযোগ দেয়নি গোয়েন্দা সংস্থার পক্ষ থেকে। মোট কথা, এবারের মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় যতরকম সতর্ক থাকা যায়, থেকেছি।
তিনি আরও বলেন, আমি চাই দেশে সৎ ও উন্নত মানের ডাক্তার তৈরি হোক। নিজে সারাজীবন সৎ থেকেছি, এদেশের পরবর্তী প্রজন্মের প্রতিটি ডাক্তারও সততা নিয়ে, স্বচ্ছতা নিয়ে মানুষের সেবা করে সেটাই চাই।
এদিকে, এ বছর এমবিবিএস ভর্তি প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আনয়ন, প্রকৃত শিক্ষার্থীদের হয়রানি ও অনিয়ম বন্ধ এবং মেধাবী শিক্ষার্থীদের ভর্তি নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যেভর্তি প্রক্রিয়া ডিজিটালাইজেশনের কার্যক্রম নেওয়া হয়েছে। সরকারি মেডিকেল কলেজে বিগত কয়েক বছর অনলাইনে ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্নকরণ এবং ডিজিটালাইজেশনের ফলে প্রশ্নপত্র ফাঁস বন্ধ হয়েছে এবং একটি স্বচ্ছ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করা সম্ভব হয়েছে।
এদিন সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত ঘণ্টাব্যাপী দেশের ১৯টি পরীক্ষাকেন্দ্রের ৪৪টি ভেনু্যতে একযোগে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। দেশের ৩৭টি সরকারি মেডিকেল কলেজের মোট ৫৩৮০টি আসনের বিপরীতে এবং বেসরকারি পর্যায়ে অনুমোদিত ৬৭টি মেডিকেল কলেজের মোট ৬২৯৫টি আসনের বিপরীতে এ বছর এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় মোট ১ লাখ ৪ হাজার ৩৭৪ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়েছেন।