ইউজিসির কার্যালয় তথ্য
জাবি প্রশাসনের ব্যর্থতায় যৌন নিপীড়ন বন্ধ হয়নি
প্রকাশ | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
যাযাদি রিপোর্ট
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) স্বামীকে হলে আটকে স্ত্রীকে দলবেঁধে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠার পর ইউজিসির দায়িত্বপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অধ্যাপক মুহাম্মদ আলমগীর বলেছেন, 'জাবি প্রশাসনের ব্যর্থতায় সেখানে যৌন নিপীড়নসহ অন্যান্য অনিয়ম বন্ধ হয়নি। বুধবার ইউজিসির এক কর্মশালায় তিনি এ মন্তব্য করেন।'
এদিকে গত শনিবার রাতে স্বামীকে মীর মশাররফ হোসেন হলে আটকে রেখে এক গৃহবধূকে দলবেঁধে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে ছাত্রলীগের এক নেতা এবং তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে। এর প্রতিবাদে বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে জাবি ক্যাম্পাস।
অধ্যাপক আলমগীর বলেন, 'বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যৌন হয়রানিসহ নানা অপকর্মে দৃশ্যমান ও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণে ব্যর্থ হয়েছে। এ ছাড়া এসব অপরাধের বিচারের দীর্ঘসূত্রতা ও অপরাধীদের প্রশ্রয়ের কারণে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে যৌন হয়রানি ঘটনা রোধ করা সম্ভব হয়নি।'
উচ্চশিক্ষার সর্বোচ্চ স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান ইউজিসির দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান বলেন, 'ক্যাম্পাসে ধর্ষণ ও যৌন হয়রানির অভিযোগ নিয়ে তীব্র প্রতিবাদ হলেই কেবল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নেয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি অরাজক পরিস্থিতি তৈরি, শিক্ষা ও গবেষণার পরিবেশ এবং শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের কর্মঘণ্টা নষ্ট হয়।'
অধ্যাপক আলমগীর বলেন, 'জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্ষণ ঘটনা আমাদের মর্মাহত করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্ষণের মতো জঘন্য ঘটনা কোনোমতেই গ্রহণযোগ্য নয়। কেন এই বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন ঘটনা ঘটছে, তা খতিয়ে দেখে দ্রম্নত ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।'
আবাসিক সুবিধা নিশ্চিত না করে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে কিভাবে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হচ্ছে এবং অছাত্ররা দিনের পর দিন কীভাবে হলে থাকছেন সেটিও খতিয়ে দেখা দরকার বলে তিনি মনে করেন।
ইউজিসির দায়িত্বপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অধ্যাপক আলমগীর বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে যৌন হয়রানিসহ অনিয়মের অভিযোগ পর্যালোচনা ও প্রতিকারে পদক্ষেপ গ্রহণে ইউজিসি শিগগিরই উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন সেল গঠন করবে।
তিনি আরও বলেন, 'কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে অনিয়ম ও নিপীড়নের ঘটনা ঘটলে এই সেল তদারকি করবে এবং তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে সুপারিশ করবে।'
জাবিতে তদন্ত কমিটি যাবে আজ
এদিকে, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে দলবেঁধে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠার পর তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেছে ইউজিসি। কমিটির সদস্যরা আজ বিশ্ববিদ্যালয়ে যাবেন।
ইউজিসি জানিয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ধর্ষণের অভিযোগ ওঠার পর কী ব্যবস্থা নিয়েছে এবং কেন এমন ঘটনা ঘটছে তা খতিয়ে দেখবে এই কমিটি।