রোববার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
সংসদে প্রধানমন্ত্রী

বিএনপি-জামায়াতের বিরুদ্ধে নাশকতার ৮১০৫ মামলা

যাযাদি রিপোর্ট
  ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে বক্তব্য রাখেন -ফোকাস বাংলা

বিএনপি-জামায়াতে ইসলামীর নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে ২০১২, ২০১৩, ২০১৪ ও ২০১৫ সাল এবং ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর থেকে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের দিন পর্যন্ত সারা দেশে মোট ৮ হাজার ১০৫টি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে ১ হাজার ৯৬৭টি মামলার বিচারকাজ সম্পন্ন হয়েছে। এসব মামলায় ১ হাজার ২৪১ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে। বুধবার জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তর পর্বে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব তথ্য জানিয়েছেন। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।

শেখ হাসিনা জানান, ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর থেকে চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত সময়ে করা মামলাগুলোর বিষয়ে তদন্ত চলছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করতে বিএনপি-জামায়াত ও তাদের দোসররা গত বছরের ২৮ অক্টোবর থেকে সহিংস কর্মসূচির মাধ্যমে সারাদেশে ৬০০টির বেশি যানবাহনে ভাঙচুর করেছে। এ সময়ে তাদের নাশকতার ঘটনার ১৩ জন নিহত হয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত বছরের ২৮ অক্টোবর থেকে এ ধরনের সহিংস কর্মসূচির মাধ্যমে সারাদেশে ৬০০টির বেশি যানবাহনে ভাঙচুর করেছে বিএনপি-জামায়াত ও তাদের দোসরার। যার মধ্যে ১৮৪টি যাত্রীবাহী বাস, ৪৮টি ট্রাক, ২৮টি কাভার্ড ভ্যান/ মালবাহী লড়ি/কনটেইনার, ৩টি সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ৪টি প্রাইভেট কার, ১১টি পিকআপ ভ্যান রয়েছে।

তিনি জানান, একই সময়ে পাঁচটি ট্রেন- যমুনা এক্সপ্রেস ট্রেন, ঢাকা কমিউটার ট্রেন, মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেন, বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেন ও টাঙ্গাইল কমিউটার ট্রেনে অগ্নিসংযোগ এবং ১৫টি মোটর সাইকেল, ৩টি লেগুনা, ১টি ওয়ার্ড কাউন্সিলর অফিস (মধ্য রামপুরা, ফেনী) ও ১টি অটোরিকশায় অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ সময়ে একটি উচ্চ বিদ্যালয় (চর শাহা উচ্চ বিদ্যালয়, সোনাগাজী, ফেনী), ১২টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ধোলাইপার সরকারি

প্রাথমিক বিদ্যালয়, চুনারুঘাট, হবিগঞ্জ; পূর্ব চান্দনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, জয়দেবপুর গাজীপুর; টি এন টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, গাজীপুর সদর; মাস্টারপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় হাতিবান্ধা, লালমনিরহাট; পড়শীপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় গফরগাঁও, ময়মনসিংহ; নিশ্চিন্তপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্দর, চট্টগ্রাম; বাজিতখিলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শেরপুর; মৌচাক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কালিয়াকৈর, গাজীপুর; হরিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নান্দাইল, ময়মনসিংহ; মনতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ময়মনসিংহ; পুলেরঘাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পাকুন্দিয়া, কিশোরগঞ্জ; দক্ষিণ পাইকপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দৌলতপুর, খুলনা; ৪টি বসতঘর; ১টি বৌদ্ধমন্দির রামু, কক্সবাজার, ১টি নৌকাসহ সর্বমোট ৩২৮টি যানবাহন ও প্রতিষ্ঠানে অগ্নিসংযোগ করা হয়।

শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি ও তাদের সমমনা দলগুলোর ডাকা হরতাল-অবরোধে ড্রাইভার, হেলপার, পুলিশ, বিজিবি, শ্রমিক, মুক্তিযোদ্ধাসহ বহু মানুষ হতাহত ও পঙ্গুত্ববরণ করেছে। বিএনপির ক্যাডাররা অসংখ্য যানবাহন জ্বালিয়ে দিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, হরতাল-অবরোধের নামে নাশকতার ঘটনায় সারাদেশে ১৩ জন নিহত হয়েছেন। যার মধ্যে ট্রেনে নাশকতার ঘটনায় নিহত হন ৯ জন, বিজিবির ২ সদস্য আহত এবং একটি রিকুইজিশনকৃত যানবাহনের ক্ষতিসাধন হয়। আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর বিভিন্ন জেলায় ৪৫ জন সদস্য আহত হয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, বিআরটিসি বাস ডিপোর বাস রক্ষা করতে গিয়ে একজন আনসার সদস্য ইট-পাটকেলের আঘাতে আহত হন। দুজন আনসার সদস্য হোসেন আলী ও সুমন আলী বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীদের হামলায় গুরুতর আহত হন। বাহিনীর পক্ষ থেকে তাদের চিকিৎসাসেবা ও আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে।

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, অগ্নিসন্ত্রাস, নাশকতা, অন্তর্ঘাতমূলক কর্মকান্ড প্রভৃতি অপরাধে জড়িতদের চিহ্নিত করে শাস্তি নিশ্চিত করার জন্য দেশে দক্ষ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, বিচারব্যবস্থা ও প্রচলিত আইন রয়েছে। হরতাল ও অবরোধের নামে নাশকতাকারীদের বিরুদ্ধে বিদ্যমান আইনে যথাযথ ব্যবস্থাগ্রহণপূর্বক বিভিন্ন আইনি কার্যক্রমও চলমান।

'পঁচাত্তরের পর সবচেয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে'

এদিকে এদিন দুপুরে গণভবনে গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে ১৯৭৫ সালের পর এ বছর সবচেয়ে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়েছে বলে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নানা ধরনের অপকর্ম করে তারা (বিএনপি-জামায়াত) এবারের নির্বাচন ঠেকাতে চেয়েছিল। এবারের নির্বাচনে সবচেয়ে বড় কথা হলো জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট কেন্দ্রে গেছে এবং ভোট দিয়েছে।

টানা চারবারের প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি মনে করেন, বাংলাদেশে '৭৫ সালের পর থেকে যতগুলো নির্বাচন হয়েছে, সবচেয়ে অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন, এবারের নির্বাচন।

শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের সামনের যাত্রাপথ এত সহজ না। অনেক বাধা-বিঘ্ন অতিক্রম করতে হয়। অনেক চক্রান্ত এ বাংলাদেশকে ঘিরে আছে। বাংলাদেশের মানুষ আজকে আর্থিকভাবে সচ্ছলতা পেয়েছে।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের মানুষের পেটে আজ ভাত আছে। তারা চিকিৎসা পাচ্ছে। কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে ৩০ প্রকার ওষুধ বিনামূল্যে দিচ্ছি। আজ বিদেশ থেকে পুরনো কাপড় এনে পরতে হয় না।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভাত-কাপড়ের ব্যবস্থা যেমন করা হয়েছে, চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছি, শিক্ষার ব্যবস্থা করে দিয়েছি। এভাবে মানুষের কল্যাণে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

দ্রব্যমূল্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী খাদ্যপণ্যের দাম বেড়েছে, অনেক টাকা দিয়ে আমাদের কিনে আনতে হয়- সার, বীজ, গম, জ্বালানি তেল, ভোজ্য তেল, গ্যাস অনেক কিছুই আমাদের বিদেশ থেকে কিনতে হয়। প্রতিটি জিনিসের দাম যেমন বেড়ে গেছে, সেই সঙ্গে সঙ্গে পরিবহণ খরচ বেড়ে গেছে ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের কারণে।

তিনি আরও বলেন, যারা নির্দিষ্ট আয়ের মানুষ তাদের একটু কষ্ট হচ্ছে। সবাই যদি আমরা অনাবাদি জমিগুলো চাষ করে ফেলি, তাহলে আর এই খাদ্যের অভাব থাকবে না। বরং আমরা আরও উদ্বৃত্ত করতে পারব, মানুষকে দিতেও পারব।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, যেখানে যত পতিত জমি আছে, সব আমাদের চাষের আওতায় আনতে হবে। তার জন্য যতটুকু সহযোগিতা করা দরকার, আমরা করব। সেই সঙ্গে সঙ্গে সমবায় করে, সমবায়ের মাধ্যমে বাজারজাতের ব্যবস্থা করতে হবে।

খাদ্যশস্য সংরক্ষণে সরকারের পরিকল্পনার কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, খাদ্যশস্য সংরক্ষণের ব্যবস্থা করার পরিকল্পনা আমাদের আছে। প্রত্যেক জেলায় যাতে খাদ্যশস্য সংরক্ষণ করা যায়, যখন উদ্বৃত্ত হবে, তখন সংরক্ষণ করা, প্রক্রিয়াজাত করা- সেভাবে আমরা কাজ করার ব্যবস্থা নিয়েছি ইতোমধ্যে।

বিদু্যৎ ও পানি ব্যবহারে সবাইকে সাশ্রয়ী হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

চেয়ারম্যান-মেম্বারদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা অনেক প্রকল্প দিই, কাজ করি। সেই কাজগুলো যাতে যথাযথভাবে হয়। মানুষ যেন গালি না দেয়। কাজ দেখে যেন মানুষ আস্থা-বিশ্বাস আনতে পারে। এ আস্থা-বিশ্বাস সবচেয়ে বেশি দরকার।

'দেশীয় খেলা যেন হারিয়ে না যায়'

এদিকে এদিন রাজশাহীতে ৫২তম শীতকালীন জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় চূড়ান্ত পর্বের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা বলেছেন, 'আমাদের কিছু দেশীয় খেলা, সেই ডাংগুলি থেকে শুরু করে বিভিন্ন খেলাধুলা আগে প্রচলিত ছিল। সেগুলো আমাদের চালু করা উচিত। আমাদের নিজস্ব দেশীয় খেলাগুলো, হাডুডু থেকে শুরু করে সবগুলো খেলা সক্রিয় রাখতে উদ্যোগ নিতে হবে। আমাদের ছেলেমেয়েরা সকলে মিলে উদ্যোগ নেবেন, যেন দেশীয় খেলাগুলো হারিয়ে না যায়।'

গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে শেখ হাসিনা বলেন, 'আমাদের ছেলেমেয়েরা ভালো এবং মেধাবী। সুযোগ করে দিলে আরও ভালো করতে পারবে। সব ধরনের খেলাকে আমাদের হাতে আনতে হবে।'

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান খেলাধুলার প্রতি কতটা আগ্রহী ছিলেন, সে বিষয়টি তুলে ধরে তার মেয়ে শেখ হাসিনা বলেন, 'আমি মনে করি, বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে বলে আমাদের ছেলেমেয়েরা খেলাধুলায় ব্যাপক সুযোগ পাচ্ছে। আন্তর্জাতিক পর্যায় পর্যন্ত তাদের দক্ষতা প্রমাণ রাখতে পারছে। জাতির পিতার উদ্যোগে স্বাধীনতার পর এই শীতকালীন জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছিল। আমাদের পরিবারটা সবসময় খেলাধুলার সঙ্গে জড়িত ছিল। আমার দাদা নিজেই ফুটবল পেস্নয়ার ছিলেন, আমার বাবাও ফুটবল পেস্নয়ার ছিলেন এবং আমার ভাই জামাল, কামাল, রাসেল সবাই স্পোর্টসের সাথে জড়িত ছিল। এমনকি কামালের স্ত্রী সুলতানা কামাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বস্নু উপাধি পেয়েছিল। জামালের স্ত্রী পারভীন জামালও খেলাধুলার সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিল।'

প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'আমাদের ছেলেমেয়ের নাতি-পুতিটাও ফুটবল খেলে। ফুটবল হচ্ছে বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা, তার সাথে অন্যান্য খেলাধুলা এখন আমাদের দেশীয় খেলাগুলোর দিকে আমাদেরকে বেশি আকর্ষণ করে গড়ে তোলা উচিত। দেশীয় খেলাকেও গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন। খেলাধুলার মধ্য দিয়ে শারীরিক চর্চা হয়, খেলাধুলার মধ্য দিয়ে বাচ্চাদের ছোটবেলা থেকে ঐক্যের বন্ধন সৃষ্টি হয়। প্রতিযোগিতার পাশাপাশি বন্ধুত্বের একটা সম্পর্ক সৃষ্টি হয়। সেখানে মনে করি খেলার প্রতি আরও দৃষ্টি দেওয়া উচিত। আমরা সরকার গঠনের পর থেকে খেলাধুলার প্রতি আরও মনোযোগী হয়েছি। যেখানে প্রাইমারি স্কুলে মেয়েদের বঙ্গমাতা ফুটবল টুর্নামেন্ট, ছেলেদের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ফুটবল টুর্নামেন্ট শুরু করি। পাশাপাশি আন্তঃস্কুল প্রতিযোগিতা যেমন শুরু হয়েছে, শুধু ফুটবল ক্রিকেট না, সব ধরনের খেলাধুলার দরকার।'

আন্তঃস্কুল, আন্তঃকলেজ, আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় প্রতিযোগিতা আয়োজনে জোর দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'আমাদের ছেলেমেয়েদের আরও উন্নত প্রশিক্ষণ দরকার। প্রশিক্ষক তৈরি করা একান্তভাবে দরকার। আমরা প্রত্যেকটা বিভাগে একটা করে ক্রীড়া প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলব, বিকেএফপি আটটা বিভাগে আটটা হবে। সেখানে আমাদের ছেলেমেয়েরা ছোটবেলা থেকে খেলাধুলা আরও পারদর্শী হবে। আজকে আমাদের ভালো খবর হলো যে ভুটানকে আমরা চার গোলে হারিয়েছি। ফুটবলে আমাদের মেয়েরা খুব ভালো করছে। খেলাধুলার দিক দিয়ে মেয়েরা একটু বেশি এগিয়ে যাচ্ছে মনে হচ্ছে। ছেলেরা পিছিয়ে নেই, তবে আরও এগিয়ে যাবে। ছোটবেলা থেকে যদি ভালো ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করতে পারি, তাহলে তারা তাদের দক্ষতার পরিচয় দিতে পারবে।'

দেশীয় খেলায় আরও গুরুত্ব দেওয়ার তাগিদ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'আমার প্রত্যেকটা উপজেলা পর্যন্ত খেলার মাঠ, মিনি স্টেডিয়াম তৈরি করছি। বেশ কয়েকটা হয়ে গেছে, আরও বাকি আছে। এটা তৈরি করার উদ্দেশ্য হলো, আমাদের ছেলেমেয়েরা যেন সারা বছর খেলাধুলার সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারে।'

শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন রাজশাহী সিটি করপোরেশন মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন। রাজশাহীর মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠানটি হয়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে