দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে বিআরটিসি বাসের চাপায় চারজন নিহত হন। মঙ্গলবার সকাল ৭টার দিকে উপজেলার দিনাজপুর-রংপুর মহাসড়কের রানীরবন্দর বাজারে এ দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনায় আরও আটজন আহত হয়েছেন। তাদের রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, দিনাজপুর থেকে ছেড়ে আসা রংপুরগামী দ্রম্নতগতির একটি বিআরটিসি বাস (ঢাকা মেট্রো-ব ১৫-৫৪৯৩) উপজেলার দশমাইল-সৈয়দপুর মহাসড়কের রানীরবন্দর সুইহারীবাজার বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে থাকা যাত্রীবাহী চার্জার রিকশাভ্যানকে চাপা দিলে তিনটি রিকশাভ্যান দুমড়ে-মুচড়ে যায়। এ সময় রাস্তায় ছিটকে পড়ে বাসের চাকার নিচে চাপা পড়ে ঘটনাস্থলেই চার ব্যক্তি নিহত হন।
নিহতরা হলেন দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার গোয়ালডিহি ইউনিয়নের গোয়ালডিহি গ্রামের পস্ন্যানবাজারের মৃত ইসমাইল হোসেনের ছেলে চার্জার রিকশাভ্যানচালক নজরুল ইসলাম ওরফে নজু (৪৫), একই গ্রামের বটতলীবাজারের মৃত আজিমদ্দিনের ছেলে চার্জার রিকশাভ্যানচালক আ. মজিদ (৪০) এবং রিকশাভ্যানের যাত্রী মধু ব্যবসায়ী টেকনাফের হরিখোলার মৃত মংসু চাকমার ছেলে লতাইয়া চাকমা (৫২), একই এলাকার মৃত ইশা এসং চাকমার ছেলে মাইন্দো চাকমা (৪৫)।
আহতদের মধ্যে তিনজনের পরিচয় জানা গেছে। তারা হলেন টেকনাফের আনটুলির মইমাচিং চাকমার ছেলে মধু ব্যবসায়ী দীপ চাকমা (৪০), খানসামা উপজেলার গোয়ালডিহি ইউনিয়নের গোয়ালডিহি গ্রামের আ. রাজ্জাক (৪২) ও স্থানীয় নশরতপুর গ্রামের জুলফিকার আলীর মেয়ে জুথি (১৫)।
জানা যায়, দুর্ঘটনার পর স্থানীয় লোকজন বাসটি আটক করে ভাঙচুর চালান এবং মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। ঘটনার পর অন্তত আড়াই ঘণ্টা মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিলে বাস চলাচল স্বাভাবিক হয়।
দশমাইল হাইওয়ে থানার এসআই মোস্তাফিজুর রহমান ও চিরিরবন্দর থানার ওসি আবুল হাসনাত খান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, 'বিআরটিসি বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই দু'জন রিকশাভ্যানচালক ও দু'জন মধু ব্যবসায়ীর মর্মান্তিক মৃতু্য হয়েছে।'
ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. নুর আলম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এ কে এম শরীফুল হক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. জিন্নাহ আল মামুনসহ স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের হস্তক্ষেপে মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
পুলিশ জানায়, নিহতদের মধ্যে দু'জনের মরদেহ তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।