রোববার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

প্রকাশিত প্রতিবেদনের ব্যাখ্যা বিটিআরসির

  ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
প্রকাশিত প্রতিবেদনের ব্যাখ্যা বিটিআরসির

গত ৩ ফেব্রম্নয়ারি দৈনিক যায়যায়দিনের প্রথম পৃষ্ঠায় 'ফের অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসা শুরুর চেষ্টা' শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনের ব্যাখা দিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।

বিটিআরসির মিডিয়া কমিউনিকেশন এন্ড পাবলিকেশনস উইংয়ের উপ-পরিচালক মো. জাকির হোসেন খাঁন স্বাক্ষরিত ব্যাখায় বলা হয়েছে, ফের ভিওআইপি ব্যবসা বন্ধে শুরুর চেষ্টা করেছে এমন ২০টি প্রতিষ্ঠানকে শনাক্ত করেছে বিটিআরসি ও গোয়েন্দারা। এ তথ্যটি বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলের, বর্তমান সরকারের আমলের নয়।

এছাড়া প্রতিবেদনের অপর অংশের দ্বিতীয় পৃষ্ঠার ৫ এর কলামে গত ১ ফেব্রম্নয়ারি দিবাগত রাতে বিটিআরসি ওর্ যাব-১০ এর সমন্বয়ে একটি ভিওআইপি অভিযানের কথা উলেস্নখ রয়েছে, যা ভুল তথ্য সম্বলিত মর্মে কমিশনের নিকট প্রতীয়মান হয়েছে। মূলত রাজধানীর সবুজবাগ থানাধীন দক্ষিণ মাদারটেক এলাকায় বর্ণিত অভিযানটি পরিচালিত হয়েছিল অবৈধ ডিটিএইচ (ডাইরেক্ট টু হোম (ডিটিএইচ) ব্যবসার সঙ্গে জড়িত প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে (বিটিআরসির অনুমোদন ব্যতীত ফ্রিকোয়েন্সি ও বিভিন্ন অনুমোদনহীন বেতার যন্ত্রপাতি ব্যবহার)। এছাড়া উক্ত অভিযানে ডিটিএইচ সরঞ্জামসমূহকে (২৮টি বিভিন্ন মডেলের সেট টপ বক্স, ১টি ইনকোডার, ১টি রিসিভার, ১টি মডুলেটর, ২টি এন্টেনা ও ৩টি এলএনবি) প্রতিবেদনে ভিওআইপি সরঞ্জাম হিসেবে উলেস্নখ করা হয়েছে, যা সঠিক নয়। বিটিআরসির মতো একটি পলিসি প্রণয়নকারী কারিগরি সংস্থাসংশ্লিষ্ট এ ধরনের সংবাদ জনমনে বিভ্রান্তির জন্ম দিতে পারে বিধায় কমিশনের পক্ষ থেকে প্রকাশিত সংবাদের বিষয়ে একটি ব্যাখা প্রদানের প্রয়োজন অনুভূত হয়।

কমিশন টেলিযোগাযোগ খাতে শৃঙ্খলা আনয়ন এবং টেকসই টেলিযোগাযোগ সেবা প্রদানে প্রতিনিয়ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থাসমূহের সঙ্গে যৌথভাবে বিভিন্ন ধরনের অভিযান চালিয়ে থাকে। বিটিআরসির সময়োপযোগী পলিসি প্রণয়ন ও নিয়মিত অভিযানের কারণে বর্তমানে অবৈধ ভিওআইপি কার্যক্রম বহুলাংশে হ্রাস পেয়েছে, যা একটি চলমান প্রক্রিয়া। এ ধরনের অভিযানের তথ্যসমূহ কমিশনের মিডিয়া কমিউনিকেশন এন্ড পাবলিকেশনস উইং থেকে গণমাধ্যম কর্মীদেরকে সময়ে সময়ে অবহিত করা হয়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে