ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার ২৮তম আসরের প্রথমদিকে দর্শনার্থীদের তেমন ভিড় না থাকলেও ছুটির দিনে জমে উঠেছে মেলা। দূরদূরান্ত থেকে আগত ক্রেতা-দর্শনার্থীদের আনাগোনায় মুখরিত মেলা প্রাঙ্গণ। তবে দোকান মালিকদের দাবি, মেলায় ভিড় বাড়লেও এখনো তাদের কেনাবেচা বাড়েনি। আশা করছেন, আগামী সপ্তাহ থেকে তাদের বেচাবিক্রি বৃদ্ধি পাবে।
শনিবার সন্ধ্যায় ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলায় সরেজমিন এমনই চিত্র লক্ষ্য করা যায়।
সোনারগাঁও
থেকে পরিবার নিয়ে মেলায় আসা চাকরিজীবী জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, 'মেলা শুরু হওয়ার আগে থেকেই ইচ্ছা ছিল পরিবার নিয়ে মেলায় আসার। কিন্তু নানা ব্যস্ততার কারণে এতদিন আসা হয়নি। আজ ছুটির দিন হওয়ায় পরিবার নিয়ে চলে আসলাম।
মিরাজুল ইসলাম নামের এক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বলেন, 'বন্ধুবান্ধব নিয়ে মেলায় ঘুরতে এসেছি। এখন পর্যন্ত তেমন কিছু কেনা হয়নি। অফারে কোনো মোবাইল পেলে কিনবো ভাবছি।
ব্যবসায়ী জসীম উদ্দিন জানান, ছুটির দিনে মানুষের চাপ বেশি থাকলেও ক্রেতার চেয়ে দর্শনার্থীর সংখ্যা বেশি। অধিকাংশ দোকানে এসে বিভিন্ন পণ্য দেখলেও ক্রয় করছেন হাতেগোনা কয়েকজন। তবে তিনি আশা করছেন শেষের দিকে ব্যবসা জমজমাট হবে।
মেলার পরিচালক বিবেক সরকার বলেন, 'ছুটির দিনে মেলা পুরোপুরি জমজমাট হয়ে উঠেছে। আশা করছি গত বছরের চেয়ে এবার বেশি মানুষের সমাগম ঘটবে। মেলায় আগত ক্রেতা দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমরা সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি।'
এবারের বাণিজ্যমেলায় দেশীয় পণ্যের পাশাপাশি ভারত, পাকিস্তান, তুরস্ক, ইরান, হংকং, ইন্দোনেশিয়া, সিঙ্গাপুরসহ বিভিন্ন দেশ অংশ নিয়েছে। মেলায় এসব দেশের বস্ত্র, মেশিনারিজ, কার্পেট, কসমেটিকস অ্যান্ড বিউটি এইডস, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস, ফার্নিচার, পাট ও পাটজাত পণ্য, গৃহসামগ্রী, চামড়া/আর্টিফিসিয়াল চামড়া ও জুতাসহ চামড়াজাত পণ্য, স্পোর্টস গুডস, স্যানিটারি ওয়্যার, খেলনা, স্টেশনারি, ক্রোকারিজ, পস্নাস্টিক, মেলামাইন পলিমার, হারবাল ও টয়লেট্রিজ, ইমিটেশন জুয়েলারি, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, ফাস্টফুড, হস্তশিল্পজাত পণ্য, হোম ডেকর ইত্যাদি পণ্য মেলায় প্রদর্শিত হচ্ছে।