জামিন দিতে বিচারককে হত্যার হুমকি, আইনজীবীসহ ৩ জন গ্রেপ্তার
প্রকাশ | ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
স্টাফ রিপোর্টার, যশোর
যশোরে বিচারককে ধর্ষণ মামলায় জামিন দেওয়ার জন্য হুমকি দেওয়ায় নবকুমার কুন্ডু নামে এক আইনজীবীসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে যশোর ডিবি পুলিশ। বুধবার ও বৃহস্পতিবার যশোর শহরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। বৃহস্পতিবার বিকালে আদালতে সোপর্দ করলে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। অভিযোগ সত্য হলে ওই আইনজীবীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে জেলা আইনজীবী সমিতি।
আটককৃতরা হলেন- যশোর শহরের পুরনো কসবার ভাড়াটিয়া অ্যাডভোকেট নব কুমার কুন্ডু (৫৫), তার মহুরি পুরনো কসবা কাজীপাড়ার রবিউল ইসলাম (৪২) ও কম্পিউটার অপারেটর শহরের ষষ্টিতলা এলাকার মিহির কুমার সাহা।
যশোর ডিবি পুলিশের অফিসার ইনচার্জ রূপন কুমার সরকার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি মাধ্যমে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, যশোরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক ফারজানা ইয়াসমিন ভারপ্রাপ্ত জেলা জজ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। গত ২৮ জানুয়ারি তিনি ডাকযোগে একটি চিঠি পান। বিপস্নবী কমিউনিস্ট পার্টির জনৈক নজরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে উলেস্নখ করা হয়, 'আপনাকে বিশেষভাবে অনুরোধ করা যাচ্ছে, ৩০ জানুয়ারি ক্রিমিনাল মিস ২৯/২৪ নং মামলার ধর্ষণের অভিযোগ থাকলেও সব আসামিকে জামিন দেবেন। অন্যথায় আপনার জীবন শেষ করে দেওয়া হবে এবং আপনার ওই অবস্থা করা হবে।'
বিচারক বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানালে ডিবি পুলিশ তদন্ত শুরু করে। এরপর চিঠি পোস্ট করা যশোর পোস্ট অফিসের সিসিটিভি ফুটেজ ও কাগজপত্র পর্যালোচনা করে বুধবার গভীররাতে কাজীপাড়া থেকে মহুরি রবিউল ইসলামকে আটক করা হয়। তার দেওয়া তথ্যমতে, বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় শহরের সিভিল কোর্ট মোড় এলাকা থেকে কম্পিউটার অপারেটর মিহির সাহাকে আটক করা হয়। তাদের দেওয়া তথ্যমতে পরে অ্যাডভোকেট নবকুমার কুন্ডুকে আটক করা হয়। তারা বিচারককে চিঠিতে হুমকি প্রদর্শনের বিষয়টি স্বীকার করে তথ্য দিয়েছে। এ ঘটনায় ডিবি পুলিশের এসআই মফিজুল ইসলাম বাদী হয়ে যশোর কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করেন এবং আটককৃতদের এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করেন। পরে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এ ঘটনায় জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক শাহীনুর আলম শাহীন জানান, বিচারককে হুমকি দেওয়ার ঘটনায় আইনজীবী গ্রেপ্তারের বিষযটি শুনেছেন। অভিযোগ সত্য হলে ওই আইনজীবীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।