বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে লাইসেন্স নেয়নি প্রতিষ্ঠানটি এমনকি কোনো আবেদনও জমা দেয়নি
বাংলাদেশকে ঘিরে 'ওয়েলক্স পে'র প্রতারণার ফাঁদ
প্রকাশ | ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
যাযাদি রিপোর্ট
বাংলাদেশ ব্যাংকের লাইসেন্স, মোবাইলে আর্থিক সেবা দেওয়া (এমএফএস) শীর্ষ প্রতিষ্ঠান বিকাশের সঙ্গে চুক্তি ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতের অন্যতম উদ্যোক্তা সোনিয়া বশির কবিরের নাম ব্যবহার করে 'ওয়েলক্স পে' নামের একটি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান অপপ্রচার শুরু করেছে।
প্রতিষ্ঠানটি বিদেশি বিভিন্ন গণমাধ্যমে জানিয়েছে, ওয়েলক্স পে বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে পেমেন্ট সার্ভিস ওপারেটর (পিএসও) লাইসেন্স পেয়েছে, বিকাশের সঙ্গে চুক্তি করেছে। পাশাপাশি ওয়েলক্স পের প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক তথ্যপ্রযুক্তি খাতের উদ্যোক্তা সোনিয়া বশির কবির। অবশ্য এর কোনোটিই সঠিক নয় বলে জানা গেছে। এর ফলে বাংলাদেশের ব্যাংক, এমএফএস সেবার গ্রাহকদের অর্থ খোয়া যেতে পারে এই সেবায় লেনদেন করলে।
গত বছরের ১৬ নভেম্বর ভারতের হিন্দুস্তান টাইমসে একটা বিজ্ঞাপন বার্তায় বলা হয়, ওয়েলক্স পে বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে পেমেন্ট সার্ভিস ওপারেটর (পিএসও) লাইসেন্স পেয়েছে। তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে কোনো লাইসেন্স নেয়নি প্রতিষ্ঠানটি। এমনকি কোনো আবেদনও জমা দেয়নি। কেন্দ্রীয় ব্যাংক এখন পর্যন্ত ১০টি প্রতিষ্ঠানকে পিএসও লাইসেন্স দিয়েছে। পিএসও প্রতিষ্ঠানগুলোতে যে কোনো ব্যাংক, এমএফএস থেকে টাকা নিয়ে লেনদেন করা যায়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক বলেন, ওয়েলক্স পে নামের কোনো প্রতিষ্ঠানকে পিএসও লাইসেন্স দেওয়া হয়নি। যাদের লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে তাদের তালিকা বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইটে আছে।
এদিকে বিদেশি অন্য একটি গণমাধ্যমে বিজ্ঞাপন বার্তায় বলা হয়, ওয়েলক্স পে বাংলাদেশের মোবাইলভিত্তিক আর্থিক সেবা দেওয়া প্রতিষ্ঠান বিকাশের সঙ্গে চুক্তি করেছে। ওয়েলক্স পের প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক তথ্যপ্রযুক্তি খাতের উদ্যোক্তা সোনিয়া বশির কবির।
যদিও বিকাশ জানিয়েছে, ওয়েলক্স পে নামের কোনো প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে তাদের কোনো চুক্তি নেই। প্রতিষ্ঠানটি ভুল বার্তা দিচ্ছে। সোনিয়া বশির কবিরের সঙ্গেও এই প্রতিষ্ঠানের কোনো সম্পর্ক নেই। তার সঙ্গে যোগাযোগ করে পাওয়া যায়নি। তবে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তিনি ওই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত নন।
ওয়েলক্স পে ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, তাদের প্রধান কার্যালয় ইন্দোনেশিয়ায়। এটি ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশে সেবা দিয়ে থাকে। বিভিন্ন মুদ্রার পাশাপাশি ক্রিপ্টো মুদ্রার লেনদেনও হয় এই সেবার মাধ্যমে। তবে দেশে ক্রিপ্টো মুদ্রা লেনদেনের আনুষ্ঠানিক অনুমতি নেই।