দেয়ালঘেরা বাড়িটিতে তিন খুন নিয়ে নানা জল্পনা

প্রকাশ | ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০

স্টাফ রিপোর্টার, নীলফামারী
বাঁ থেকে-বাবা আশিকুল হক মোলস্না, মেয়ে আয়েশা আক্তার ও জারিন
নীলফামারীতে নিজ বাড়িতে মা-সহ দুই মেয়ের লাশ পাওয়া গেছে। বাড়ির উঠান থেকে গলাকাটা অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে বাবাকে। শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে সদর উপজেলার চড়াইখোলা ইউনিয়নের দাড়োয়ানী বন্দর বাজার গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার ওই ব্যক্তির নাম আশিকুল হক মোলস্না (৪৫)। তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। মারা যাওয়া তিনজন হলেন-আশিকুলের স্ত্রী তহুরা বেগম (৩৫), মেয়ে আয়েশা আক্তার (৮) ও জারিন (৫)। এদিকে, ঘটনাটিকে রহস্যজনক বলছে পুলিশ। আত্মীয়স্বজন ও প্রতিবেশীদের কেউই ঘটনা সম্পর্কে সুস্পষ্ট কোনো ধারণা দিতে পারছেন না। আশিকুল হক তার স্ত্রী ও দুই মেয়েকে হত্যা করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন, নাকি অন্য কেউ তাদের হত্যা করেছে, তা নিয়ে চলছে জল্পনা। নিহত তিনজনের শরীরে জখমের চিহ্ন না থাকায় তাদের শ্বাসরোধে নাকি অন্য কোনোভাবে হত্যা করা হয়েছে, সেটিও নিশ্চিত নয় পুলিশ। আবার একই বিছানায় লাশ তিনটি পাশাপাশি রাখা নিয়ে পুরো হত্যাপ্রক্রিয়া নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানান, শুক্রবার সকাল ৯টায় গলাকাটা অবস্থায় বাড়ির বাইরে এসে ঢলে পড়েন আশিকুল হক। বাড়ির ভেতরের শয়নকক্ষে তহুরা বেগম, আয়েশা আক্তার ও জারিনকে মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন তারা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। ওই তিনজনকে শ্বাস রোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করছে পুলিশ। তবে হত্যাকান্ডের কারণ সম্পর্কে এখনো কিছু জানাতে পারেনি পুলিশ। আশিকুর রহমান মোলস্নার ছোটভাই জাকির মোলস্না জানান, সকালে রক্তাক্ত অবস্থায় হাঁটতে দেখে স্থানীয়রা আশিকুরকে উদ্ধার করে নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করান। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। পরে রংপুরে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। তিনি আরও জানান, আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলেন আশিকুর রহমান মোলস্না। এ কারণে এ ঘটনা ঘটাতে পারেন। নীলফামারী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভীরুল ইসলাম জানান, পুলিশ, সিআইডি ও পিবিআই কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। আলামত সংগ্রহ করছেন। নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। \হ