বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী পদে পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ আর মার্কোস আইআর, গাম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট অ্যাডামা ব্যারো এবং আইটিইউর মহাসচিব ডোরেন বোগদান-মার্টিন। প্রধানমন্ত্রীকে পাঠানো ভিন্ন ভিন্ন চিঠিতে দুই প্রেসিডেন্ট ও একজন মহাসচিব এ অভিনন্দন জানান।
ফিলিপাইন :ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট মার্কোস লিখেছেন, 'ফিলিপাইন সরকারের পক্ষ থেকে আমি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী পদে আপনি পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় আপনাকে আমার আন্তরিক অভিনন্দন জানাচ্ছি।'
তিনি আরও বলেন, 'ফিলিপাইন বাংলাদেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ অংশীদারত্বের জন্য নতুনভাবে প্রতিশ্রম্নতিবদ্ধ। কারণ আমরা দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার এবং উভয় জনগণের স্বার্থে সহযোগিতার নতুন ক্ষেত্রগুলো খুঁজে বের করার জন্য আমাদের ইচ্ছাকে পুনর্ব্যক্ত করছি।' প্রেসিডেন্ট মার্কোস বলেন, 'আমি আপনার সাফল্য কামনা করি কারণ আপনি আপনার দেশকে আরও অব্যাহত উন্নয়ন ও অগ্রগতির দিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য জনগণের রায় পেয়েছেন।'
গাম্বিয়া :গাম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট অ্যাডামা ব্যারো শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়ে চিঠিতে লিখেছেন, 'গাম্বিয়ার সরকার ও জনগণ এবং আমার নিজের পক্ষ থেকে সাম্প্রতিক নির্বাচনে জয়ী হওয়ায় আপনাকে আমাদের উষ্ণ অভিনন্দন জানাতে পেরে আমি অত্যন্ত আনন্দিত।'
তিনি বলেন, 'আমি আমাদের দুই দেশের পারস্পরিক স্বার্থের অনেক ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য গাম্বিয়া সরকারের প্রতিশ্রম্নতি নবায়ন করার সুযোগ নিতে চাই।'
প্রেসিডেন্ট অ্যাডামা বলেন, 'যদিও আমি আপনাকে পুনরায় নিশ্চিত করতে চাই, গাম্বিয়া সরকার বাংলাদেশের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী বন্ধুত্বকে সম্মান ও মূল্য দেয়।'
আইটিইউ : ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নের (আইটিইউ) মহাসচিব ডোরেন বোগদান-মার্টিন চিঠিতে বলেন, 'বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনা পুনর্র্নির্বাচিত হওয়ায় তাকে আন্তরিক অভিনন্দন।'
তিনি আরও বলেন, 'আমি গুরুত্বপূর্ণ পদে আপনার সাফল্যের জন্য আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই এবং আগামী বছরগুলোতে বাংলাদেশের জনগণের সমৃদ্ধি, ঐক্য, প্রবৃদ্ধি এবং প্রতিটি সাফল্য কামনা করছি।'
ডোরেন বোগদান-মার্টিন উলেস্নখ করে বলেন, 'আইটিইউ বছরের পর বছর ধরে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) এবং জাতীয় সম্প্রচার কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে সর্বজনীন সংযোগ এবং একটি টেকসই ডিজিটাল দেশে রূপান্তর করার জন্য বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতা করেছে।'
তিনি বলেন, 'আমি আইসিটির মাধ্যমে টেকসই উন্নয়নের অগ্রগতিতে আপনার দেশের অব্যাহত প্রতিশ্রম্নতি এবং পদক্ষেপকে সাধুবাদ জানাই এবং আমি ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে আমাদের অব্যাহত সহযোগিতার প্রত্যাশা করছি।'
মহাসচিব আরও বলেন, 'জেনেভাতে আমার অফিস এবং ব্যাংককে অবস্থিত এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের জন্য আইটিইউ আঞ্চলিক অফিসের মাধ্যমে আমি আপনাকে বাংলাদেশ ও আইটিইউর মধ্যে চমৎকার সম্পর্ক বজায় রাখতে পূর্ণ সমর্থনের নিশ্চয়তা দিতে পারি।'
বাংলাদেশকে টেলিকমিউনিকেশন এবং আইটি ক্ষেত্রে যে কোনো উপায়ে সহায়তা করার জন্য বরাবরের মতো প্রস্তুত এবং ভবিষ্যতেও অব্যাহত সফল সহযোগিতার জন্য অপেক্ষায় আছি', বলেন তিনি।