জয়পুরহাটে স্কুলছাত্র হত্যায় ১১ জনের মৃতু্যদন্ড
২২ বছর পর রায়
প্রকাশ | ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
জয়পুরহাট প্রতিনিধি
জয়পুরহাটে দীর্ঘ ২২ বছর পর চাঞ্চল্যকর স্কুলছাত্র মোয়াজ্জেম হত্যা মামলায় ১১ আসামির মৃতু্যদন্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়। বুধবার দুপুরে জয়পুরহাট অতিরিক্ত দায়রা জজ-২ আদালতের বিচারক আব্বাস উদ্দীন এই রায় দেন।
দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন- ওয়ার্ল্ড হিউমিনিটি কমিশন বাংলাদেশের অ্যাম্বাসেডর শহরের দেওয়ানপাড়া মহলস্নার মৃত ইউনুছ আলী দেওয়ানের ছেলে বেদারুল ইসলাম বেদীন, শান্তিনগর মহলস্নার মৃত শাজাহান মৃধার ছেলে সরোয়ার হোসেন সুমন, আরাফাতনগর মহলস্নার মোসলেম উদ্দিনের ছেলে মশিউর রহমান এরশাদ, দক্ষিণ দেওয়ানপাড়া মহলস্নার মোহাম্মদ আলীর ছেলে মনোয়ার হোসেন মনছুর, তেঘরবিশা গ্রামের মৃত কাবেজ উদ্দিনের ছেলে নজরুল ইসলাম, দেওয়ানপাড়া মহলস্নার আজিজ মাস্টারের ছেলে রানা, দেবীপুর কাজিপাড়া মহলস্নার মৃত মকবুল হেসেনের ছেলে শাহী, দক্ষিণ দেওয়ানপাড়া মহলস্নার ওয়ারেছ আলীর ছেলে টুটুল, দেবীপুর মন্ডলপাড়া মহলস্নার রফিকের ছেলে সুজন, দেবীপুর কাজিপাড়া মহলস্নার নুর হোসেন নমুর ছেলে রহিম ও নওগাঁ জেলার ধামুইরহাট উপজেলার ধুরইল গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে ডাবলু।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০০২ সালের ২৮ জুন বিকাল ৫টায় জয়পুরহাট শহরের প্রামাণিকপাড়ার ফজলুর রহমানের
ছেলে পাঁচুরচক মাধ্যমিক উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র মোয়াজ্জেম হোসেন-(১৬) বাড়ি থেকে বের হয়ে যান। সেদিন আসামিরা মোয়াজ্জেমকে চিত্রা সিনেমা হল এলাকা থেকে তুলে নিয়ে যায়। এরপর ভিটি পশ্চিম হাজিপাড়া এলাকায় একটি কবরস্থানের পাশে মোয়াজ্জেমকে আসামিরা ধারাল অস্ত্র ও লাঠি দিয়ে আঘাত করে গুরুতর আহত করে। পরে জামালগঞ্জ রোডের একটি আম গাছের নিচে অচেতন অবস্থায় ফেলে রেখে চলে যায়।
ঘটনার দিন রাতে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে রাত সাড়ে ১১টার দিকে মোয়াজ্জেম মারা যায়। এ ঘটনায় নিহতের বাবা ফজলুর রহমান বাদী হয়ে পরের দিন সদর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলার পর তদন্তকারী কর্মকর্তা মাহবুব আলম ২০০৩ সালের ২৯ অক্টোবর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে বিজ্ঞ আদালত বুধবার এই রায় দেন।
রায়ের সময় আসামিদের মধ্যে পাঁচজন উপস্থিত ছিলেন। অন্য ছয়জন পলাতক।