তোষাখানা মামলায় সস্ত্রীক ইমরানের ১৪ বছর কারাদন্ড
প্রকাশ | ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তার স্ত্রী বুশরা বিবিকে তোষাখানা মামলায় ১৪ বছর করে কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে। রাষ্ট্রীয় গোপন নথি ফাঁসের মামলায় ১০ বছরের কারাদন্ড পাওয়ার এক দিন পর বুধবার ইসলামাবাদের দুর্নীতিবিরোধী আদালত ইমরানকে এই সাজা দেন। এ নিয়ে তৃতীয়বারের মতো কারাবাসের সাজা পেলেন ইমরান। এর আগে গত বছরের ৫ আগস্ট পৃথক আরেকটি তোষাখানা মামলায় তিন বছরের কারাদন্ড হয়েছিল তার। এই সাজার কারণে আগে থেকেই কারাগারে আছেন তিনি। পরপর দুই দিন আদালত কর্তৃক বড় ধরনের কারাদন্ড ইমরান ও তার দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) জন্য বিশাল ধাক্কা। পিটিআই জানিয়েছে, আদালতের দেওয়া রায়ে ইমরান ও তার স্ত্রীকে কোনো সরকারি পদ গ্রহণে ১০ বছরের জন্য অযোগ্যও ঘোষণা করা হয়েছে। রায় ঘোষণার কিছুক্ষণের মধ্যেই বুশার বিবিকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম ডন জানিয়েছে, ডিসেম্বরে ইমরান ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুর্নীতিবিরোধী আদালতের কাছে নতুন আরেকটি অভিযোগ দায়ের করে পাকিস্তানের দুর্নীতিবিরোধী বু্যরো (এনএবি)। এতে বলা হয়, তারা সৌদি যুবরাজের কাছ থেকে পাওয়া একটি গহনার সেট কম দাম দেখিয়ে তার বিনিময় সেটি নিজেদের কাছে রেখে দিয়েছিলেন। রায়ে আদালত ইমরান ও বুশার বিবিকে ৭৮ কোটি ৭০ লাখ রুপি জরিমানাও করেছে। পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেট তারকা থেকে রাজনীতিকে পরিণত হওয়া ইমরানকে রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত করা হয়েছিল, কিন্তু তার স্ত্রী উপস্থিত ছিলেন না। ৮ ফেব্রম্নয়ারি পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এর মাত্র আট দিন আগে এই রায় দেওয়া হলো। এই নির্বাচনে ইমরানের দল পিটিআই রাষ্ট্রীয় দমনপীড়নের মধ্যে কোনো প্রতীক ছাড়াই অংশ নিচ্ছে। এক বিবৃতিতে ইমরান খানের মিডিয়া টিম বলেছে, 'আমাদের বিচারব্যবস্থার ইতিহাসে আরেকটি দুঃখজনক দিন। বিচারব্যবস্থাকে ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে। কোনো পাল্টাপাল্টি জিজ্ঞাসাবাদের অনুমোদন দেওয়া হয়নি, কোনো চূড়ান্ত যুক্তিতর্কের মাধ্যমেও মীমাংসা করা হয়নি; পূর্ব নির্ধারিত নাটকের মতো সিদ্ধান্ত এসেছে।' রয়টার্স জানিয়েছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও তার স্ত্রী 'অবৈধ কোনো কিছুই করেননি' বলে দাবি করেছে তারা। এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে বলেও জানিয়েছে মিডিয়া টিম।