সাঁওতালদের জমিতে হাত দেওয়া যাবে না : সুলতানা কামাল
প্রকাশ | ৩০ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
গাইবান্ধা প্রতিনিধি
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে বাগদাফার্মের জমিতে ইপিজেড নির্মাণ বন্ধ করার দাবি জানিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা সুলতানা কামাল বলেছেন, নিরীহ সাঁওতালদের জমিতে হাত দেওয়া যাবে না।
তিনি সোমবার দুপুরে বাগদাফার্মের কাটামোড় এলাকায় সাঁওতালদের এক বিশাল সমাবেশে এ কথা বলেন।
সুলতানা কামাল বলেন, রাষ্ট্রের দায়িত্ব জাতি-বর্ণ নির্বিশেষে সবার মানবাধিকার রক্ষা করা। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য সমতলের 'আদিবাসীদের' মানবাধিকার রক্ষায় রাষ্ট্র পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে। এ মানবাধিকার কর্মী নিহত তিন সাঁওতাল- শ্যামল হেমরম, মঙ্গল মার্ডি ও রমেশ টুডুর হত্যার ন্যায় বিচার দাবি করেন। সাহেবগঞ্জ-বাগদাফার্ম ভূমি উদ্ধার সংগ্রাম কমিটি, জাতীয় আদিবাসী পরিষদ, এএলআরডি, আদিবাসী-বাঙালি সংহতি পরিষদ, জনউদ্যোগ, সামাজিক সংগ্রাম পরিষদ এই সমাবেশের আয়োজন করে।
সাহেবগঞ্জ-বাগদাফার্ম ভূমি উদ্ধার সংগ্রাম কমিটির সভাপতি ডা. ফিলিমন বাসকের সভাপতিত্বে সাঁওতাল সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের উপদেষ্টা কাজল দেবনাথ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস, আদিবাসী-বাঙালি সংহতি পরিষদের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম বাবু, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী রফিক আহম্মেদ সিরাজী, নাগরিক সংগঠন জনউদ্যোগের সদস্য সচিব প্রবীর চক্রবর্তী, জাতীয় আদিবাসী পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বিচিত্রা কিরকি, আদিবাসী-বাঙালি সংহতি পরিষদের সদর উপজেলা শাখার আহ্বায়ক গোলাম রব্বানী মুসা, গাইবান্ধা সামাজিক সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর কবীর তনু, আদিবাসী নেতা প্রিসিলা মুরমু, গৌড়চন্দ্র পাহাড়ী প্রমুখ।
সুলতানা কামাল আরও বলেন, ক্ষমতা পেতে এবং ক্ষমতায় টিকে থাকতে সরকার মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বললেও তারা সেই চেতনার বাইরে গিয়ে সাঁওতাল হত্যাকারীদের সাথে আপসের নীতি অনুসরণ করছে। এই সাঁওতালরা দেশের স্বাধীনতা রক্ষায় বাঙালিদের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল।
এর আগে মাদারপুর ও জয়পুর সাঁওতাল পলস্নী থেকে তীর-ধনুক, বাদ্যযন্ত্র, ব্যানার ও বিভিন্ন দাবি-দাওয়া সম্বলিত ফেস্টুন নিয়ে একটি মিছিল গোবিন্দগঞ্জ-আঞ্চলিক মহাসড়ক প্রদক্ষিণ করে। সমাবেশের শুরুতে নিহতদের প্রতি সম্মান জানিয়ে কিছুক্ষণ নীরবতা পালন করা হয়। এরপর সাঁওতালদের প্রতিবাদী সংগীত ও নাচ পরিবেশিত হয়।