শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

তুমব্রম্ন ও টেকনাফে গোলাগুলির শব্দ জনমনে আতঙ্ক

অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সতর্কতা
যাযাদি ডেস্ক
  ২৮ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
তুমব্রম্ন ও টেকনাফে গোলাগুলির শব্দ জনমনে আতঙ্ক

বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত বান্দরবানের তুমব্রম্ন ও টেকনাফের বিভিন্ন এলাকায় মিয়ানমার অংশে থেমে থেমে ভারী গোলাগুলির শব্দ পাওয়া গেছে। তবে সীমান্ত দিয়ে যাতে নতুন করে অনুপ্রবেশ ঘটতে না পারে সে জন্য সতর্ক অবস্থানে রয়েছে বিজিবি।

শুক্রবার বিকাল থেকে শনিবার ভোর পর্যন্ত বান্দরবানের ঘুমধুম ও টেকনাফ সীমান্তবর্তী শাহপরীর দ্বীপেও ভারী গুলির শব্দে স্থানীয়দের মধ্যে আবারও ভয়ভীতি দেখা দিয়েছে।

নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য শফিকুল ইসলাম বলেন, 'দীর্ঘদিন পর তুমব্রম্ন সীমান্তে আবারও মিয়ানমারে ভারী গোলাগুলির শব্দ পাওয়া যাচ্ছে। যার কারণে এপারের সীমান্তে বসবাসকারীরা ভয়ভীতির মধ্যে রয়েছেন। গুলি ছোড়ার শব্দ শোনার পর জনসাধারণের মনে আতঙ্ক ছড়িয়ে

পড়েছে। তবে সীমান্তের খুব কাছাকাছি বসবাসকারী লোকজনকে আতঙ্কিত না হতে অনুরোধ করা হচ্ছে।'

সীমান্তে বসবাসকারী মানুষদের ভাষ্য, 'শুক্রবার বিকাল থেকে শনিবার ভোর পর্যন্ত তুমব্রম্ন সীমান্তে থেমে থেমে ভারী গুলিবর্ষণের বিকট শব্দ শুনতে পেয়েছেন তারা। এ ছাড়া তুমব্রম্ন সীমান্তের ঘুমধুমের বাজার পাড়ায়, বাইশ ফাঁড়িসহ তুমব্রম্ন রাইট এবং টেকনাফের হোয়াইক্যং ও শাহপরীর দ্বীপে নাফ নদীর ওপারে মিয়ানমারের ভেতরে ভারী গুলির শব্দ পাওয়া যাচ্ছে। এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন সীমান্তে বসবাসকারী মানুষ।'

এ বিষয়ে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপের ইউপি সদস্য আব্দুস সালাম বলেন, 'সীমান্তের ওপারে ব্যাপক গোলাগুলির শব্দ পাওয়া যাচ্ছে। বিশেষ করে সকাল-সন্ধ্যায় গুলির শব্দ পাওয়া যায়।'

জানতে চাইলে হোয়াইক্যং ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান নুর আহমেদ আনোয়ারী বলেন, 'মিয়ানমার সীমান্তে মর্টারশেলের মতো বিকট গোলাগুলির আওয়াজ দেশের সীমান্তে বসবাসকারীদের মাধ্যমে অবহিত হয়েছি। বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে রেখেছি। তবে সীমান্ত দিয়ে কোনো লোকজন অনুপ্রবেশ করেছে কিনা জানা নেই।'

এ বিষয়ে টেকনাফ ২ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মহিউদ্দীন আহমেদ বলেন, 'সীমান্তের ওপারে যুদ্ধ চলছে। ফলে আমরা (বিজিবি) সীমান্তে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছি, যাতে নতুন করে কোনো অনুপ্রবেশ না ঘটে।'

এদিকে গত বুধবার রাখাইনের একটি শহর নিজেদের দখলে নিয়ে নেয় আরাকান আর্মি। এরপর আশপাশের গ্রামে তীব্র গোলাগুলি শুরু হয় বলে সংবাদমাধ্যম ইরাবতী সূত্রে জানা গেছে।

ইরাবতী আরও বলছে, জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনারের (ইউএনএইচসিআর) অ্যাম্বুলেন্সে করে আহত ৪১ জন রোহিঙ্গাকে মংডু হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক। চিকিৎসা করার মতো অর্থও তাদের কাছে নেই। এরই মধ্যে হাসপাতালে একজনের মৃতু্য হয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে