টানা শৈত্যপ্রবাহ ও ঘন কুয়াশার কারণে দেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চলের বোরো বীজতলাসহ আলু, ভুট্টা, সরিষা ও বিভিন্ন সবজি নিয়ে বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা। ঘন কুয়াশা ও তীব্র ঠান্ডায় বোরো ধানের বীজতলা ঝলসে যাচ্ছে। কৃষি বিভাগের পরামর্শ অনুযায়ী, বীজতলায় ছত্রাকনাশক ছিটিয়ে, চারাগাছের শিশির ঝরিয়ে এবং পলিথিন দিয়ে বীজতলা ঢেকে রেখেও কোনো প্রতিকার পাচ্ছেন না তারা। এতে সময়মতো আবাদ নিয়ে দুশ্চিন্তা বাড়ছে। পাশাপাশি তীব্র ঠান্ডা ও কুয়াশায় আলু ক্ষেতে বাড়ছে নাবিধসা বা লেইটবস্নাইট রোগ। এতে লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী আলুর উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
এদিকে এক দিনের ব্যবধানে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা উত্তরাঞ্চলে কিছুটা বেড়েছে। তবে দেশের অন্যান্য অঞ্চলে কমে মৃদু শৈত্যপ্রবাহের আওতা বেড়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, শনিবার দুই বিভাগ (১৬ জেলা) ও ছয় জেলাসহ মোট ২২ জেলার ওপর দিয়ে বইছিল মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। আজ রোববার থেকে রাতের তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করতে পারে। একই সঙ্গে চলতি সপ্তাহের শেষের দিকে বৃষ্টি হতে পারে। তবে সারাদেশে ঘন কুয়াশা পরিস্থিতির ক্রমেই উন্নতি হচ্ছে বলে জানিয়ে সংস্থাটি।
উত্তরাঞ্চলের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কিছুটা বাড়লেও শীতের তীব্রতা রয়েছে। সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে চলা তীব্র শৈত্যপ্রবাহ রূপ নিয়েছে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহে। শুক্রবার সকালে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৫.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল এখানে। শনিবার সেখানে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বেড়ে হয়েছে ৭.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা প্রায় ২ ডিগ্রি কমে ১৩ ডিগ্রিতে নেমেছে। এজন্য শুক্রবার রাত থেকে
শনিবার বেলা ১০টা পর্যন্ত ঢাকায় শীতের তীব্রতা অনুভূত হয়। শুক্রবার তাপমাত্রা ছিল ১৫.৪ ডিগ্রি।
শনিবার ১০ ডিগ্রির নিচে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে দেশের ১৫টি অঞ্চলে। এর মধ্যে নওগাঁর বদলগাছী ও রাজশাহীতে ৭.৫; দিনাজপুরে ৮.২; চুয়াডাঙ্গায় ৮.৩; কুড়িগ্রামের রাজারহাট ও পাবনার ঈশ্বরদীতে ৮.৫; কিশোরগঞ্জের নিকলীতে ৯; রংপুর এবং নীলফামারীর ডিমলা ও সৈয়দপুরে ৯.২; যশোর, সিরাজগঞ্জের তাড়াশে ও বগুড়ায় ৯.৪, কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে ৯.৮ এবং ৯.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস গোপালগঞ্জে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও আশপাশের এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে যার বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।
অন্যদিকে দুই সপ্তাহের অধিক সময় ধরে চলা শৈত্যপ্রবাহ এবং ঘন কুয়াশার কারণে শ্রমজীবী মানুষের ভোগান্তির শেষ নেই। ইতোমধ্যে শীতজনিত রোগব্যাধিতে আক্রান্ত হয়েছেন দেশের দুই হাজারেরও বেশি মানুষ। এখনো হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন শীতপ্রবণ অঞ্চলের হাজারো মানুষ। শৈত্যপ্রবাহ বয়ে চলা অঞ্চলগুলোর দরিদ্র মানুষ খড়কুটোয় আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। সরকারি-বেসরকারিভাবে অসহায়-দরিদ্রদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
শনিবার আবহাওয়াবিদ মুহাম্মদ আবুল কালাম মলিস্নক আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানান, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের নদী-অববাহিকার কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং দেশের অন্যত্র কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা পড়তে পারে। ঘন কুয়াশার কারণে অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহণ চলাচল ব্যাহত হতে পারে।
তিনি আরও জানান, কিশোরগঞ্জ, গোপালগঞ্জ, মৌলভীবাজার, যশোর, কুষ্টিয়া ও চুয়াডাঙ্গা জেলাসহ রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। এ সময়ে সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
এছাড়া রোববার সারাদেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। সোমবার সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। পরবর্তী পাঁচ দিনে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা রয়েছে বলেও জানান তিনি।
পঞ্চগড়ে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ
পঞ্চগড় প্রতিনিধি জানান, জেলায় এক দিনের ব্যবধানে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ মাঝারি শৈত্যপ্রবাহে রূপ নিয়েছে। টানা ছয় দিন ধরে চলছে মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ। শনিবার সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন ৭.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিস। শুক্রবার চলতি শীত মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৫.৮ ডিগ্রি। জেলায় গত সোমবার থেকে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭ থেকে ১০ এর মধ্যে ওঠানামা করছে।
আবহাওয়া অফিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চলতি মাসের শুরু থেকে এ জেলায় কয়েক দফা মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যায়। প্রতিদিন ভোর থেকে শুরু হয় ঘন কুয়াশা। রাতভর বৃষ্টির মতো শিশির ঝরে। বেলা বাড়ার সঙ্গে কুয়াশার ঘনত্ব কমে আসে। বিকালের দিকে আবারও ঘন কুয়াশায় ঢেকে যায় গোটা এলাকা।
এদিকে সারাদিন হালকা কুয়াশার সঙ্গে উত্তরের হিমশীতল বাতাসে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। প্রতিদিনের মতো শনিবারও সকাল ১০টা পর্যন্ত সড়ক-মহাসড়কে হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে। মাঘের হাড়কাঁপানো শীতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন ছিন্নমূল ও খেটে খাওয়া মানুষ।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ বলেন, বৃহস্পতিবারের তীব্র শৈত্যপ্রবাহ মাঝারি শৈত্যপ্রবাহে রূপ নিয়েছে। শনিবার সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন ৭.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। শুক্রবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৫.৮ ডিগ্রি। আর দিনের তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২১.২ ডিগ্রি।
চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা ৮.৩ ডিগ্রি
এদিকে তীব্র শীতে কাঁপছে চুয়াডাঙ্গা। শনিবার জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের সিনিয়র পর্যবেক্ষক রকিবুল হাসান বলেন, শনিবার সকাল ৯টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতার পরিমাণ ৯৪ শতাংশ।
শনিবার বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সূর্যের দেখা মিললেও হিমেল বাতাস প্রবাহিত হওয়ায় ঠান্ডার প্রকোপ কমেনি। তীব্র শীত ও ঠান্ডা বাতাস মিলিয়ে ব্যাহত হচ্ছে চুয়াডাঙ্গার স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন এ এলাকার খেটে খাওয়া মানুষ। এলাকার বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে ও চায়ের দোকানে শীত নিবারণের চেষ্টায় খড়কুটো জ্বালিয়ে উত্তাপ নিতে দেখা গেছে নিম্ন আয়ের মানুষদের। তীব্র শীতে প্রয়োজনীয় কাজ ছাড়া কেউ ঘরের বাইরে বের হচ্ছেন না। শীত থেকে বাঁচতে সরকারি বিভিন্ন সাহায্য-সহযোগিতা চেয়েছেন এসব সাধারণ মানুষ।
চুয়াডাঙ্গা শহরের রিকশাচালক লিয়াকত আলী বলেন, 'প্যাসেঞ্জার পাওয়া যাচ্ছে না। হালকা বাতাসে পুরো শরীর কাঁপছে। এ রকম আরও কয়েকদিন হলে সকালে কাজে বের হওয়া যাবে না।'
মজিদ নামে এক দিনমজুর বলেন, 'অতিরিক্ত শীতের কারণে কাজে যেতে পারিনি। এভাবে ঠান্ডা পড়লে কাজে যাওয়া সম্ভব হবে না। না খেয়ে দিন যাবে।'
সাগর নামে একজন হোটেল কর্মচারী বলেন, 'প্রতিদিন সকালে নাশতার জন্য হোটেলে প্রচুর চাপ থাকে। এজন্য ফজরের আজানের পর থেকেই কাজ করতে হয়। ভোরে পানিতে হাত দিলে মনে হয় অবশ হয়ে যাচ্ছে। আঙুলগুলো নাড়ানো যাচ্ছে না। তারপরও পেটের দায়ে কাজ করছি।'
ক্ষতির মুখে বীজতলা
তীব্র ঠান্ডা ও ঘন কুয়াশার কারণে নীলফামারী জেলার বোরো বীজতলায় নাবিধসা রোগ দেখা দিয়েছে। বীজতলা নিয়ে বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা। তারা বলছেন, ঘন কুয়াশায় বীজতলা ঝলসে যাচ্ছে। কীটনাশক ছিটিয়ে, শিশির ঝরিয়ে দিয়েও কোনো প্রতিকার পাচ্ছেন না। এতে সময়মতো আবাদ নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, জেলায় এ বছর আলু ২১ হাজার ৭১২ হেক্টর, বোরো বীজতলা ৪ হাজার ৩৯৮ হেক্টর, ভুট্টা ২৭ হাজার ৯৭৩ হেক্টর ও সরিষা ৬ হাজার ৭৭৭ হেক্টর জমিতে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
দেখা গেছে, জেলার ছয় উপজেলায় ফসলের মাঠজুড়ে আলু, ভুট্টা, সরিষা ও বোরো ধানের বীজতলাসহ সবজি রক্ষার কাজে ব্যস্ত কৃষক। অধিকাংশ বীজতলা ঠান্ডাজনিত রোগে ঝলসে গেছে। হলুদ ও ঝলসানো রোগ থেকে বাঁচাতে বীজতলায় পলিথিন ব্যবহার করেও লাভ হচ্ছে না। কিন্তু যেভাবে আলুর জমিতে নাবিধসা রোগের শঙ্কায় রয়েছেন কৃষক আর এই সুযোগে অসাধু ব্যবসায়ীরা ছত্রাকনাশক প্যাকেটের দাম বাড়িয়ে অতিরিক্ত টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে বলেও অভিযোগ করছেন স্থানীয় চাষিরা।
সদর উপজেলার রামনগর ইউনিয়নের বাহালীপাড়া গ্রামের কৃষক সাহাবুল ইসলাম বলেন, 'দুই ভাই একত্রে ১ শতাংশ জমির ওপর স্যালো মেশিনের পানি দিয়ে বীজতলা করেছি। সুন্দর বীজও (৪ থেকে ৫ ইঞ্চি) হয়েছে। দুই সপ্তাহ ধরে ঘন কুয়াশা পড়ে সিংহভাগ বীজতলা ঝলসে গেছে। এবার চড়া দামে চারা কিনে ধানের আবাদ করা ছাড়া কোনো উপায় থাকবে না। এতে লাভের চেয়ে ক্ষতির পরিমাণ অনেক বেশি।
একই ইউনিয়নের বিশমুড়ি গ্রামের কৃষক আশরাফ আলী বলেন, 'এবার দেড় বিঘা জমিতে বোরো আবাদের জন্য বীজতলা তৈরি করেছিলাম। আশা ছিল লাভের জন্য কিছু বিক্রি করব। কিন্তু ২১ দিন ধরে কুয়াশা আর শীতের তীব্রতায় বীজতলা হলুদ হয়ে গেছে। কীটনাশক ও পলিথিন দিয়ে কিছুটা রক্ষা করেছি।'
ইটাখোলা ইউনিয়নের ইটাখোলা গ্রামের সবজি চাষি আনোয়ার, বীজতলার মালিক জাহানুর ও আলু চাষি রশিদুল ইসলাম বলেন, 'অর্ধেক জমির আলুগাছ পচন রোগে মরে গেছে। প্রতি বিঘা জমিতে যে পরিমাণ সার ও বীজ খরচ হয়েছে সেই পরিমাণ আলু ঘরে তোলা যাবে না। গাছ শুকিয়ে মরে গেছে।'
এবার কুয়াশা ও শীতের কারণে সবজি ও বীজতলায় কীটনাশক ছিটাতে অনেক খরচ হয়েছে। এ অবস্থায় লাভের চেয়ে ক্ষতির পরিমাণ অনেক বেশি হবে বলে জানান তারা।
সৈয়দপুর বিমানবন্দর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. লোকমান হাকিম জানান, 'গত ২২ জানুয়ারি জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮.৮ ডিগ্রি এবং সর্বোচ্চ ২১.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৫ শতাংশ ও গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৫-৬ কিলোমিটার। ২৩ জানুয়ারি সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৮.৬ ডিগ্রি। বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৫ শতাংশ। আলু, বোরোর বীজতলা, ভুট্টা ও সরিষা ক্ষেতের জন্য এ ধরনের তাপমাত্রা সহনশীল নয়।'
সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আতিক আহমেদ বলেন, 'চলতি মৌসুমে সদরে ১ হাজার ২৭৪ হেক্টর জমিতে বীজতলা করা হয়েছে। ঘন কুয়াশা ও তীব্র ঠান্ডায় কৃষকদের বোরো আবাদে বিলম্ব হচ্ছে। বীজতলা এখনো নষ্ট হয়নি। তবে তাপমাত্রা ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে থাকলে চারা খাদ্য গ্রহণ করতে পারে না। সে ক্ষেত্রে পাতা হলুদ হয়ে যায়। বীজতলা নষ্টের হাত থেকে বাঁচাতে কৃষকদের বাড়তি যত্ন ও ব্যবস্থা নেওয়াসহ মাঠপর্যায়ে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা নানা ধরনের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন। আশা করি আবহাওয়ার পরিবর্তন হলে এ সমস্যা কেটে যাবে।'
বীজতলায় পলিথিনের ব্যবহার গুরুত্বপূর্ণ জানিয়ে তিনি বলেন, 'প্রতিদিন সকালে জমা শিশির ঝরিয়ে দিতে হবে। বীজতলার চারা হলুদ হয়ে গেলে প্রতি শতক জমিতে ২৮০ গ্রাম ইউরিয়া সার দিতে হবে। এরপরও চারা সবুজ না হলে একই নিয়মে ৪০০ গ্রাম জিপসাম সার দিতে হবে। এতে চারার ক্ষতির আশঙ্কা কেটে যাবে। আমরা সব সময় রোগ দমনে কৃষকদের বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি।'