১২ জেলায় বইছে শৈত্যপ্রবাহ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৫.৮ ডিগ্রি
প্রকাশ | ২৭ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
যাযাদি ডেস্ক
মাঘের মাঝামাঝি এসে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা আরও কমেছে। শুক্রবার ভোর ৬টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রার পারদ নেমেছে ৫.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে যা চলতি মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। এদিন রাজধানীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৫.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে গত মঙ্গলবার চুয়াডাঙ্গা ও সিরাজগঞ্জে তাপমাত্রা ছিল ৬.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। একই সঙ্গে এদিন দেশের ১২ জেলায় বইছিল শৈত্যপ্রবাহ। এ পরিস্থিতি আরও দুই দিন অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এছাড়া রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমে শৈত্যপ্রবাহের বিস্তার হতে পারে। একই সঙ্গে তিন দিন বৃষ্টির আভাসও দিয়েছে সংস্থাটি।
আবহাওয়াবিদরা জানান, মাঘের শুরু থেকেই দেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চলজুড়ে বয়ে চলছে মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ। শুক্রবার এই শীতের প্রকোপ আরও বেড়েছে। 'মাঘের শীতে বাঘ কাঁপে' প্রবাদটিই যেন এ বছর সত্য করে তুলেছে প্রকৃতি। তবে এদিন রাজধানীর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কিছুটা বেড়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্র বলছে, আজ শনিবার ও রোববার দেশের তাপমাত্রা তেমন একটা বাড়বে না। তবে এর পর থেকে বাড়তে পারে। পাশাপাশি রাজধানীর তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
এদিকে দেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চল টানা শৈত্যপ্রবাহের কবলে পড়ায় এসব অঞ্চলের জনজীবন দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে। নিম্ন আয়ের
মানুষ ও শ্রমজীবীরা পড়ছেন চরম দুর্ভোগে। তাদের কোনো কাজ নেই। ফলে পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর দিন কাটাতে বাধ্য হচ্ছেন তারা। সেই সঙ্গে শীতবস্ত্রের অভাবে পড়েছেন দরিদ্ররা। সরকারিভাবে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। পাশাপাশি ক্ষতির মুখে পড়েছে বোরো চাষাবাদ। বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে আলুসহ অন্যান্য সবজি ক্ষেত। এছাড়া শীতজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে বাড়ছে ভর্তি রোগীর সংখ্যা।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক বলেন, 'পঞ্চগড়সহ পুরো রংপুর বিভাগের ওপর দিয়ে বইছে শৈত্যপ্রবাহ। রংপুর বিভাগ ছাড়া রাজশাহী, পাবনা, চুয়াডাঙ্গা ও নওগাঁ জেলায়ও শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। আগামী ৩১ জানুয়ারি থেকে ২ ফেব্রম্নয়ারি কোথাও কোথাও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হতে পারে।'
তবে দেশের উত্তরের জনপদে শীতের প্রকোপ বাড়লেও রাজধানীতে তা খানিকটা কমেছে। শুক্রবার রাজধানীর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৫.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বৃহস্পতিবার যা ছিল ১৪.২ ডিগ্রি। গত বুধবার দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হয়েছে।
আবহাওয়াবিদরা জানান, তাপমাত্রা ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে সেখানে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ থাকে বলে গণ্য করা হয়। তাপমাত্রা ৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নামলে তা হয় মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ। তাপমাত্রা ৪ থেকে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে তাকে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বলা হয়।
রংপুর আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, শুক্রবার সকাল ৯টায় রংপুর বিভাগে পঞ্চগড় জেলার তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৫.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস; যা এ শীত মৌসুমে সর্বনিম্ন। অন্যদিকে, রংপুর জেলায় ৮.২ ডিগ্রি, নীলফামারীর সৈয়দপুরে ৯ ডিগ্রি, কুড়িগ্রামের রাজারহাটে ৬.৮ ডিগ্রি, দিনাজপুরে ৭.২ ডিগ্রি, নীলফামারীর ডিমলায় ৮.৬ ডিগ্রি, গাইবান্ধায় ৮.৫ ডিগ্রি, লালমনিরহাটে ৭.১ ডিগ্রি এবং ঠাকুরগাঁওয়ে ৭.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া নওগাঁর বদলগাছিতে রেকর্ড করা হয়েছে ৭.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
হাড়কাঁপানো শীত রংপুরে
রংপুর প্রতিনিধি জানান, শৈত্যপ্রবাহ ও ঘন কুয়াশায় কাহিল হয়ে পড়েছে জনজীবন। বিশেষ করে খেটে খাওয়া মানুষরা সবচেয়ে বেশি বিড়ম্বনায় পড়েছেন। তারা বৈরী আবহাওয়ায় কাজে বেরুতে পারছেন না। শুক্রবার জেলা আবহাওয়া অফিস ভোরের দিকে ৮.৫ ডিগ্রি এবং সকাল ৯টার দিকে ৮.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে।
আবহাওয়াবিদ মোস্তাফিজুর রহমান জানান, রংপুরের তাপমাত্রা আরও কমতে পারে। সেই সঙ্গে ঘন কুয়াশাও অব্যাহত থাকতে পারে।
শুক্রবার গভীর রাত থেকে ঘন কুয়াশায় পাশের মানুষকেও দেখা যাচ্ছিল না। যানবাহনগুলো সকালের দিকে হেড লাইট জ্বালালেও তাও অস্পষ্ট ছিল। এ অবস্থা চলে সকাল ১১টা পর্যন্ত। পরে কুয়াশা হালকা হয়ে এলে বেলা ১২টার দিকে সূর্যের দেখা মেলে। এতে করে শীতের তীব্রতা কিছুটা কমে।
শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত থাকায় সবচেয়ে বিপাকে পড়েছেন সহায়-সম্বলহীন ছিন্নমূল মানুষ। শীতবস্ত্রের অভাবে খড়কুটো জ্বালিয়ে না ঘুমিয়ে রাত কাটাতে বাধ্য হচ্ছেন তারা। তবে বিভিন্ন সংগঠন ও প্রভাবশালী মানুষ এদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট দিলশাদ ইসলাম মুকুলের উদ্যোগে শুক্রবার দুস্থ ও শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র (কম্বল) বিতরণ করা হয়েছে।
অন্যদিকে, খুব বেশি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের না হওয়ার জন্য পরামর্শ দিয়েছে রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ সূত্র জানায়, অব্যাহত শৈত্যপ্রবাহ ও ঘন কুয়াশার কারণে ধানের বীজতলা, আলুক্ষেতে লেট বস্নাইট রোগ ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, বৈরী আবহাওয়ায় কোল্ড ডায়রিয়া, নিউমোনিয়াসহ নানান রোগবালাই ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। আক্রান্তদের বেশিরভাগ শিশু ও বৃদ্ধ।
রাজারহাটে ওষুধ সংকট
রাজারহাট (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি জানান, মাঘের শীতে বাঘ কাঁপে। তেমনি কুড়িগ্রামের রাজারহাটের মানুষ হিমেল হাওয়ায় থর থর করে কাঁপছে। শুক্রবার সকাল ৯টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৬.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস; যা বৃহস্পতিবার ছিল ৯.৪ ডিগ্রি।
রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছে উপজেলা। রাত থেকে দুপুর পর্যন্ত ঘন কুয়াশার কারণে মানুষ বিশেষ কাজ ছাড়া ঘর থেকে বাইরে বের হচ্ছেন না। ২২ জানুয়ারির পর তাপমাত্রা একটু বাড়লেও ২৫ জানুয়ারি তাপমাত্রা ফের নেমে এসেছে। ফলে কনকনে ঠান্ডা ও শীতের দাপটে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে।
তিনি জানান, ঘন কুয়াশার সঙ্গে হিমেল হাওয়া ঠান্ডার অনুভূতি বাড়িয়ে দিয়েছে। তীব্র ঠান্ডা থেকে বাঁচতে মানুষজন খড়কুটো জ্বালিয়ে উষ্ণতা নিচ্ছেন। তবুও ঠান্ডা নিবারণ করতে পারছেন না শিশু ও বয়স্করা। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সে এবং ইউনিয়ন কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে বেড়েছে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট, সর্দি-কাশিসহ শীতজনিত রোগীর সংখ্যা। সর্দি-জ্বরের ওষুধ সংকট দেখা দিয়েছে বলে ক্লিনিকের কর্তব্যরত সেবাদানকারী সিএইচসিপিরা জানিয়েছেন।
উপজেলার চাকিরপশার ইউনিয়নের কৃষি শ্রমিক সেকেন্দার আলীসহ বেশ কয়েকজন বলেন, '২২ দিন থাকি ঠান্ডায় কাজ কাম করতে পারছি না। আমরা যারা দিন করে দিন খাই, আমারগুলার সমস্যা হইছে।'
সুবল চন্দ্র সরকার আরও বলেন, 'জানুয়ারি মাসজুড়েই তাপমাত্রা এরকম থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এ মাসের ২৮ তারিখের পর তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তে পারে।'
সর্বনিম্ন তাপমাত্রা তেঁতুলিয়ায়
পঞ্চগড় প্রতিনিধি জানান, তিন দিন আগের রেকর্ড ভেঙে চলতি শীত মৌসুমে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা তেঁতুলিয়ায় ৫.৮ ডিগ্রি রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। তবে সূর্যের দেখা মেলায় তাপমাত্রা বাড়ার প্রবণতা থাকবে জানিয়ে আবহাওয়াবিদ নাজমুল হক বলেছেন, তাতে কিছু কিছু জায়গায় শৈত্যপ্রবাহ প্রশমিত হবে এবং কিছু কিছু জায়গায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বিরাজ করবে।
এদিকে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, দিনের তাপমাত্রা সামান্য আর রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে।
তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮ সালের ৮ জানুয়ারি ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৯.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সেদিন পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা নামে দেশের ইতিহাসে সর্বনিম্ন ২.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এর আগে ২০১১ সালের ১২ জানুয়ারি যশোরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমেছিল ৪.৫ ডিগ্রিতে। ২০১৩ সালের ৯ জানুয়ারি দিনাজপুরে ৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে আসার রেকর্ড রয়েছে। স্বাধীনতার আগে ১৯৬৮ সালে শ্রীমঙ্গলে ২.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার একটি রেকর্ড রয়েছে।
এবার শীত বেড়েছে জানুয়ারিতে এসে। গত ১১ জানুয়ারি দেশের উত্তরের কিছু কিছু জেলায় শুরু হয় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ, সঙ্গে ঘন কুয়াশা আর উত্তরের হিম হাওয়ার দাপট। জানুয়ারির ২০ তারিখের পর শৈত্যপ্রবাহের বিস্তার বাড়তে থাকে। তীব্র ঠান্ডায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে প্রায় পুরো দেশ।
কুয়াশার কারণে সড়ক, নৌ ও আকাশপথে যান চলাচল বিঘ্নিত হওয়ার খবরও মিলছে প্রায় প্রতিদিনই। হাসপাতালগুলোয় ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্তদের ভিড়ও বাড়ছে। ছিন্নমূল ও খেটে খাওয়া মানুষ পড়েছে বিপাকে। তাপমাত্রার পারদ ১০ ডিগ্রির নিচে নেমে যাওয়ায় বিভিন্ন জেলায় প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হচ্ছে। আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত সারা দেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ক্লাসের সময় পিছিয়ে নেওয়া হয়েছে সকাল ১০টায়।
ফের শৈত্যপ্রবাহের কবলে চুয়াডাঙ্গা
দেশের সর্বনিম্ন ৬.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হওয়ার পর চুয়াডাঙ্গায় আবারও শুরু হয়েছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। তীব্র শীত আর ঘন কুয়াশায় জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। শীতে স্বাভাবিকভাবে কাজ করতে পারছেন না খেটে খাওয়া মানুষ। জেলায় তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে নেমে যাওয়ায় প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় বন্ধ রয়েছে। শুক্রবার সকাল ৬টায় ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয় জেলায়। বৃহস্পতিবার একই সময়ে যা ছিল ১০.৩ ডিগ্রি।
এদিকে জেলার স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলোতে বেড়েছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা। গত ১০ দিনে সদর হাসপাতালে শিশু, বৃদ্ধসহ প্রায় চার হাজার রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন।
ঘন কুয়াশার কারণে কৃষকদের বোরো ধানের বীজতলা ও আলুক্ষেত রক্ষায় বিশেষভাবে সতর্ক করা হচ্ছে। ধানের বীজতলা রক্ষায় সকালে চারার ওপর থেকে শিশির সরিয়ে দেওয়া, সম্ভব হলে চারা রাতের বেলা ঢেকে দেওয়া, বীজতলায় সেচ দিয়ে পরদিন সকালে পানি বের করে দেওয়া এবং বীজতলা লাল হলে জিপসাম ও ইউরিয়া সার দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক সুভাস চন্দ্র সাহা।
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার গাইটঘাট গ্রামের কাশের আলি বলেন, 'সকাল থেকে ফেরি করে বিভিন্ন প্রজাতির হাঁস-মুরগি বিক্রি করি। তীব্র শীতের কারণে বাইরে মানুষ কম বের হচ্ছেন। তাই বিক্রি কমে গেছে।'
কৃষকরা জানান, শীত থাকলেও ভোর থেকেই ক্ষেতে কাজ করতে হচ্ছে তাদের। তীব্র শীতে মাঠে কাজ করতে খুবই মুশকিল হয়ে পড়েছে। তবুও জীবিকার অন্বেষণে তাদের কাজ করতে হচ্ছে।'
জেলা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান বলেন, 'শুক্রবার সকাল ৯টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মৃদু শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়েছে। আজ শনিবার তাপমাত্রা আরও কমতে পারে।'