খুলনা নগরীতে দুর্বৃত্তদের ছোড়া গুলিতে এক যুবক নিহত হয়েছেন। এতে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন আরও এক যুবক। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নগরীর ময়লাপোঁতা এলাকার আহ্ছানউলস্নাহ কলেজের সামনে এ ঘটনা ঘটে। নিহত শেখ সাদেকুর রহমান রানা ওরফে বিহারি রানা (৩৫) নগরীর দেবেন বাবু রোডের বাসিন্দা শেখ মোহাম্মদ ইসলামের ছেলে। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী হাবিবা রানু বাদী হয়ে সোনাডাঙ্গা মডেল থানায় মামলা করেছেন। মামলায় ১০ জনের নাম উলেস্নখ করে আরও চার থেকে পাঁচজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, রানার নামে ঢাকার কেরানীগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা রয়েছে। এছাড়া তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ১৬টি মামলা রয়েছে।
আহত পলাশ (৩৪) নগরীর শের-ই-বাংলা
রোডের বাসিন্দা মহারাজের ছেলে। তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সোনাডাঙ্গা মডেল থানার পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) আমিরুল ইসলাম বলেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে রানা ও পলাশসহ তিনজন ওই স্থানে দাঁড়িয়ে চা পান করছিলেন। এ সময় রানাকে লক্ষ্য করে গুলি করে পালিয়ে যান দুর্বৃত্তরা। এতে গুলিবিদ্ধ হন রানা ও পলাশ। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে খুমেক হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক রানাকে মৃত ঘোষণা করেন। রানার পেটে, গলা ও বাম কানের নিচে গুলি লেগেছে।
খবর পেয়ে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার সরদার রকিবুল ইসলামসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
সোনাডাঙ্গা মডেল থানার ওসি মো. ওয়াহিদুজ্জামান যায়যায়দিনকে বলেন, ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করছি। নগরীর প্রবেশদ্বারগুলোতে তলস্নাশি করা হচ্ছে। আসামি গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
খুলনা পুলিশ কমিশনার মো. মোজাম্মেল হক বলেন, রানার বিরুদ্ধে হত্যা, মাদক ও চুরিসহ বিভিন্ন অপরাধে ১৬টি মামলা রয়েছে। কয়েক দিন আগে জেল থেকে ছাড়া পান তিনি।
তবে কী কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে সে বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারেননি এই পুলিশ কর্মকর্তা।