রোববার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
সারাহ কুকের সঙ্গে বৈঠকে ড. হাছান মাহমুদ

তারেক রহমানের শাস্তি কার্যকর করতে চায় সরকার

যাযাদি ডেস্ক
  ২৫ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে বুধবার সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক

দন্ড নিয়ে যুক্তরাজ্যে পলাতক থাকা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানকে ফেরানোর বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, 'তারেক রহমান শাস্তিপ্রাপ্ত আসামি। আমাদের সরকার যে কোনো শাস্তিপ্রাপ্ত আসামির শাস্তি কার্যকর করতে চায়। তারেক রহমানকেও উপযুক্ত সময়ে আমাদের সরকার শাস্তি কার্যকর করার জন্য যা যা করার সেটি করবে। বুধবার ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুকের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

এদিকে বৈঠকে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের পাঠানোর একটি চিঠি তিনি হাছান মাহমুদের হাতে তুলে দেন সারাহ কুক। এ প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'তিনি আমাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন, একসঙ্গে কাজ করার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছেন।'

সারাহ কুকের বক্তব্য প্রসঙ্গে এক প্রশ্নে তিনি বলেন, 'তারাতো ৮ তারিখে তাদের অভিমত ব্যক্ত করেছে। অবশ্যই মানবাধিকার বিশ্বব্যাপী একটি বিষয়। এটি যুক্তরাজ্যের একটি বিষয়, যুক্তরাষ্ট্রের একটি বিষয়, ইউরোপের একটি বিষয়, সেটি বাংলাদেশের একটি বিষয়, সেটি চীনের একটি বিষয়। সব দেশের একটি বিষয়। সব দেশই মানবাধিকার উন্নয়নের জন্য কাজ করছে, আমরা অবশ্যই যুক্তরাজ্যের সঙ্গে এ বিষয়ে কাজ করব।'

হাছান মাহমুদ বলেন, বড় উন্নয়ন সহযোগী এবং বিনিয়োগকারী দেশ হিসেবে যুক্তরাজ্যের সঙ্গে

সম্পর্ক 'গভীরতর' করার আলোচনা হয়েছে হাইকমিশনারের সঙ্গে।

বাংলাদেশের কর-জিডিপি অনুপাত বাড়ানোর ক্ষেত্রে ব্রিটিশ সরকারের সহযোগিতার বিষয়েও আলোচনা হওয়ার তুলে ধরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'আমাদের দেশে কর-জিডিপির অনুপাত সবচেয়ে কমগুলোর একটি। এমনকি আমাদের উপমহাদেশের প্রেক্ষিতেও আমরা নিচের দিকে, যেটি যুক্তরাজ্যে ৩০ শতাংশের বেশি। আমাদের দেশে কেউ কর দিতে চায় না। কর-জিডিপি অনুপাত ১০ শতাংশের কম। এটাকে কীভাবে আরও বৃদ্ধি করা যায়, এ নিয়ে আমরা আলাপ-আলোচনা করেছি। তারা আমাদের সহযোগিতা করতে আগ্রহী।'

যুক্তরাজ্যে বসবাসকারী বাংলাদেশিদের পরিবারের সদস্যদের যাওয়ার পথ সহজ করার বিষয়ে আলোচনা হওয়ার কথা জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'আমি যেটা বলেছি, আমার পক্ষ থেকে বিশেষ করে ফ্যামিলি রিইউনিয়নের ব্যাপারে অনেক বেগ পেতে হয়। দেখা গেছে, যুক্তরাজ্যে অনেকে গেছে, তাদের স্ত্রী, কন্যা, পুত্রদের নিয়ে যেতে চায়, সেক্ষেত্রে অনেক বেগ পেতে হয়। সেগুলো যেন সহজ হয়, সে নিয়ে আলোচনা করেছি। যুক্তরাজ্যে অনেকে অবৈধভাবে আছে, সেটি নিয়েও আলোচনা হয়েছে।'

এদিকে গত ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের পরদিন দেওয়া যুক্তরাজ্য সরকারের বিবৃতির প্রসঙ্গ ধরে ব্রিটিশ হাইকমিশনার বলেছেন, 'নির্বাচন, গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের বিষয়ে বিরোধিতা প্রকাশ করে ৮ জানুয়ারি একটি বিবৃতি দিয়েছে যুক্তরাজ্য সরকার। আমরা এসব বিষয়ে সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে গঠনমূলকভাবে সম্পৃক্ততা অব্যাহত রাখব।'

নতুন সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে এদিন নির্বাচনে নিজেদের ওই অবস্থান নিয়ে ভবিষ্যতে কাজ করার কথা বলেন ব্রিটিশ হাইকমিশনার। বৈঠকে 'গঠনমূলক' আলোচনা হওয়ার কথা তুলে ধরে সারাহ কুক বলেন, 'যুক্তরাজ্য-বাংলাদেশ সম্পর্ককে শক্তিশালী করতে, ব্যবসা ও বিনিয়োগ জোরদারে, নিরাপত্তা অংশীদারত্ব শক্তিশালী করতে একযোগে কাজ করা এবং জলবায়ু পরিবর্তন, অভিবাসন ও রোহিঙ্গাদের কল্যাণসহ বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় একসঙ্গে কাজ করার বিষয়ে আমরা আলোচনা করেছি।'

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে