রাজধানীতে বাড়ছে অভিনব ছিনতাই

প্রকাশ | ২৫ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০

গাফফার খান চৌধুরী
বাড়ছে কৌশলী ছিনতাই। দিন দিন অভিনব সব কায়দায় ছিনতাইয়ের ঘটছে। খোদ রাজধানী ঢাকায় প্রতি মাসে ছিনতাই হচ্ছে গড়ে ১৭টি। শীত মৌসুমে ছিনতাইকারীরা বেশি তৎপর থাকে। শীতের সুযোগ নিয়ে তারা অতিরিক্ত গরম কাপড় পরে চেহারা আড়াল করে ফেলে। এরপর ছিনতাই করে। এতে তখন সহজেই সিসি ক্যামেরায় তাদের চেহারা দেখা যায় না। তাদের শনাক্ত করা কঠিন হয়ে পড়ে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এক সময় ছিনতাইকারীরা দেশি-বিদেশি অস্ত্র নিয়ে দলবদ্ধ হয়ে তুলনামূলক নিরিবিলি জায়গায় অবস্থান করত। এরপর সুযোগ মতো কাউকে পেলে বা টার্গেটকৃত ব্যক্তির কাছ থেকে অস্ত্রের মুখে টাকা-পয়সাসহ অন্যান্য মালামাল ছিনিয়ে নিত। যেটিকে সাধারণ ছিনতাই বলা হতো। ছিনতাই সম্পর্কে মানুষের সচেতনতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ছিনতাইকারীরাও তাদের কৌশলে পরিবর্তন এনেছে। এখন অভিনব কৌশলে ছিনতাই করছে তারা। ঢাকা মহানগর পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রাতে এটিএম বুথ থেকে টাকা উত্তোলনকারীদের অনেকেই ছিনতাইকারীর কবলে পড়েছেন। এসব ঘটনায় ঢাকার বিভিন্ন থানায় বেশ কিছু মামলাও হয়েছে। পরে এমন ছিনতাই চক্রের ১১ জন পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়। গ্রেপ্তারদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানিয়েছে, অভিনব কায়দায় ছিনতাইয়ের ঘটনাগুলো ঘটাতো তারা। ছিনতাইকারীরা প্রাইভেটকার নিয়ে আর দামি পোশাক পরিধান করে এটিএম বুথের সামনে অপেক্ষা করত। এতে কারও সন্দেহও হতো না। তারা এমনভাবে অপেক্ষা করত, যেন তাদের কেউ কাছেই কোনো কাজে গেছে বা এটিএম বুথ থেকে টাকা তুলবেন। এমন একটা ভাব। সূত্রটি বলছে, চক্রটি এটিএম বুথ থেকে টাকা উত্তোলনকারীদের টার্গেট করত। টার্গেটকৃত ব্যক্তির সার্বিক বিষয় পর্যালোচনা করত। ওই ব্যক্তির বেশভুষা দেখে অ্যাকাউন্টে যথেষ্ট পরিমাণ টাকা থাকতে পারে বলে অনুমান করে নিত। টাকা তুলে বের হওয়ার সময় তার কাছে কোনো একটি বাসার ঠিকানা বা কোনো কিছু সম্পর্কে জানতে ডাক দিত। ভদ্রতার খাতিয়ে ওই ব্যক্তি যখনই গাড়ির কাছে যেতেন, তখনই গাড়ির ভেতর থাকা চক্রের সদস্যরা তাকে টান মেরে গাড়িতে তুলে ফেলত। গাড়িতে তোলা মাত্রই উচ্চশব্দে গান ছেড়ে দিত। যাতে তার চিৎকার বাইর থেকে না শোনা যায়। সূত্রটি বলছে, পরে ওই ব্যক্তির সঙ্গে থাকা এটিএম কার্ড নিয়ে পিন নম্বর জেনে অ্যাকাউন্টে থাকা টাকা সব টাকা তুলে নিত। প্রতিটি এটিএম কার্ডের লিমিট থাকে। অর্থাৎ ২৪ ঘণ্টায় একটি এটিএম কার্ড থেকে কত টাকা তোলা যাবে, তা নির্ধারিত থাকে। নির্ধারিত পরিমাণ টাকা তোলার পরও টাকা থাকলে ওই ব্যক্তিকে আটকে রাখা হতো। এমন বেশ কয়েকজনকে তিন দিন পর্যন্ত আটকে রেখে তার অ্যাকাউন্টে থাকা সব টাকা তুলে নিয়েছে। এরপর তার পরিবারের কাছ থেকে মুক্তিপণ হিসেবে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে টাকাও আদায় করেছে। পরে অনেককে নির্জন জায়গায় ছেড়ে দিয়েছে। আবার অনেকেই হত্যাকান্ডের শিকারও হয়েছেন। এমনই চক্রের কবলে পড়ে নির্মম নির্যাতনে মারা যান ঢাকার বনানীতে অবস্থিত নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষক। পরে বিষয়টি ব্যাপক আলোচনা আসে। হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত চারজনকে গ্রেপ্তারও করেছিল পুলিশ। এমন অভিনব ছিনতাইয়ের ঘটনায় ১১ জন গ্রেপ্তারের পর প্রতিটি ব্যাংকের এটিএম বুথ ও মূল গেটের সামনে সতর্কতামূলক নোটিশ ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে পুলিশের তরফ থেকে। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান ডিআইজি মোহাম্মদ হারুন-অর-রশীদ যায়যায়দিনকে জানান, ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলনকারীদের টার্গেট করে ছিনতাই করত একাধিক চক্র। এই চক্রের নাম ছিল 'কুইক হাইজ্যাকার' বা দ্রম্নতগতির ছিনতাইকারী। তারা সাধারণত মোটর সাইকেল দিয়ে ছিনতাই করত। টাকার ব্যাগ ছিনিয়ে নেওয়ার সময় তারা গুলি করে কাউকে হত্যা করতেও দ্বিধা করত না। সম্প্রতি প্রতিটি ব্যাংকের ক্যাশ কাউন্টারে ও নিচে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের পর দ্রম্নতগতির ছিনতাইকারীদের তৎপরতা কমে গেছে। এ ছাড়া ছিনতাইকারীদের গ্রেপ্তারে ডিবির সব টিমকে ধারাবাহিকভাবে অভিযান চালানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার মো. ফারুক হোসেন যায়যায়দিনকে বলেন, ছিনতাইকারীরা অভিনব কৌশল অবলম্বন করে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটাচ্ছে। বিশেষ করে শীতের সময় ছিনতাইকারীরা বেশি তৎপর হয়ে ওঠে। কারণ, একদিকে ঘন কুয়াশা পড়ে। কুয়াশার কারণে সামান্য দূরেই কি ঘটছে, তা দেখা যায় না। এমন সুযোগটিকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করে ছিনতাইকারীরা। দ্বিতীয়ত শীতের কারণে অতিরিক্ত গরম পোশাক পরিধান করে ছিনতাইকারীরা নাক-মুখ ঢেকে ফেলে। এতে কারও সন্দেহ হওয়ার সুযোগ থাকে না। সবাই মনে করেন, শীতের কারণে অতিরিক্ত পোশাক পরিধান করেছেন। তিনি আরও বলেন, নাক-মুখ না দেখা যাওয়ার কারণে ছিনতাইয়ের ঘটনা সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়লেও ক্যামেরায়ও তাদের চেহারা ঠিকমত দেখা যায় না। এতে তাদের শনাক্ত করা কঠিন হয়ে পড়ে। এ ছাড়া এক এলাকার ছিনতাইকারী ঢাকার আরেক এলাকায় গিয়ে ছিনতাই করে। অনেকে গ্রাম থেকে ঢাকায় ছিনতাই করতে আসে। বড় ধরনের ছিনতাই করার পর তারা নির্জন গ্রামে বা বিদেশে চলে যায়। এ জন্য তাদের শনাক্ত করা কঠিন হয়ে পড়ে। ডিসি ফারুক হোসেন ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানের বরাত দিয়ে বলেন, ছিনতাইকারীদের গ্রেপ্তারে কড়া নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে ডিএমপির সব ইউনিটকে। প্রতিদিনই ঢাকায় ছিনতাইকারী ও মাদক কারবারিদের গ্রেপ্তারে ধারাবাহিক অভিযান চলমান আছে। গ্রেপ্তার হচ্ছে ছিনতাইকারীসহ নানা ধরনের অপরাধী। জামিনে বেরিয়ে আবারও নেমে পড়ছে একই পেশায়। ফলে ছিনতাইকারীদের নির্মূল করা কঠিন হয়ে পড়েছে। তিনি আরও জানান, গত বছর ঢাকায় ১৯৯টি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে গত বছরের ডিসেম্বরে ঢাকার রাস্তায় ২২টি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। পরিসংখ্যান পর্যালোচনায় দেখা গেছে, ঢাকায় প্রতি মাসে অন্তত ১৭টি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। চলতি মাসেও ছিনতাইয়ের হার প্রায় একই রকমের। তিনি জানান, সম্প্রতি ঢাকায় আচমকা নিরিবিলি রাস্তায় টার্গেটকৃত ব্যক্তিদের একের পর এক চড়-থাপ্পড় দিয়ে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে। ছিনতাইকারীরা এমনভাবে টার্গেটকৃত ব্যক্তিকে মারধর করছে যেন, তিনি বিরাট কোনো অন্যায় করে ফেলেছেন। একদিকে চড়-থাপ্পড় মারছে, আরেক দিকে তাদের সহযোগীরা ওই ব্যক্তির সঙ্গে থাকা টাকা-পয়সা হাতিয়ে নিচ্ছে। এরপর সবাই একসঙ্গে দ্রম্নত পালিয়ে যাচ্ছে। মাত্র ৪-৫ মিনিটের মধ্যেই ঘটছে এমন অভিনব ছিনতাইয়ের ঘটনা। সম্প্রতি এমন বেশ কয়েকজন ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তারও করেছে তেজগাঁও থানা পুলিশ। হাইওয়ে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শীতকে পুঁজি করে মহাসড়কেও পণ্যবাহী যানবাহন ছিনতাইকারী বা ডাকাতচক্র এবং মাদক ব্যবসায়ীরা সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা করছে। খালি ট্রাক বা লরি বা পিকআপ দিয়ে পণ্যবোঝাই যানবাহনের সামনে বেরিকেড দেয়। এরপর পণ্যবোঝাই যানবাহনের চালক ও হেলপারকে মারধর করে বা হাত-পা বেঁধে বা হত্যা করে নির্জন জায়গায় ফেলে দিয়ে পণ্যবোঝাই গাড়ি নিয়ে পালিয়ে যায়। অনেক সময় পণ্য তাদের গাড়িতে তুলে নিয়ে যায়। মহাসড়কে ছিনতাই ও ডাকাতদের টার্গেট পণ্যবোঝাই যানবাহন। যেসব যানবাহন দিয়ে ডাকাতি বা ছিনতাই হয়, এর কোনোটিরই লাইসেন্স নেই। গাড়ির নম্বর পেস্নট ভুয়া। এসব যানবাহনের চালকদের কোনো পরিচয়পত্রও নেই। ছিতাইকারী গ্রম্নপগুলোর প্রধান টার্গেট ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক। গার্মেন্ট পণ্য ও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বোঝাই যানবাহনগুলোই ছিনতাইকারী ও ডাকাতদের টার্গেট। মহাসড়কে নিরাপত্তা জোরদার ও টহল বাড়ানোর পাশাপাশি অপরাধপ্রবণ স্পটগুলোতে সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে বলে যায়যায়দিনকে জানিয়েছেন হাইওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত উপ-মহাপরিদর্শক (অপারেশন্স অ্যান্ড ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট) শ্যামল কুমার মুখার্জী। র্ যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন যায়যায়দিনকে বলেন, ছিনতাইকারীদের গ্রেপ্তারে সাঁড়াশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। বিশেষ করে শীতের সময়র্ যাবের ছিনতাইবিরোধী অভিযান জোরদার করা হয়েছে। কারণ, ছিনতাইকারীরা শীতের সুযোগ নিয়ে থাকে। রাত ৮টার পরই শীতের জন্য রাস্তাঘাট ফাঁকা হয়ে যায়। রাত ৮টার পর থেকে ভোর পর্যন্ত সময়টিকেই ছিনতাইয়ের জন্য উপযুক্ত বলে মনে করে ছিনতাইকারীরা। এ জন্য এই সময় টহল ও চেকপোস্ট বাড়ানো হয়েছে। পুলিশ বু্যরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক বনজ কুমার মজুমদার যায়যায়দিনকে বলেন, যাত্রীবাহী বাস বা পণ্যবাহী যানবাহন ভাড়া করে সেই যানবাহন দিয়েই ছিনতাইয়ের একাধিক ঘটনা ঘটেছে। এটি একটি অভিনব কায়দার ছিনতাই। ডাকাত বা ছিনতাইকারীরা যাত্রীবাহী বাস ভাড়া করে। বাসের চালক থেকে শুরু করে হেলপার ও যাত্রী হিসেবে থাকা সবাই ছিনতাইকারী চক্রের সদস্য। তারা বিভিন্ন স্টেশনে বাস থামিয়ে যাত্রীদের তুলে। বাসের ভেতর বসে থাকাদের যাত্রী ভেবে ওঠেন অনেকেই। বাসটি নিরিবিলি জায়গায় যাওয়ার পরই যাত্রীদের সঙ্গে থাকা সব ছিনিয়ে নেয় ছিনতাইকারীরা। তিনি আরও জানান, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার কোনো লাইসেন্স না থাকায় ছিনতাইকারীদের প্রধান টার্গেটে পরিণত হয়েছে এই বাহনটি। অটোরিকশা ছিনতাই করার সূত্র ধরে প্রায়ই খুনের ঘটনা ঘটছে। কারণ, একটি অটোরিকশার দাম এক থেকে দেড় লাখ টাকা। সাধারণত দরিদ্র মানুষ এ ধরনের বাহন চালিয়ে সংসার খরচ চালান। স্বাভাবিক কারণেই গাড়িটি যখন ছিনতাইয়ের চেষ্টা করা হয়, চালক এতে বাধা দেন। আর তখনই খুনের ঘটনাটি ঘটে। এ ছাড়া পরিকল্পিতভাবেও বেড়ানোর কথা বলে ভাড়ায় নিয়ে চালককে মারধর বা হত্যা করে ইজিবাইক ছিনতাইয়ের অনেক উদাহরণ আছে। গাড়িগুলোর যেহেতু কোনো রেজিস্টেশন নম্বর নেই, তাই ছিনতাইকারী ও ছিনতাই হওয়া গাড়ি সম্পর্কে তথ্য জানা কঠিন হয়ে পড়ে। এসব গাড়ি বিভিন্ন চোরাই গ্যারেজে নিয়ে রং পরিবর্তন করে বিক্রি করে চক্রের সদস্যরা। বর্তমানে সারাদেশে ছিনতাইকারীদের সবচেয়ে বড় নেটওয়ার্ক গড়ে উঠেছে ইজিবাইক ছিনতাইকে কেন্দ্র করে। তিনি আরও বলেন, গত কয়েক বছর ধরেই ইজিবাইক ছিনতাইকে কেন্দ্র করে হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটছে। ছিনতাই ও হত্যাকান্ডে জড়িত অনেকেই গ্রেপ্তার হয়েছে। গ্রেপ্তারদের জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে এসেছে এমন তথ্য। বিষয়টি ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। এ বিষয়ে পুলিশ মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুলস্নাহ আল মামুনের সঙ্গে আলাপ হয়েছে। সে মোতাবেক যানবাহন ভাড়া দেওয়া ও নেওয়ার ক্ষেত্রে বেশ কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়। যার মধ্যে রয়েছে, জাতীয় পরিচয়পত্র রেখে যানবাহন ভাড়া দেওয়া। অপরিচিত কাউকে যানবাহন ভাড়া না দেওয়া। ভাড়া নেওয়া ব্যক্তির প্রয়োজনে ছবি তুলে রাখা। ভাড়া করা ব্যক্তির নামে নিবন্ধিত মোবাইল ফোন নম্বর সংগ্রহে রাখতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে যানবাহন ভাড়া প্রদানকারীদের। পুলিশ মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবব্দুলস্নাহ আল মামুন যায়যায়দিনকে বলেন, সব ধরনের অপরাধীদের গ্রেপ্তারে কড়া নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে ছিনতাই সম্পর্কে মানুষের মধ্যে চরম ভীতি রয়েছে। কারণ, ছিনতাইকারীরা ছিনতাই করতে যে কাউকে হত্যা করতেও দ্বিধা করে না। তাই ছিনতাইকারীদের গ্রেপ্তারে পুলিশের সব ইউনিটকে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে ছিনতাইকারীদের ছবি ও তালিকাও রাখতে বলা হয়েছে।