শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১

ইন্টারপোলের ওয়ারেন্টভুক্ত ২০ জনের অবস্থান শনাক্ত

তারেক রহমানের নামও অন্তর্ভুক্ত করা হতে পারে
গাফফার খান চৌধুরী
  ২১ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
ইন্টারপোলের ওয়ারেন্টভুক্ত ২০ জনের অবস্থান শনাক্ত

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানকে আবারও ইন্টারপোলের ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি করা হতে পারে। একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হতে পারে তার নাম। তারেক রহমানকে ইন্টারপোলের কোন ক্যাটাগরিতে রাখা হবে তা নিয়ে পর্যালোচনা করছে ইন্টারপোল কর্তৃপক্ষ। এছাড়া ইন্টারপোলের ওয়ারেন্টভুক্ত ৬৫ বাংলাদেশি আসামির মধ্যে ২০ জনের অবস্থান শনাক্ত হয়েছে। তাদের দেশে ফেরত আনতে বিভিন্ন দেশে থাকা বাংলাদেশ দূতাবাসসহ ওইসব দেশকে চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

রাষ্ট্রের একটি উচ্চ পর্যায়ের গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে জানা গেছে, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলায় প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিলস্নুর রহমানের স্ত্রী আইভি রহমানসহ ২৪ জন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীর মৃতু্য হয়। অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই মামলায় আদালত ৫২ আসামির মধ্যে ১৯ জনের মৃতু্যদন্ড ও ১৯ জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেন। বাকি ১৪ জনের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড দেন আদালত। আসামিদের মধ্যে ৩১ কারাবন্দি রয়েছেন। পলাতক রয়েছেন ১৮ জন। ইতোমধ্যেই ৩ জনের মৃতু্য হয়েছে।

পলাতক আসামিদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা ইন্টারপোল ওয়ারেন্ট জারি করেছিল। ওয়ারেন্টভুক্তদের মধ্যে ছিলেন তারেক রহমানও। তবে হালনাগাদ ১৭ জনের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেডনোটিশ জারি আছে। যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানের নাম ইন্টারপোলের রেডনোটিশ থেকে নামিয়ে ফেলা হয়। রাজনৈতিক বিবেচনায় তার নাম রেডনোটিশ থেকে

\হনামিয়ে ফেলা হয়। যা অদ্যাবধি বহাল আছে। পুলিশের খাতায় তিনি পলাতক আসামি। তবে তিনি যুক্তরাজ্যে অবস্থান করছেন।

সূত্রটি বলছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ক্ষমতা লাভ করে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতোমধ্যেই সন্ত্রাসী ও সন্ত্রাসের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করার ঘোষণা দিয়েছেন। তার ভাষ্য মতে, সন্ত্রাসীদের যদিও আইনের আওতায় আনা যায় তাহলে স্বাভাবিক কারণেই অপরাধ কমে যাবে। অপরাধ দমনের আগে, অপরাধীদের দমনের নতুন নির্দেশনা দেন তিনি।

সূত্রটি বলছে, প্রধানমন্ত্রীর এমন ঘোষণার পর অপরাধীদের আইনের আওতায় আনতে নতুন করে কাজ শুরু করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বিদেশে পলাতক থাকা মোস্টওয়ান্টেড আসামিদের দেশে ফিরিয়ে আনতে স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যৌথভাবে কাজ করছে। তারই ধারাবাহিকতায় বিদেশে পলাতক থাকা আসামিদের দেশে ফিরিয়ে আনতে বিভিন্ন দেশে থাকা বাংলাদেশ দূতাবাসসহ সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ শুরু করেছে স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ইতোমধ্যেই এ সংক্রান্ত চিঠি ইসু্য করা হয়েছে।

দায়িত্বশীল একটি সূত্রে জানা গেছে, সেই ধারাবাহিকতায় ইন্টারপোলের রেডনোটিশ থেকে তারেক রহমানের নাম বাদ দেওয়ার বিষয়টি আলোচনায় এসেছে। পলাতক ১৮ জনের মধ্যে ১৭ জনের নাম ইন্টারপোলের রেডনোটিশে থাকলেও তারেক রহমানের নাম না থাকা নিয়ে নানা প্রশ্নের জন্ম হয়েছে।

তারেক রহমানের নাম তালিকা থেকে নামিয়ে ফেলার বিষয়ে ইন্টারপোলের তরফ থেকে বলা হয়েছিল তারেক রহমানের আবেদনের প্রেক্ষিতে এবং রাজনৈতিক বিবেচনায় তার নাম তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি বিভিন্ন মহলে এবং দেশে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। সেই সমালোচনা অব্যাহত আছে। প্রশ্ন উঠেছে গুরুতর অপরাধ করার পরেও কারো নাম যদি রাজনৈতিক বিবেচনায় বাদ দেওয়া হয় তাহলে ভবিষ্যতে রাজনীতিবিদদের মধ্যে মারাত্মক ধরনের অপরাধ করার প্রবণতা বাড়তে পারে। এমন ঘটনার পর তারেক রহমানের নাম নতুন করে ইন্টারপোলের রেডনোটিশভুক্ত করার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা ও পর্যালোচনা চলছে। রাজনৈতিক বিবেচনায় নয়, অপরাধের ধরন ও মাত্রা অনুযায়ী এবং অপরাধী হিসেবে তারেক রহমানের নাম নতুন করে ইন্টারপোলের রেডনোটিশভুক্ত করার বিষয়টি নিয়ে ভাবছে ইন্টারপোল কর্তৃপক্ষ।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ও ইন্টারপোলের রেডওয়ারেন্টভুক্ত আরেক আসামি বিএনপি নেতা হারিছ চৌধুরী ঢাকায় মারা গেছেন বলে গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। যদিও পুলিশের তরফ থেকে বলা হয়েছে, বিষয়টি তাদের অজানা। ঘটনার সত্যতা যাচাইবাছাই করে দেখা হচ্ছে।

গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, ইন্টারপোলের রেডওয়ারেন্টভুক্ত বাংলাদেশি পলাতক ৬৫ আসামির মধ্যে ২০ জনের অবস্থান সম্পর্কে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। তাদের গতিবিধিসহ সার্বিক বিষয় সম্পর্কে নজর রাখতে সংশ্লিষ্ট দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থা এবং ইন্টারপোলকে অনুরোধ করে চিঠি দেওয়া হয়েছে। ইন্টারপোলকে অনুরোধ করা হয়েছে যাতে আসামিদের ধরিয়ে দিয়ে তাদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর পদক্ষেপ নেয়। শনাক্ত হওয়া আসামিদের মধ্যে রয়েছে ২০২২ সালের ২০ নভেম্বর ঢাকার সিএমএম আদালত থেকে পুলিশের চোখে স্প্রে নিক্ষেপ করে ছিনিয়ে নেওয়া প্রকাশক ফয়সাল আরেফিন দীপন হত্যা মামলায় মৃতু্যদন্ডপ্রাপ্ত দুই জঙ্গি (জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের সদস্য) মইনুল হাসান শামীম ওরফে সামির ওরফে ইমরান ও আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব ওরফে সাজিদ ওরফে শাহাব। তারা পার্শ্ববর্তী একটি দেশে নাম ঠিকানা পরিবর্তন করে ছদ্মবেশে অবস্থান করছে। প্রায় এক হাজার কোটি পাচারের পর ভারতে গ্রেপ্তার হওয়ার পর দেশটির আদালতে বিচারের মুখোমুখি হওয়া পি কে হালদার। পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) পরিদর্শক মামুন ইমরান খান হত্যা মামলার অন্যতম পলাতক আসামি দুবাইয়ে স্বর্ণ ব্যবসায় জড়িত আরাভ খান ওরফে রবিউল ইসলাম ওরফে আপন ওরফে হৃদয়। তার অবস্থান দুবাইতে।

দায়িত্বশীল একজন ঊর্ধ্বতন গোয়েন্দা কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, আরাভ খান ধরিয়ে দিতে দুবাই পুলিশের ইন্টারপোল শাখাকে অনুরোধ করা হয়েছে। আইনি জটিলতার কারণে তাকে গ্রেপ্তারের পর বাংলাদেশে ফেরত আনা কঠিন। কারণ আরাভ ভারতীয় নাগরিক হিসেবে দুবাইয়ে রয়েছে। গ্রেপ্তারের পর আইন মোতাবেক প্রথমে তাকে ভারতে পাঠাতে হবে। ভারতীয় আইনে তার বিচার প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পরেই তাকে বাংলাদেশে ফেরত আনা যাবে।

সূত্রটি বলছে, একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি কুমিলস্না থেকে নির্বাচিত জাতীয় পার্টির সাবেক সংসদ সদস্য এবং পরবর্তীতে বিএনপির রাজনীতিতে যোগ দেওয়া শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ সৌদি আরবে, হানিফ এন্টারপ্রাইজের মালিক মোহাম্মদ হানিফ কোলকাতায়, ব্রিগেডিয়রি জেনারেল (অব.) এ টি এম আমিন আমেরিকায়, লে. কর্নেল (অব.) সাইফুল ইসলাম জোয়ারদ্দার কানাডায়, বিএনপির সাবেক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম পিন্টুর সহোদর বাবু ওরফে রাতুল বাবু ভারতে, আরেক সহোদর মাওলানা তাজ উদ্দিন দক্ষিণ আফ্রিকায়, গ্রেনেড হামলায় সরাসরি গ্রেনেড ছুড়ে মারা দুই সহোদর হুজি জঙ্গি আনিসুল মুরসালিন ও মুহিবুল মুত্তাকিন ভারতের তিহার জেলে বন্দি।

সূত্রটি বলছে, এছাড়া পলাতক একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার আসামি মাওলানা আবু বকর, ইকবাল, খলিলুর রহমান, জাহাঙ্গীর আলম ওরফে বদর, মাওলানা লিটন ওরফে জোবায়ের ওরফে দেলোয়ার, ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপ-কমিশনার (পূর্ব) ওবায়দুর রহমান এবং ডিএমপির উপকমিশনার (দক্ষিণ) খান সাঈদ হাসান পাকিস্তানে রয়েছেন বলে জানা গেছে। তবে তারা পাকিস্তানের ঠিক কোন জায়গায় অবস্থান করছেন তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। সুনির্দিষ্ট করে তাদের অবস্থান জানতে কাজ করছেন গোয়েন্দারা।

গোয়েন্দা সূত্রে আরও জানা গেছে, বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনিদের মধ্যে এসএইচএমবি নূর চৌধুরী (৬৯) কানাডায় ও আবদুর রশিদ খন্দকার (৭৪) পাকিস্তানে রয়েছেন বলে জানা গেছে। দুই বছর আগে সড়ক দুর্ঘটনায় তার একটি পা ভেঙে যায়। তিনি সেখানে বসে বাংলাদেশের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বই লিখছেন। এছাড়া বঙ্গবন্ধুর খুনিদের মধ্যে মোসলেম উদ্দিন খান (৮৩) ও শরীফুল হক ডালিম (৭৭) লিবিয়াসহ বিভিন্ন দেশে যাতায়াত করছেন। তবে কোনো দেশেই তারা স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন না।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে আরও জানা গেছে, এছাড়াও ইন্টারপোলের লাল তালিকাভুক্ত বাংলাদেশি অপরাধীদের মধ্যে রয়েছেন গিয়াস উদ্দিন (৫০), মিজান মিয়া (৪২), অশোক কুমার দাশ (৩৯), চন্দন কুমার রায় (৪০), লালু সিরাজ মোস্তফা (২৪), 'রাজাকার' জাহিদ হোসেন খোকন (৭৮), মো. হোসেন ওরফে সৈয়দ হোসেন (৬৮), আজিজুর রহমান (৪৪), সৈয়দ মো. হাসান আলী (৭৩), অজয় বিশ্বাস (৩৮), তরিকুল ইসলাম (৩৪), আবদুল জব্বার (৮৭), হানিফ (৩৫), মোহাম্মদ আলাউদ্দিন (৪৭), মোহাম্মদ সবুজ ফকির (৪৫), শফিক-উল (৫২), মোহাম্মদ মনির ভূঁইয়া (৫৬), আমান উলস্নাহ শফিক (৩৮), সাজ্জাদ হোসেন খান (৪১), জাহিদুল ইসলাম (৬৪), রফিকুল ইসলাম (৫১), মকবুল হোসেন (৫৩), নাঈম খান ইকরাম (৫১), মো. ইউসুফ (৭৩), আবদুল আলিম শরিফ (৫০), নুরুল দীপু (৪৩), আহমেদ মজনু (৪৭) ও মোহাম্মদ ফজলুল আমিন জাভেদ (৩২), নাজমুল আনসার (৬৮), রউফ উদ্দিন (৪৪), মোহাম্মদ আতাউর রহমান চৌধুরী (৫৮), সালাহ উদ্দিন মিন্টু (৪১), মডেল তিন্নি হত্যা মামলার আসামি গোলাম ফারুক অভি (৫৪), আমিনুর রহমান (৪৩), হারুন শেখ (৫০), শীর্ষ সন্ত্রাসী শাহাদত হোসেন (৪৫), খোরশেদ আলম (৫৫), প্রশান্ত সরদার (৪৬), মোনতাজ বসাক (৫৬), সুলতান সাজিদ (৪৮), নাসির উদ্দিন রতন (৪৫), আতাউর রহমান (৪৮), তৌফিক আলম (৪৫), শামীম আহমেদ (৫৩), রফিকুল ইসলাম (৪৯), জাফর আহমেদ (৫০), আমিনুর রসুল (৬২), শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন (৫১), শীর্ষ সন্ত্রাসী মোলস্না মাসুদ (৫০), শীর্ষ সন্ত্রাসী প্রকাশ কুমার বিশ্বাস (৪৭), নবী হোসেন (৫০), তারভীরুল ইসলাম জয় (৫৩), আবদুল জব্বার (৪৮), জিসান আহমেদ (৫০), কামরুল আলম মুন্না (৪৯) ও কামরুজ্জামান (৫৪)। তবে এদের অবস্থান কোন দেশে তা জানা যায়নি। জানার চেষ্টা করছে পুলিশ সদর দপ্তরের ইন্টারপোল শাখা।

পুলিশ সদর দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, যেসব দেশের সঙ্গে বন্দি বিনিময় চুক্তি নেই, সেইসব দেশের সঙ্গে সমঝোতার ভিত্তিতেও ওইসব দেশে থাকা আসামিদের ফেরত আনার প্রক্রিয়া অব্যাহত আছে। তারই ধারাবাহিকতায় ওমান থেকে মতিঝিলের আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম (টিপু) হত্যা মামলার আসামি সুমন শিকদার ওরফে মুসাকে ফেরত আনা হয়। আইনি জটিলতার কারণে ইন্টারপোলের রেড ওয়ারেন্টভুক্ত বাংলাদেশের শীর্ষ সন্ত্রাসী জিসান আহমেদ ২০১৯ সালে দুবাই পুলিশের হাতে আটক হওয়ার পরেও তাকে আজও দেশে ফেরত সম্ভব হয়নি।

সরকারের একটি উচ্চ পর্যায়ের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, এছাড়াও ২০১৫ সালের ২৭ অক্টোবর দিবাগত রাত ১টার দিকে ঢাকার ওয়ারী থানাধীন স্বামীবাগের ৭৩ নম্বর নির্মাণাধীন ১০ তলা বাড়ির দ্বিতীয় তলায় ঘরোয়া হোটেলের কর্মচারী রিয়াদ হোসেনের (১৬) মুখে পিস্তল ঠেকিয়ে গুলি চালিয়ে আলোচিত হত্যা মামলার আসামি মতিঝিলের ঘরোয়া হোটেলের মালিক আরিফুল ইসলাম সোহেল (৪০) সম্পর্কেও তথ্য জানাতে অনুরোধ করা হয়েছে ইন্টারপোলকে। তিনি পার্শ্ববর্তী একটি দেশে অবস্থান করছেন বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।

পুলিশ মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুলস্নাহ আল মামুন যায়যায়দিনকে বলেন, ইন্টারপোলের ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি ছাড়াও অন্যান্য পলাতক আসামিও দেশে ফেরত আনতে পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে যোগাযোগসহ আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম অব্যাহত আছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে