জিএম কাদেরকে বিরোধীদলীয় নেতা ঘোষণা জাপার
প্রকাশ | ১৯ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
যাযাদি রিপোর্ট
দ্বাদশ সংসদে প্রধান বিরোধী দল কারা হবে সেই প্রশ্নের মধ্যেই ১১টি আসন পাওয়া জাতীয় পার্টি তাদের চেয়ারম্যান জিএম কাদেরকে বিরোধীদলীয় নেতা মনোনীত করেছে।
এছাড়া দলটির কো-চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদকে বিরোধী দলের উপনেতা এবং মহাসচিব মজিবুল চুন্নুকে বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ মনোনীত করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সংসদ ভবনে বিরোধীদলীয় উপনেতার দপ্তরে জাতীয় পার্টির সংসদীয় দলের সভায় এ সিদ্ধান্ত হয় বলে মহাসচিব চুন্নু জানান।
জিএম কাদেরের
\হসভাপতিত্বে এ সভায় জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য হাফিজউদ্দিন আহম্মেদকে বিরোধীদলীয় হুইপ মনোনয়ন দেওয়া হয়। আর এসব মনোনয়নের সিদ্ধান্ত লিখিতভাবে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীকে জানানোর সিদ্ধান্ত হয়।
নিয়ম অনুযায়ী, জাতীয় পার্টির সংসদীয় দলের এই মনোনয়নের চিঠি পাওয়ার পর স্পিকার তাতে সম্মতি দিলে তবেই বিষয়টি কার্যকর হবে।
এবারের নির্বাচনে ২২৩টি আসনে জয় পেয়েছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নৌকার প্রার্থীরা। এই নিরঙ্কুশ জয়ে টানা চতুর্থবারের মতো সরকার গঠন করছে আওয়ামী লীগ।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আসন পেয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। ৬২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে, তাদের ৫৯ জনই আওয়ামী লীগের নেতা।
গত দুই সংসদে প্রধান বিরোধী দলের আসনে বসা জাতীয় পার্টি শেষ পর্যন্ত ১১ আসনে জয় পেয়েছে। আর আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের শরিকদের মধ্যে জাসদ একটি, ওয়ার্কার্স পার্টি একটি এবং এক সময় বিএনপির জোটে থাকা কল্যাণ পার্টি একটি করে আসন পেয়েছে।
সাধারণ ধারণা হলো, আসন সংখ্যায় সংসদের দ্বিতীয় বৃহত্তম দল যাকে নেতা নির্বাচিত করবে, তিনিই বিরোধীদলীয় নেতার আসন পাবেন। তার দলই হবে সংসদের প্রধান বিরোধী দল।
গত দুটি নির্বাচনের মতো এবারও দলীয়ভাবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আসন পেয়েছে জাতীয় পার্টি। সে কারণে তারা দাবি করছে, দ্বাদশ সংসদে প্রধান বিরোধী দল তারাই। কিন্তু তাদের চেয়ে প্রায় ছয় গুণ আসনে দলনিরপেক্ষ প্রার্থীরা জিতে আসায় এবার আলোচনা ঘুরে গেছে। প্রশ্ন উঠেছে, স্বতন্ত্ররা জোট করে প্রধান বিরোধী দল হতে পারবে কি না। আইন ও সংবিধান বিশেষজ্ঞরাও বলে আসছেন, আইনত এটা 'সম্ভব'।
সংসদের কার্যপ্রণালী বিধিতে 'বিরোধীদলীয় নেতার' সংজ্ঞায় বলা হয়েছে- 'স্পিকারের বিবেচনামতে যে সংসদ সদস্য সংসদে সরকারি দলের বিরোধিতাকারী সর্বোচ্চসংখ্যক সদস্য লইয়া গঠিত ক্ষেত্রমত দল বা অধিসঙ্ঘের নেতা।'
সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা মন্ত্রী এবং উপনেতা প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদা পান। বিরোধীদলীয় নেতা এবং উপনেতা (পারিতোষিক ও বিশেষাধিকার) অধ্যাদেশে তাদের সুযোগ-সুবিধা নির্ধারণ করা রয়েছে। সংসদ ভবনে তাদের কার্যালয়ও রয়েছে।
এখন জাতীয় পার্টির সংসদীয় দল সভা করে বিরোধীদলীয় নেতা, উপনেতা, বিরোধীদলীয় প্রধান হুইপ ও হুইপ মনোনীত করলেই তা অনুমোদন পাবে কিনা তা এখনো নিশ্চিত না।
এ ব্যাপারে সাবেক আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদ বলছেন, আইন-বিধি অনুযায়ী এ বিষয়ে স্পিকারের অনুমোদন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
এরকম পরিস্থিতি আগে হয়নি মন্তব্য করে তিনি বলেন, 'দলের সংসদীয় দলের সিদ্ধান্ত হতে পারে। কিন্তু তা স্পিকারের কাছে গৃহীত হয় কিনা তা দেখতে হবে। স্পিকারের বিবেচনামতে কী সিদ্ধান্ত আসে এখন অপেক্ষা করতে হবে।'