ভোগান্তি চরমে

শীত-কুয়াশার দাপট কমেনি

বান্দরবানে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯.৪ ডিগ্রি ১৬ জেলার তাপমাত্রা ১১ ডিগ্রির নিচে ঢাকায় বেড়েছে শীতের তীব্রতা সারাদেশে শীতজনিত রোগের প্রকোপ

প্রকাশ | ১৮ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
সারাদেশে কুয়াশার দাপট কমেনি, সেইসঙ্গে কমেনি শীতের তীব্রতাও। দেশের কয়েকটি এলাকার তাপমাত্রা আরও কমেছে। দেশের ১৬ জেলার তাপমাত্রা ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে এসেছে। বুধবার সকাল থেকে ঢাকাসহ সারাদেশে ঘন কুয়াশা ছিল। তবে ঢাকায় বেলা ১২টার পর ঘন কুয়াশা ভেদ করে মাঝে মাঝে ক্ষণিকের জন্য দেখা মিলেছে সূর্যের। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলেও সূর্য দেখা গেছে। এদিকে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা আরও কমেছে। বুধবার সকালে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে বান্দরবানে। একদিন আগে শ্রীমঙ্গলে যা ছিল ৯.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা একদিনের ব্যবধানে দশমিক সাত ডিগ্রি সেলসিয়াস কমে রেকর্ড হয়েছে ১৩.১ ডিগ্রি। একদিন আগে মঙ্গলবার যা ছিল ১৩.৮ ডিগ্রি এবং এর আগের দিন সোমবার ছিল ১৪.৮ ডিগ্রি। ফলে বুধবারও ঢাকায় ছিল কনকনে শীতের অনুভূতি। শীত এবং কুয়াশার দাপট না কমায় চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছেন সারাদেশের মানুষ। তবে আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, দেশের তিন বিভাগের কিছু স্থানে হতে পারে হালকা বৃষ্টির পর ঘন কুয়াশা কেটে গিয়ে বাড়তে পারে তাপমাত্রা। দেশের 'শীতের হটস্পট' হিসেবে পরিচিত মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে বুধবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া ১১ ডিগ্রির নিচে থাকা অঞ্চলগুলো হচ্ছে- চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে ৯.৫, বরিশালে ৯.৭, চুয়াডাঙ্গা ও পাবনার ঈশ্বরদীতে ৯.৮, গোপালগঞ্জে ১০.৪, ভোলা ও ফরিদপুরে ১০.৫, কুষ্টিয়ার কুমারখালী ও কিশোরগঞ্জের নিকলিতে ১০.৬, ফেনী, চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ ও পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ১০.৭, যশোর ও মাদারীপুরে ১০.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, উপ-মহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। আবহাওয়াবিদ মো. আবদুর রহমান বলেন, 'তিন দিন ধরে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কমেছে। বুধবারও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কমেছে। বৃহস্পতিবার দেশের বিভিন্ন স্থানে হালকা বৃষ্টি হতে পারে। এরপর থেকে তাপমাত্রা আবার খানিকটা কমতে পারে।' আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক বলেন, 'দেশের বিভিন্ন স্থানে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। রাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারাদেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং এটি কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন এবং সড়ক যোগাযোগে সাময়িকভাবে বিঘ্ন ঘটতে পারে। এসময়ে সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়তে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। কুয়াশার কারণে দেশের কোথাও কোথাও দিনে ঠান্ডা পরিস্থিতি বিরাজ করতে পারে।' আজ বৃহস্পতিবার রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। শুক্রবার বৃষ্টি হবে না কিন্তু রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। পরের পাঁচদিনে রাতের তাপমাত্রা কমতে পারে বলেও জানিয়েছেন এই আবহাওয়াবিদ। বিবর্ণ হয়ে পড়ছে বোরো বীজতলা রাজারহাট (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি জানান, টানা হিমেল হাওয়া ও প্রচন্ড ঠান্ডায় রাজারহাটে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। এক সপ্তাহ ধরে সূর্যের দেখা মেলেনি। বুধবার জেলায় ১২.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে, যা মঙ্গলবার ছিল ১২.৮ ডিগ্রি। রাজারহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সের কর্মকর্তা ডা. মিজানুর রহমান বলেন, 'এ অঞ্চলে দীর্ঘদিন শীত থাকায় নাজেহাল হয়ে পড়েছে মানুষ। বাড়ছে শীতজনিত রোগ। ইতোমধ্যে হাসপাতালে অ্যাজমা ও ডায়রিয়া নিয়ে ১৩ রোগী ভর্তি রয়েছে। অন্যদিকে গত এক সপ্তাহ ধরে সূর্য না ওঠায় বিবর্ণ হয়ে পড়েছে বোরো বীজতলা। কৃষকরা জানান, বোরো মৌসুম শুরু হলেও কনকনে ঠান্ডায় জমিতে রোপণ করতে পারছেন না ধানের চারা। প্রচন্ড ঠান্ডায় নষ্ট হয়ে যাচ্ছে বীজতলা। এ অবস্থা চলতে থাকলে ক্ষতির মুখে পড়ার আশংকা তাদের। রাজারহাট সদর ইউনিয়নের দুধখাওয়া গ্রামের কৃষক মোহম্মদ আলী মন্ডল এটম বলেন, '১০দিন ধরে সূর্য্যের কোনো খবর নাই। ঠান্ডা দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে। বোরো ধানের বীজতলা করেছি, হলুদ বর্ণ ধারণ করেছে। কীটনাশক দেওয়া লাগতে পারে।' রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, 'জানুয়ারি মাস জুড়েই তাপমাত্রা এমন থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে ৩-৪ দিন পরে তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তে পারে।' ১০ দিন ধরে সূর্যের দেখা নেই ডোমার (নীলফামারী) প্রতিনিধি জানান, গোটা নীলফামারী জেলায় গত ১০ দিন ধরে সূর্যের দেখা নেই। দিনে এবং রাতে এ অঞ্চলে হালকা বাতাসের সঙ্গে ঘনকুয়াশা থাকায় বেড়েছে শীতের তীব্রতা। রাতে বৃষ্টির মতো কুয়াশা ঝরছে। বিশেষ করে দুপুরের পর থেকে বাতাসের গতি বাড়ছে। ফলে ঠান্ডা আরও বাড়ছে। হিমেল বাতাস আর কনকনে ঠান্ডার কারণে ১০ দিনেও কাজে যেতে না পারায় চরম দুর্ভোগে রয়েছেন শ্রমজীবী মানুষ। ক্ষেত-খামার, মাঠে-ঘাটে মানুষের উপস্থিতি কমে গেছে। প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাড়ির বাইরে বের হচ্ছেন না। গরম কাপড়ের দোকানে স্বল্প আয়ের মানুষের ভিড় বেড়েছে। ডোমার সদর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের জেলেপাড়ার বাসিন্দা নিতাই দাস বলেন, 'একদিন মাছ ধরতে না গেলে পেটে ভাত যায় না। সেখানে ঠান্ডার কারণে গত ১০ দিন ধরে কাজে যেতে পারছি না।' উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম জানান, বর্তমানে মাঠে আলু, ভুট্টা, মরিচ, সরিষা, বেগুন, বাঁধাকপিসহ বিভিন্ন সবজি রয়েছে। তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় ৪ দিন পর পর ছত্রাকনাশক স্প্রে করার পরামর্শ দিচ্ছি চাষিদের। রাতে বীজতলা পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখতে আর সকালে বীজতলার চারা গাছের পাতায় জমে থাকা শিশির ঝরিয়ে ফেলতে বলা হচ্ছে। উপজেলা প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, এ পর্যন্ত উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় ৫ হাজার ৭২০টি কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। শীতার্তদের জন্য সরকারিভাবে বরাদ্দের জন্য নতুন করে আরও চাহিদা পাঠানো হয়েছে। বাড়ছে শীতজনিত রোগ গাইবান্ধা প্রতিনিধি জানান, কনকনে ঠান্ডা এবং শৈত্যপ্রবাহের কারণে গাইবান্ধার জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। অসহায়-দুঃস্থ মানুষ শীতবস্ত্রের অভাবে চরম দুর্দশার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। প্রচন্ড ঠান্ডার কারণে দিনমজুররা কাজে যেতে পারছেন না। গত এক সপ্তাহ ধরে দিনভর কুয়াশা থাকলেও বুধবার দুপুরের পর অল্প সময়ের জন্য সূর্যের মুখ দেখা গেছে। প্রচন্ড শীতের কারণে শিশুরা নিউমোনিয়া ও কোল্ড ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে। ফলে হাসপাতালগুলোতে শিশু রোগীর সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। অন্যান্য বছরের মতো এ বছর দরিদ্র অসহায় মানুষদের শীতবস্ত্র দিয়ে সহায়তা দিতে সরকার, এনজিও ও সংগঠনের পক্ষ থেকে তেমন কোনো উদ্যোগ চোখে পড়েনি। ফলে নিরন্ন দিন কাটাতে হচ্ছে অনেককে। সদর উপজেলার মোলস্নারচর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান সাইদুজ্জামান জানান, এ পর্যন্ত সরকারিভাবে কিছু কম্বল পাওয়া গেছে। তা দরিদ্রদের মানুষের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। কয়েক হাজার দরিদ্র মানুষ শীতবস্ত্রের অভাবে চরম দুর্দশার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। তিনি বলেন, 'সামান্য বরাদ্দকৃত কম্বলে ইউনিয়নের দরিদ্র মানুষের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হয়নি। আমার এলাকায় নদী ভাঙা মানুষের সংখ্যা বেশি। তারা চরম দুদর্শার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। তার ওপর এবারের শীত তাদের আরও কাহিল করে ফেলেছে।' দিনাজপুরে তাপমাত্রা কিছুটা বেড়েছে দিনাজপুর প্রতিনিধি জানান, দিনাজপুরে তাপমাত্রা বাড়লেও ঠান্ডার প্রকোপ কমেনি। এতে চরম বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ। বুধবার ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। গত ১০ দিন ধরে ঠান্ডার প্রভাবে মানুষ ঠিকমতো কাজকর্ম করতে পারছেন না। ঘন কুয়াশায় জনভোগান্তি ভাঙ্গা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি জানান, বুধবার সকাল থেকে ঘন কুয়াশার কারণে জনজীবনে চরম দুর্ভোগ নেমে আসে। প্রচন্ড কুয়াশা ও কনকনে শীতের কারণে হেডলাইট জ্বালিয়ে গাড়িগুলো গন্তব্যে যাচ্ছে। প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেন না সাধারণ মানুষ। বেশিরভাগ দোকান বন্ধ থাকছে। স্কুল-কলেজে যেতে পরিবহণ সংকটে পড়ছেন শিক্ষার্থীরা। কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থী হৃদি আক্তার বলেন, 'ভাঙ্গা থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে আমাদের বাড়ি। কলেজে আসতে অনেকক্ষণ অপেক্ষায় থেকে অবশেষে একটি অটো পেয়েছি।' ভাঙ্গা বাস স্ট্যান্ডের চা দোকানি নূর হোসেন বলেন, 'প্রতিদিন সকাল ৮টার মধ্যে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা বিক্রি করি। সকালে আমার স্টলে লোকের ভিড় থাকে। আজ এখন পর্যন্ত ১০০ টাকাও বিক্রি করতে পারিনি।' মিনিবাস চালক আবুল কালাম বলেন, 'ফরিদপুর থেকে মাত্র ১৫ জন যাত্রী নিয়ে এসেছি। ঘন কুয়াশার কারণে মানুষ বের হচ্ছেন না।' কিশোরগঞ্জে শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত নিকলী (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি জানান, জেলার বাজিতপুর, নিকলী, কুলিয়ারচরসহ আশপাশের হাওড় এলাকাগুলোতে গত কয়েকদিন ধরে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত রয়েছে। নিকলী আবহাওয়া অফিসের মো. মাসুম ও ওমর ফারুক এই প্রতিবেদককে বলেন, তাপমাত্রা কম হওয়ার কারণে হাওড়ের মানুষের জীবন-যাত্রার মান একেবারেই স্থবির হওয়ার পথে। স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, শৈত্যপ্রবাহের কারণে শিশু ও বৃদ্ধরা শীতজনিত রোগে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন। গত মঙ্গলবার ও বুধবার পর্যন্ত হাওড় অঞ্চলের মানুষ সূর্যের দেখা পায়নি। শ্রমজীবী ও গরিব মানুষের শীতবস্ত্র একান্ত প্রয়োজন বলে অভিজ্ঞ মহল মনে করছেন। সরকার থেকে ইউনিয়নভিত্তিক কম্বল বিতরণ করা হচ্ছে ঠিকই। কিন্তু চাহিদার তুলনায় একেবারে কম বলে অনেকে মনে করছেন। বদলগাছীতে জেঁকে বসেছে শীত বদলগাছী (নওগাঁ) প্রতিনিধি জানান, নওগাঁর বদলগাছীতে তীব্র শীতের সঙ্গে জেঁকে বসেছে হিমেল বাতাস ও ঘনকুয়াশা। এতে অনেকটাই থমকে গেছে জনজীবন। ফুটপাতে গরম পোশাকের দিকে ছুটছেন ছিন্নমূল মানুষ। বদলগাছী উপজেলা প্রশাসনের সামনে সরকারি শীতবস্ত্রের জন্য অপেক্ষারত সালমা, কবির, জায়দাসহ অনেকেই বলেন- প্রতি বছর শীতের সময় সরকারি কম্বল পাওয়া যেত, কিন্তু এবছর পাওয়া যাচ্ছে না। চেয়ারম্যানরা নাকি সব নিয়ে গেছে। বদলগাছী আবহাওয়া দপ্তরের সহকারী আবহাওয়াবিদ হাসান আলী জানিয়েছেন, গত কয়েক দিন ধরেই সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বৃহস্পতিবার একটু বৃষ্টি হতে পারে। এরপর তাপমাত্রা বাড়তে পারে।